ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মহাকালের ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

মহাকালের ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আগামী ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের তৃতীয় মঞ্চায়ন হবে। ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকটি রচনা করেছেন সালাম সাকলাইন। পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় দেবাশীষ ঘোষ। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন সুরেলা নাজিম, বেবী শিকদার, ফারুক আহমেদ সেন্টু, বাবু স্বপ্নওয়ালা, রিফাত, বিপ্লব, মোঃ জাহাঙ্গীর, রাহুল, বাধন, মীর জাহিদ হাসান, মৈত্রী সরকার, সারমীন সুলতানা আশরা, শিবলী সরকার, সৈয়দ ফেরদৌস ইকরাম, সুফিয়া খানম শোভা, রাজিব হোসেন, তারকেশ্বর তারোক, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, কবির আহমেদ, সামিউল জীবন, আসাদুজ্জামান রাফিন, ইকবাল চৌধুরী, ফারাবী আকন্দ হীরা এবং সাইমুন।‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের গল্পে দেখা যায় সোনামতি শহরে বণিক মনোহরের কন্যা রূপেগুণে অনন্যা শিবানী সুন্দরী। সে ভালবাসে ঋষি সদানন্দের পুত্র নন্দকুমারকে। কিন্তু ঋষি সদানন্দ এই সম্পর্কের কথা জেনে ভীষণ ক্রুদ্ধ হন। কারণ তার ইচ্ছে নন্দ তারই মতো সন্যাসধর্ম পালন করে আশ্রমের সেবা করুক। এই নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে বাগবিত-া হয়। নন্দ ঋষির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঋষি তাকে আশ্রম থেকে বিতাড়িত করেন। নন্দ মনো কষ্টে ঋষি এবং শিবানীর কাছে থেকে অনেক দূরের জঙ্গলে চলে যায়। এদিকে শিবানী এই সংবাদ পেয়ে নন্দকে খুঁজতে নিজের রাজ্য ত্যাগ করে। সঙ্গে নেয় দেহরক্ষী ভীমকে। নন্দকুমার জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় একদল পরী আকাশ পথে উড়ে যাচ্ছিল পরীকন্যা কুন্তি নন্দকুমারকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হলো পরীরা মানুষকে ভালবাসতে পারে না। তখন পরীকন্যা মানুষ হয়ে পৃথিবীতে থেকে যায়। কিন্তু নন্দ এসবের কিছুই জানতে পারে না। অন্যদিকে শিবানী নন্দকে পথে পথে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে যখন বিশ্রাম নিচ্ছিল তখন ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল জাদুকর। সে শিবানীর রূপে পাগল হয়ে তাকে পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। মন্ত্রবলে সে শিবানীর বিস্তারিত জানতে পারে। তখন সে ঋষির ছদ্মবেশে শিবানীর কাছে এসে নন্দ কোথায় আছে জানায়। শিবানী জাদুকরের কথা মতো ভীমকে নিয়ে নন্দের কাছে যায়। এদিকে পরীকন্যা কুন্তি নন্দের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে জঙ্গলে গেলে জাদুকর তাকে শিবানীর কথা জানায়। এই শুনে কুন্তি জাদুকরের সহযোগিতায় নন্দকে শিবানীর থেকে দূরে সরাতে পরিকল্পনা করে। কিন্তু জাদুকর শেষ পর্যন্ত নন্দকে অদৃশ্য করে দেয়। কুন্তিকে বানায় বাঘ এবং ভীমকে পাথর বানিয়ে শিবানীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নাগমনি শহরে। অন্যদিকে ওসমান সওদাগরের পুত্র মমিন সওদাগর শিবানীর রূপের বর্ণনা শুনে বন্ধু আমির আলিকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তডিঙ্গা ভাসায় সমুদ্রে শিবানীকে পাওয়ার আশায়। কুন্তি ও ভীমের সহযোগিতায় নাগমনি শহরে জাদুকরের কাছ থেকে শিবানীকে উদ্ধার করে। কিন্তু শিবানী নন্দকে ভুলতে পারে না। তাই সে মমিনের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে পথে বেরিয়ে পড়ে। মমিন তার ভালবাসার মানুষের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের পুতুল নাচ নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণে খেলু মিয়া। মঞ্চ পরিকল্পনায় জুুনায়েদ ইফসুফ। নাটকে ব্যবহৃত গানের গান রচনা সুর ও আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনায় শিশির রহমান, আলোক পরিকল্পনা, প্রপস পরিকল্পনা ও নির্মাণ পলাশ হেনড্রি সেন, পোশাক পরিকল্পনায় শিশির সবুজ, কোরিওগ্রাফি ফারাবী আকন্দ হীরা, রূপসজ্জা পরিকল্পনায় শুভাশীষ দত্ত তন্ময়। প্রযোজনা অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান।
×