ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশ পদক পেলেন যারা

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

পুলিশ পদক পেলেন যারা

আজাদ সুলায়মান ॥ কনস্টেবল থেকে এ্যাডিশনাল আইজি- বাদ যায়নি কোন পদমর্যাদাই। এবারের মতো এতসংখ্যক পদক অতীতে আর কখনও দেয়া হয়নি। বীরত্বপূর্ণ কাজ, সেবা ও সাহসিকতার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রেকর্ডসংখ্যক ১৩২ পুলিশ সদস্য পদক পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে এ মেডেল তুলে দেন। একসঙ্গে এতসংখ্যক পদক দিতে পারায় প্রধানমন্ত্রী নিজেও গর্বিত। পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার ও পদক তুলে দিয়েছেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে সোমবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৩২ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের জন্য ২৬ জনকে ২০১৬ সালের বিপিএম এবং ৪১ জনকে পিপিএম দেয়া হয়। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য ২৪ জন বিপিএম (সেবা) এবং ৪১ জন পিপিএম (সেবা) পেয়েছেন এবার। পদকপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত বিপুলসংখ্যক পদক অতীতে কখনও বিতরণ করা হয়নি। আপনারা এটা পেয়েছেন আপনাদের কাজের দক্ষতা ও যোগত্যা প্রমাণ করতে পেরেছেন এবং জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পেরেছেন বলে। পদকধারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রয়েছেন গত এক বছরে রাজধানীসহ দেশব্যাপী জঙ্গী আস্তানায় অভিযানের জীবনবাজি রেখে চরম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজ করার কৃতিত্ববানরা। বিশেষ করে হলি আর্টিজান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার জঙ্গী অভিযানে অংশ নিয়ে জীবন বিসর্জন ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বপালনসহ বেশ কয়েকজনকে পদক প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন পেয়েছেন মরণোত্তর। জঙ্গী ছাড়াও মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় লোভ-লালসার উর্ধে থেকে সত্যিকারার্থেই দায়িত্ব পালন করায় বেশ কয়েকজনকে পদক প্রদান করা হয়েছে। শুধু নিরাপত্তা নয়, আর্ত-পীড়িতের পাশে দাঁড়িয়ে অকৃত্রিম মানবসেবা, প্রশাসনিক দক্ষতা, এমনকি ডিজিটালাইজ সিস্টেমে দাফদরিক কাজের জন্যও প্রদান করা হয়েছে পদক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদের বুকে ব্যাজ পরিয়ে শুরু করেন পদক প্রদান। রাজধানীসহ দেশব্যাপী জঙ্গী নির্মূলে যথেষ্ট দক্ষতা ও সাহসিকতার দরুন তাকে এ পদক প্রদান করা হয়। একই কারণে পদক লাভ করেছেনÑ ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি) শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম খুরশীদ হোসেন, সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপস) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, র‌্যাব-১২-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি শাহাবুদ্দিন খান, র‌্যাব-৬-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সিটিটিসির যুগ্ম-কমিশনার আমিনুল ইসলাম, র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ, র‌্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন, র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশিদুল ইসলাম খান রিপন পদক পেয়েছেন তার নিজ দফতর অটোমেশন ও ডিজিটালাইজড করার জন্য। উত্তরায় তার নিজ অফিসের সব জনবলের নাম-ঠিকানা, পেশাগত পদমর্যাদা, ব্যক্তিগত দক্ষতা-অদক্ষতা, চাকরিজীবনে সব খুঁটিনাটি বিষয় রেকর্ড করে রাখা হয়েছে একটি বিশেষ সফটওয়্যারে। তাদের মাসিক বেতন-ভাতাদি পরিশোধ করা হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। প্রতিদিন কে কোথায় কী ডিউটি করছে তা সেন্ট্রাল সার্ভার ও ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হয়। তিনি নিজ চেয়ারে বসে দেখতে পান এয়ারপোর্টে কোন স্টাফ কখন কিভাবে ডিউটি করছেন, কী খাচ্ছেন, কার সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করছেন। এমনকি কোন স্টাফ কী ধরনের রোগশোকে ভুগছেন, কী ধরনের ওষুধ খেয়েছেন সে তথ্যও ইচ্ছা করলে ৩০ সেকেন্ডে জেনে যাওয়ার মতো সিস্টেম ডেভেলপ করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের আর কোন ইউনিটে এ ধরনের ডিজিটালাইজড সিস্টেম ও অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে এমন সফলতার স্বাক্ষর রাখায় তাকে এ পদক প্রদান করা হয়। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার নিজ জেলায় আইনশৃঙ্খলায় নজিরবিহীন সাফল্যের জন্য পেয়েছেন বিশেষ পদক। রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানকে পদক প্রদান করা হয়েছে জাপানী নাগরিক হোশি কোনিও হত্যার মূল নায়ককে চিহ্নিত ও গ্রেফতারে বিশেষ অবদান রাখায়। পদক তালিকায় আরও রয়েছেনÑ পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ডেভেলপমেন্ট) গাজী মোজাম্মেল হক, এআইজি (রিক্রুটমেন্ট এ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং) মনিরুল ইসলাম, দিনাজপুরের সাবেক এসপি (বর্তমানে এআইজি- সংস্থাপন, পুলিশ সদর দফতর) রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বগুড়ার এসপি আসাদুজ্জামান, সিরাজগঞ্জের এসপি মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের এসপি মঈনুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি মোজাহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার এসপি শাহ আবিদ হোসেন, সাতক্ষীরার এসপি আলতাফ হোসেন, ডিএমপির ডিসি (ইএ্যান্ডডি) সাইফুল ইসলাম, গাজীপুরের এসপি হারুন অর রশিদ, ডিএমপির ডিসি (পিআর এ্যান্ড এইচআরডি) মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, চাঁদপুরের এসপি শামসুন্নাহার, পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (ইউএন এ্যাফেয়ার্স) শেখ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মাশরুকুর রহমান খালেদ, ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার, ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশিদুল ইসলাম খান, ঝালকাঠির এসপি সুভাষ চন্দ্র, রংপুরের এসপি মিজানুর রহমান, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের ডিসি মাসুদ আহম্মেদ, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সিএমপির ডিসি (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসেন, র‌্যাব সদর দফরের উপ-পরিচালক (অপস) মেজর ইবনে মনজুরুল খালিদ, র‌্যাব-৮-এর মেজর আদনান কবির, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার সাইফুল মনির, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রানা, সিটিটিসির সোয়াতের এডিসি আশিক হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখা- এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোপনীয়) জাহিদুর রহমান, বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, ডিএমপির গুলশান বিভাগের এডিসি আব্দুল আহাদ, আইজিপির স্টাফ অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা, সিটি এসবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল রহমান ফকির, সিটিটিসির এসি জাহাঙ্গীর আলম, আহমেদুল ইসলাম, ডিবি উত্তরের এসি রবিউল করিম (মরণোত্তর), ডিবির এসি হাসান আরাফাত, ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এমএম মাহমুদ হাসান, সিটিটিসির সোয়াত টিমের এসি এসএম জাহাঙ্গীর হাছান, র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র এএসপি শাহেদা সুলতানা, পুলিশ সদর দফতরের সিনিয়র এএসপি সোহান সরকার, এসএসএফের সিনিয়র এএসপি দেবাশীষ দাশ, এসএমপির এসি নূরুল হুদা আশরাফী, সিআইডির এএসপি আহমদ আলী, এসবির এএসপি শাওন শায়লা, পুলিশ সদর দফতরের এলআইসি শাখার নূরে আলম, র‌্যাব সদর দফতরের শাহনেওয়াজ রাজু, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার এএসপি আখিউল ইসলাম, এএসপি নূর মোহাম্মদ আলী চিশতী, ডিএমপির এসি আতাউর রহমান খান, শাহজাহান কবীর, এসবির এএসপি সিরাজুল ইসলাম, ডিএমপির রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম, গেণ্ডারিয়া থানার ওসি কাজী মিজানুর রহমান, সিটির পরিদর্শক শফি উদ্দিন শেখ, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ অসীম উদ্দীন, সিটিটিসির পরিদর্শক মাহবুব-উর-রশীদ, ডিএমপির বনানী থানার ওসি সালাহ উদ্দিন খান (মরণোত্তর), ডিবি দক্ষিণের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী, সিটিটিসির পরদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, বগুড়ার জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম, নরসিংদী মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, ঢাকা কোর্টের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান, সিটিটিসির পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম, ময়মনসিংহের ভালুকার ওসি মামুন-অর-রশিদ, ডিএমপির তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান, রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিন ফকির, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদ জামান, শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া, হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার ওসি মুক্তাদির হোসেন, যশোরের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন, ডিএমপির রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন, র‌্যাব-৬-এর ওয়ারেন্ট অফিসার জাকির হোসেন বেগ, সিটিটিসির এসআই সুজন কুমার কু-ু, ডিএমপির গুলশান থানার এসআই ফারুক হোসেন, নেত্রকোনা পুলিশ লাইনসের এসআই ফজলুল হক, পুলিশ সদর দফতরের এসআই আক্তারুজ্জামান, বিএমপির এসআই দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, সিটিটিসির এসআই আবুল কালাম আজাদ, ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের এসআই মাহবুবুর রহমান সরকার, সিটিটিসির এসআই শেখ হাসান মোহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার, কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই শহীদুল ইসলাম, বিএমপির কোতোয়ালি থানার এসআই জামাল হোসেন, র‌্যাব-১১-এর সার্জেন্ট এখলাছ উদ্দিন, সিটিটিসির এসআই মোর্শেদ আলম, এপিবিএন-১-এর এএসআই শামীম মিয়া, সিটিটিসির এএসআই আব্দুল হান্নান, বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই মোস্তাফিজুর রহমান, ডিবি উত্তরের এএসআই মতিউর রহমান মতিন, র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার এএসআই গোলাম রাব্বানী, কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনসের নায়েক নিকো চাকমা, জহিরুল ইসলাম (মরণোত্তর), আনসারুল হক (মরণোত্তর), টাঙ্গাইল গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল হৃদয় মাহমুদ শিকদার, ডিএমপির পিএমও উত্তরের কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস, ডিএমপির কল্যাণ ফোর্সের কনস্টেবল আনোয়ারুল ইসলাম, সিটিটিসির কনস্টেবল লাভলু জামাল, রামচন্দ্র বিশ্বাস, শাহজাহান আলী, মাহতাব উদ্দিন।
×