ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনা

পুলিশের করা জিডি আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

 পুলিশের করা জিডি আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের করা জিডি আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজেএম) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবিলম্বে জিডি সংক্রান্ত নথি ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়েছে। এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য হন। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে উপস্থিত স্থানীয় জনগণের দাবির?পরিপ্রেক্ষিতে এমপি ওই নির্দেশ দেন বলে সাক্ষীদের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে। শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে এটিসহ ছয়টি সিদ্ধান্ত এসেছে। শ্যামলী পরিবহনের নাম ও ব্যানার বেআইনীভাবে মোটরযানে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৬ নবেম্বর সংঘর্ষের আগে পুলিশ ও চিনিকল কর্তৃপক্ষের করা চারটি মামলায় বাঙালীসহ ৭১ সাঁওতালকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এসব আদেশ দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের করা জিডি আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিজেএম) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। না’গঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমকে বিচারিক নথিপত্র অবিলম্বে ঢাকায় পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারিক তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই নির্দেশনা দিয়ে এর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছনার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন তিনিই আদালতে উপস্থাপন করেন। মোতাহার হোসেন সাজু জানান, ৬৫ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্তি হিসেবে আরও নথিপত্র হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান। তদন্তের সময় মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদনে সিদ্ধান্ত এসেছে ছয়টি। নামে নিষেধাজ্ঞা ॥ শ্যামলী পরিবহনের নাম ও ব্যানার বেআইনীভাবে মোটরযানে ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে শ্যামলী পরিবহনের ব্যানার মালিক ছাড়া অন্য যারা ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে করা আবেদনটি দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। ১৭ জানুয়ারি রিট করেন শ্যামলী পরিবহনের মালিক রমেশ চন্দ্র ঘোষ। আগাম জামিন ॥ গত বছরের ৬ নবেম্বর সংঘর্ষের আগে পুলিশ ও চিনিকল কর্তৃপক্ষের করা চারটি মামলায় বাঙালীসহ ৭১ সাঁওতালকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার তা মঞ্জুর করেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
×