ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওবামার বিদায়, ট্রাম্প যুগের শুরু

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

ওবামার বিদায়, ট্রাম্প যুগের শুরু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঘড়ির কাঁটায় তখন ওয়াশিংটনে বেলা ১১টা ৫০ মিনিট। ইংরেজীতে মাত্র ৩৫ শব্দের শপথ বাক্য সম্পন্ন হলো। এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে তা উচ্চারণ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বললেন, ‘আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শপথ করছি যে, আমি বিশ্বস্ততার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দফতর পরিচালনা করব এবং সাধ্যের সবটুকু দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রক্ষা, সংরক্ষণ ও প্রতিপালনে সচেষ্ট থাকব।’ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে এক জাঁকজমকপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ শপথবাক্য পাঠ করান দেশটির সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রবার্টস। এই শপথ বাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্টের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার পদে স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। ওবামা যুগের অবসান ঘটলো। শুরু হলো ডোনাল্ড ট্রাম্প যুগ। ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল হলে তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির প্রায় আট লাখ মানুষ। আব্রাহাম লিঙ্কন যে বাইবেলে হাত রেখে শপথ নিয়েছিলেন সেই বাইবেলে হাত রেখেই শপথ নিলেন ট্রাম্প। তার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন মাইক পেন্স। তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে শুরু করে নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত কম বিতর্ক হয়নি। কিন্তু এদিন সব বিতর্ক পেছনে ফেলে ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন ট্রাম্প। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশরাও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। নানা আয়োজনের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প যিনি এখন থেকে আমেরিকার ফার্স্ট লেডি। এরই মধ্যে আমরা দেখেছি তার আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বেই স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত ওবামা সরকারের বহুল আলোচিত ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস সদস্যরা মতামত দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই দায়িত্ব নেয়া আমেরিকার কাছে ইতিহাসের গত অপরাপর প্রেসিডেন্টদের মতো কোন গতানুগতিক দায়িত্ব নেয়ার মতো বিষয় নয়। তিনি এক কথায় প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন, যার বাস্তবায়নে এখন তার একাধারে রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তথা পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে অভিনব কৌশল প্রয়োগ জরুরী। ট্রাম্প যে তার সময়টায় নিজের মতো করেই লড়ে যাবেন তা বলাই বাহুল্য। সাম্প্রতিক অনেক আভাসের মধ্য দিয়ে এক্সন মোবাইল কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রেক্স টিলারসনকে তার সরকারের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করার মাধ্যমে আরেক দফা তা-ই জানান দিলেন। এর মধ্য দিয়ে পরবর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতির একটা আগাম বার্তাও মেলে। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে বৈদেশিক সম্পর্ককে উন্নয়ন করা কিন্তু এই পদে যিনি আসীন থাকেন তার মূল চিন্তা থাকে জাতীয় স্বার্থের সর্বোচ্চ অর্জন। এক্ষেত্রে মার্কিন জাতীয় স্বার্থে ট্রাম্প যেভাবে বেছে বেছে কর্পোরেট ব্যক্তিদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে নিয়ে আসছেন এর মধ্য দিয়ে তিনি কার্যত এমন একটি ভবিষ্যত আমেরিকা গঠন করার পরিকল্পনা করছেন যেখানে মার্কিন অর্থনীতি হয়ত চাঙ্গা হবে কিন্তু বহির্বিশ্বে আমেরিকা দারুণভাবে তার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এর মধ্য দিয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীদের অধিক প্রণোদনা দিতে গিয়ে এবং মূলধারার আমেরিকানদের অর্থনৈতিক সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিত করতে গিয়ে অস্ত্র ব্যবসাকে আরও উস্কে দেবে। আর সেটা করতে গিয়ে বিশ্ব রাজনৈতিক অস্থিরতাকেই আরও বাড়িয়ে তোলা হবে। এর ফলে আমেরিকান অর্থনীতিতে যদি গতি ফিরে আসে তবে তার পূর্ব ঘোষিত প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সকল আমেরিকান নয়, এর সুবিধাভোগী হবেন একটি নির্দিষ্ট অংশ, যারা শ্বেতাঙ্গ অথচ মূলধারার। অশ্বেতাঙ্গ এবং অভিবাসীদের সঙ্গে তাদের বৈষম্য আরও প্রকট হওয়ার মধ্য দিয়ে ওবামা যে গণতন্ত্রের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন সেটা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মূলত মার্কিন রাজনীতিতে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের যথাক্রমে কট্টরপন্থী এবং উদারপন্থী হিসেবে দেখা হলেও ট্রাম্পের মনোভাব থেকে একজন রিপাবলিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে কেবল কট্টরপন্থার একজন ব্যক্তি হিসেবে বিচার করাই যথেষ্ট হবে না বরং তিনি সম্ভবত এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে চিন্তা করেন ব্যক্তিগত স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে। যদি রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সত্যিই তিনি এমন ভাবধারার প্রকাশ ঘটাতে চান তবে আপাতত মার্কিন জনগণের তেমন কিছুই করার থাকবে না। কারণ তিনি একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য এমন সম্ভাবনার কথাও ব্যাপকভাবে বলাবলি হচ্ছে যে, তার অনেক সিদ্ধান্তই প্রতিনিধি পরিষদ কিংবা সিনেটে আটকে যেতে পারে জনস্বার্থের কারণে এবং একপর্যায়ে তাকে অনাস্থা ভোটের সম্মুখীনও হয়তো হতে হবে। এ সবই আসলে সম্ভাবনার কথা। এমনটি সত্য হলেও একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং সেটাও যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অবস্থার তথা বিবেচনায় এনে এ কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, তার নিজ রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরেই একটা চাপা অস্থিরতা কাজ করছে। নির্বাচনকালীন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তার নিজ দলের নেতারা প্রকাশ্যে তার সমালোচনা করেও বিজয় ঠেকাতে ব্যর্থ হলেও নির্বাচনপরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের মাধ্যমে আমেরিকাবাসী তাদের সম্ভাব্য ভয়কেই প্রকাশ করেছেন। এক্ষেত্রে যারা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন তারাও নিশ্চয়ই ওবামার মতো আমেরিকার সম্ভাব্য গণতন্ত্রের সঙ্কটকেও আঁচ করতে পেরেছেন। ওবামা বলেছেন, অনেক ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ায় ডেমোক্র্যাটদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। কিন্তু অতীতের নির্বাচনগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হবে ভোটার উপস্থিতি তেমন হতাশাব্যঞ্জক ছিল না। কিছুদিন আগেও ওবামা তার এক বক্তব্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, তৃতীয়বার নির্বাচন করার সুযোগ থাকলে মার্কিনীরা তাকেই নির্বাচিত করত। তার এই বক্তব্যকে ব্যাখ্যা করলে তা এমনটিই দাঁড়ায়, ডেমোক্র্যাট দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী মনোনয়ন ভুল ছিল। এক্ষেত্রে হিলারির স্থলে অন্য কেউ প্রার্থী হলে হয়ত ট্রাম্পের বিজয়কে ঠেকানো যেত। এ কথা আজ আমেরিকার সকলের কাছেই সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, ওবামা সকলের মনে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিয়েই তার সময়টুকু শেষ করলেন। কি এক অদ্ভুত মোহজাগানিয়া ব্যক্তিত্ব বারাক ওবামার! যার কথায় মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকে, যিনি স্বপ্নের ফেরি করেন, যার দেখানো স্বপ্নের ঘোরে থাকেন সবাই আর সেই ঘোর কাটে যখন স্বপ্ন পরিণত হয় বাস্তবে। আর তাই তো শুরু আর শেষের মধ্যে নেই কোন ছন্দপতন। ২০০৮ সালের ৪ নবেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ী হয়ে ফিরে যান সেই শিকাগোতে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে সেই সব মানুষের প্রতি যারা তাকে জীবনে প্রথমবারের মতো সিনেটর নির্বাচিত করেছিলেন। একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ কি না, তিনি মানুষের স্বপ্নকে ধারণ করতে পারেন কি না এবং তিনি কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের পথে মানুষকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম কি না-এমন অসংখ্য প্রশ্ন নিত্যসঙ্গী করে তাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়েছিল। আর তাই বিজয়ের রাতে বিজয়ী ভাষণে তার কণ্ঠে ছিল সকল প্রশ্নের দৃঢ় জবাব, ‘আজ আপনাদের মাঝে এমন কেউ উপস্থিত আছেন কি যিনি এখনও সন্দেহ পোষণ করেন আমেরিকা সব সম্ভবের দেশ কি না, এমন কেউ যিনি দ্বিধায় আছেন যে আমাদের প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নগুলো এখনও বেঁচে আছে কি না, এমন কেউ যিনি এখনও আমাদের গণতন্ত্রের সক্ষমতাকে সন্দেহের চোখে দেখেন? তাদের সব প্রশ্নের জবাব হচ্ছে আজকের এই রাতটি।’ সেই রাতে খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে আড়াই লাখ প্রত্যক্ষ শ্রোতা আর বিশ্বের কোটি কোটি টিভি দর্শক অবাক বিস্ময়ে অনেককাল পর এমন এক ভাষণ শুনলেন সম্ভবত এর প্রতীক্ষায়ই ছিলেন সবাই। ৫০ মিনিটের ভাষণের সময় ম্যাককরমিক প্লেসের কনভেনশন সেন্টারের প্রত্যেক কৃতজ্ঞ দর্শক চোখের জলে বিদায় জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে রূপান্তরশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। আবেগ সংবরণ করতে না পেরে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন ওবামা নিজেও। নির্বাচিত হওয়ার পর ওবামা রাজনীতি ও বর্ণভিত্তিক বিভাজন অতিক্রম করে অবিভক্ত ও অনেক কম বৈষম্যমূলক এক যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিদায় নেয়ার আগে স্বীকার করতে বাধ্য হলেন, সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রাখতে পারেননি। দেশ এখনও আগের মতো বিভক্ত, যে বিভক্তির ফলে এই দেশের গণতান্ত্রিক সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখীন। ওবামা তার বক্তব্যে ট্রাম্পের নাম একটিবারের জন্য উচ্চারণ না করলেও কারও বুঝতে একটুও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে, ট্রাম্পের জয়ে আমেরিকাবাসীর জন্য যে অশুভ ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে তা নিয়ে তিনি গভীরভাবে চিন্তিত। আর তাই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় রেখে ওবামা তাদের আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিশ্রমের আহ্বান জানান। এদিকে মার্কিন রাজনীতিতে রাশিয়ার প্রভাবের বিষয়টিকে ট্রাম্প হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে। যুক্তির খাতিরে যদি ধরেও নেয়া হয় যে, মার্কিন রাজনীতিতে রাশিয়া বা দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিনের কোন প্রভাব নেই তা হলেও প্রশ্ন এসে যায়Ñ পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে রাশিয়া এবং চীন যেভাবে তাদের শক্তিমত্তাকে জানান দিচ্ছে এই অবস্থায় আমেরিকার নিজের শক্তিশালী অবস্থানকে ধরে রাখার জন্য কি কৌশল হতে পারে সেই বিষয়ে ট্রাম্প কতটুকু ভেবে রেখেছেন? ওবামা তার বিদায়ী ভাষণে হতাশার সঙ্গে এমন আশাবাদের কথাও উচ্চারণ করেছেন যে, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ওপর নয়, পরিবর্তনের জন্য মানুষের নিজের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখতে হবে, বিশ্বাস রাখতে হবে। এতদিন জনতার আস্থা, বিশ্বাস আর সক্ষমতার সঙ্গে প্রেসিডেন্টের আস্থা, বিশ্বাস আর সক্ষমতার যে মিশেল এক আমেরিকার পথচলা ছিল তা থেমে যাবে আর মাত্র কয়েকটি দিন পর। শুরু হবে ভিন্ন আস্থা বিশ্বাস আর সক্ষমতার এক আমেরিকার নতুন পথচলা। কিন্তু ব্যক্তি ওবামা মানুষের মনে অম্লান হয়ে থাকবেন দীর্ঘকাল পর্যন্ত। অন্যদিকে ট্রাম্প তার অভিষেক ভাষণে আমেরিকার শিশুদের জন্য ভাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দিতে চেয়েছেন, দরিদ্র পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলেছেন। বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার নিশ্চয়তা দেয়ার কথা বলেছেন তিনি। তা ছাড়া অপরাধ, বিভিন্ন চক্র ও মাদকের কারণে অনেক সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থী শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এ বিষয়ে অভিষেক ভাষণে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমেরিকান হত্যাযজ্ঞ এখান থেকে এবং এখন থেকেই বন্ধ করতে হবে। নিজেদের দেশের সীমান্ত অরক্ষিত রেখে অন্য দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় অর্থ বিনিয়োগ ও নিজেদের সেনাদের উন্নয়নের পরিবর্তে অন্য দেশের সেনা সদস্যের অর্থ দেয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তা ছাড়া অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। ট্রাম্পের ভাষণের পুরোটাই জাতীয়তাবাদ ও জাতীয় ঐক্য বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। একেবারে শেষের দিকে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আমেরিকাকে আবারও শক্তিশালী করে তুলব। আমরা আবার সম্পদশালী হয়ে উঠব। আমরা আবার আমেরিকাকে গর্বিত করব। আমরা আবার আমেরিকাকে নিরাপদ করব। ধন্যবাদ!’ আমেকিাকে সত্যিই নিরাপদ আর গর্বিত করে তুলতে পারবেন তিনি? আমেরিকাসহ বিশ্ববাসীর এখন অপেক্ষার পালা একথা কতটা সত্যে রূপান্তর করেন ট্রাম্প। তাকিয়ে থাকতে হবে ভবিষ্যতের আমেরিকার দিকে। লেখক : যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শিক্ষক [email protected]
×