ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এটা সামর্থ্যরে ৭৫ ভাগ, বলছেন কোহলি

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

এটা সামর্থ্যরে ৭৫ ভাগ, বলছেন কোহলি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ হলো ভারত-ইংল্যান্ড রান বন্যার ওয়ানডে দ্বৈরথ। যেখানে প্রত্যাশিত ভাবে ২-১ এ সিরিজ জিতেছে স্বাগতিক ভারত। তবে ব্যাটসম্যানদের দাপটে প্রতিটি ম্যাচই ছিল রোমাঞ্চকর, উত্তেজনায় ঠাসা। তিন ম্যাচের ৬ ইনিংসে প্রতিটি দল তিন শ’র ওপরে রান তুলেছে, দ্বিপক্ষীয় কোন ওয়ানডেতে এমন ঘটনা সত্যি বিরল। ৩৫০ রান টপকে পুনের প্রথম ম্যাচে ভারতের জয় ৩ উইকেটে, নিজেরা ৩৮১ করে কটকের পরেরটিতে কোহলিদের জয় মাত্র ১৫ রানে, ইংল্যান্ড ৩৬৬/৮। সিরিজ নিশ্চিত হলেও আশ্চর্যের সেখানেই শেষ নয়। রবিবার কলকাতার শেষ লড়াইয়ে অতিথিদের ৩২১ রানের জবাবে ভারত থামে ৩১৬/৯Ñএ। ইয়ন মরগান বাহিনীর জয় ৫ রানে। টেস্ট ব্যর্থতার পর সফরে প্রথম সাফল্যের মুখ দেখে ইংলিশরা। তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়েছে ৫টি, যেখানে ৪টিই ভারতীয়দের। অথচ অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলছেন, এটা তাদের সামর্থ্যরে ৭৫ ভাগ মাত্র। ১-১৮ জুন, ২০১৭ ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এটাই ভারতের শেষ ওয়ানডে সিরিজ। ড্রেস-রিহার্সেলে সন্তুষ্ট তিন ফরমেটের অধিনায়ক বলেন, ‘হ্যাঁ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আমাদের আর কোন ওয়ানডে নেই। অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না। এমন তো নয় যে আমরা একেবারে খেলার বাইরে থাকছি। তবে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে কয়েকটা সমস্যার সমাধান করতে হবে। যেমন ওপেনিং। মিডল-অর্ডারে যে সমস্যা ছিল, সেটা মিটে গেছে। এখন ওপেনারদের ফর্মে ফেরা প্রয়োজন। ওরা ব্যর্থ হওয়ায় কার্যত এখন শতকরা ৭৫ শতাংশ ব্যাটিং শক্তি নিয়ে খেলতে হচ্ছে। এটা ১০০তে পরিণত হলে আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠব।’ সিরিজে এখন তিনটি টি২০ রয়েছে, সামনে বাংলাদেশের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট, এরপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। খেলার মধ্যে থাকা বলতে অধিনায়ক আসলে এটাকেই বুঝিয়েছেন। ওয়ানডেতে ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটিং ছিল দুর্ধর্ষ। কোহলির সঙ্গে যুবরাজ সিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, হারদিক পান্ডিয়া অসাধারণ খেলেছেন। কোহলি আরও যোগ করেন, ‘কেদার যাদবের ব্যাটিং, যুবি-মাহির একসঙ্গে জ্বলে ওঠা, দ্বিতীয় ম্যাচে ভুবনেশ্বরের বোলিং, শেষটাতে কেদার-হারদিকের পার্টনারশিপ...। নতুনরা ভাল খেলছে। আত্মবিশ্বাসী হওয়ার জন্য এগুলো যথেষ্ট।’ প্রথম দুই ম্যাচে ৩৫৬, ৩৮১ রান করার পর শেষটাও তো ভারত জিততে পারত? ‘এমন চ্যালেঞ্জিং উইকেট আর কন্ডিশনে (কলকাতার ইডেন) খেলার অভ্যাস করা উচিত। উইকেটে ঘাস থাকলে, শক্ত হলে, ইংল্যান্ডের বোলারদের সুবিধা হয়। ওরা জানে এই উইকেট কিভাবে কাজে লাগাতে হয়। আমরাও হয়ত এক্ষেত্রে খুব একটা পিছিয়ে নেই। সমানে-সমান লড়াই তারই প্রমাণ। পুরো ১০০ ওভারই উইকেট চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু তারপরও তো দু’দল তিন শ’র ওপরে রান তুলেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে এটা ইতিবাচক।’ ইংল্যান্ডের ৩২০ রান তুলে ফেলা নিয়ে ভারত অধিনায়কের যুক্তি, ‘৪৫ ওভার পর্যন্ত আমরা ওদের কন্ট্রোলে রেখেছিলাম। শেষ পাঁচ ওভারে রান করেছে। কারণ ওদের ভাল অলরাউন্ডার আছে।’ তবু অধিনায়ক হিসেবে খুশি কোহলি বলেন, ‘যুবি-মাহি হাল ধরলে এই রানটাও হয়ে যেত। কিন্তু দুইজন তরুণ (কেদার-হারদিক) যে কাছাকাছি নিয়ে গেছে, এটাও কম প্রাপ্তি নয়।’ ছয় নম্বরে নেমে কেদার যাদবের ৭৫ বলে ৯০ ও সাত নম্বরে পান্ডিয়ার ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস দুটি ভারতকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিল।
×