ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জে-গ্রিন সাকাই লেডিস ফেস্টিভ্যাল ফুটবল, আজ ঢাকা ছাড়বে বাংলাদেশ দল

জাপান সফরে শেখার আছে অনেক কিছু ॥ কৃষ্ণা রানী

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

জাপান সফরে শেখার আছে অনেক কিছু ॥ কৃষ্ণা রানী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চূড়ান্ত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার আগে স্বীয় নৈপুণ্য ও সক্ষমতা বাড়াতে এবং নিজের অবস্থান ও ভুলত্রুটি শোধরাতে আরও কিছু পরীক্ষা দিতে হয়। গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা তেমনই পরীক্ষা দেবে। গত বছর নিজেদের মাঠে ‘এএএফসি অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ’-এর বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৬ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। এর ফলে তারা এ বছরের সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য মূলপর্বের আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেখানে শীর্ষ তিন দলের মধ্যে থাকতে পারলে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৮ সালের ফিফা অনুর্ধ-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলতে পারবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই থাইল্যাল্ড পর্বে অবতীর্ণ হবার আগে নিজেদের যাচাই ও শাণিত করতেই আজ মঙ্গলবার জাপানযাত্রা করছে কৃষ্ণা-সানজিদা-মারিয়া-আনাইরা। জাপান ফুটবল এ্যাসোসিয়েশনের (জেএফএ) ব্যবস্থাপনায় ২৮ থেকে ২৯ জানুয়ারি জাপানের ওসাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘জে-গ্রিন সাকাই লেডিস ফেস্টিভ্যাল অনুর্ধ-১৫’ ফুটবল আসর। এই টুর্নামেন্টে ৪ গ্রুপে মোট ২০ দল অংশ নেবে। যার ১৮টিই জাপানের। বাংলাদেশসহ আরেকটি দল হল থাইল্যান্ড। টুর্নামেন্টটি অনুর্ধ-১৫ বছর বয়সীদের হলেও বাংলাদেশের দলটি অনুর্ধ-১৬ দল। মূলত জেএফএর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই বাংলাদেশ দলকে এই বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের উর্ধতন কর্মকর্তা এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু, অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার, সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ প্রমুখ। এই ফেস্টিভালে বাংলাদেশ আছে গ্রুপ ‘ডি’তে। যেখানে তাদের সঙ্গী জাপান ও থাইল্যান্ডের মতো শক্তিধর দেশের দলগুলো। তাই বড় দলের সঙ্গে খেলে নিজেদের বর্তমান অবস্থান যাচাইয়ের লক্ষ্যেই অংশ নিচ্ছে কৃষ্ণাবাহিনী। ফেস্টিভালে বাংলাদেশ খেলবে মোট সাত ম্যাচ। তবে তার আগে ২৬ জানুয়ারি জাপানের সাকাই একাডেমির সঙ্গে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ছোটনের শিষ্যারা। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো হবে নকআউট পদ্ধতিতে। ফেস্টিভালের ম্যাচগুলো হবে ৪০ মিনিটের (২০+২০) বিরতি থাকবে ৫ মিনিটের। গ্রুপে ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ খেলবে ৩টি ম্যাচ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এসি ইমাবারি, বেলা পৌনে ১২টায় সেরেজু এবং দুপুর ১টা৩৫ মিনিটে এনজিইউ নাগোয়া এফসি লেডিসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আমাগাসাকি লেডিস দলের বিরুদ্ধে খেলবে বেঙ্গল টাইগ্রেস দল। প্রশ্ন উঠেছেÑ কিভাবে এই ৭ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল? ফেস্টিভালের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপে যে দল যে অবস্থানে থাকবে তারা অন্য গ্রুপের সেই অবস্থানে থাকা দলের সঙ্গে আরও এক ম্যাচ খেলবে। তাই গ্রুপ পর্ব শেষে বাংলাদেশ যে অবস্থানেই থাকুক অন্যান্য গ্রুপের সেই অবস্থানে থাকা দলের সঙ্গেও ম্যাচ খেলতে পারবে। জাপানের ১৮ দল, বাংলাদেশের একটি এবং থাইল্যান্ডের এক দল খেলছে। তাই অবস্থান যেখানেই হোক থাইল্যান্ডের সঙ্গেও খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। যে অভিজ্ঞতাটা কাজে আসবে এএফসির চূড়ান্ত পর্বে, কেননা ওই আসরে খেলবে এই দুই দেশই। মহিলা দলের তারকা কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনও বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই জাপান যাচ্ছি আমরা। জাপান শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বেরই অন্যতম সেরা দল। তাদের সঙ্গে খেলে মেয়েরা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। ফেস্টিভালের ২০ দলের সঙ্গেও ভাব আদান-প্রদান করবে। যা ভবিষ্যতে অনেক কাজে আসবে।’ দলীয় অধিনায়ক কৃষ্ণা রানীর ভাষ্য, ‘আমরা এই প্রথমবারের মতো জাপানের সঙ্গে ও তাদের মাটিতে খেলতে যাচ্ছি। প্রীতি ম্যাচটি খেলে আমরা অনেক কিছুই শিখবো। আর ফেস্টিভালে প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের শতভাগ দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করবো।’ দলের সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দার বক্তব্য, ‘শতভাগ দেবার লক্ষ্য থাকবে দলের সবার। এজন্য দেশবাসীর সবার কাছে দোয়া চাই।’ এই আসরের পর সময় ও সুযোগ পেলে জাপানের সঙ্গে আবারও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশের।
×