ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চতুর্থ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হার ৮৬ রানে

বড় জয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

বড় জয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চতুর্থ ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল (৩-১এ) অস্ট্রেলিয়া। রবিবার সিডনিতে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির (১৩০) সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৫৩ রানের বড় স্কোর গড়ে স্বাগতিক অসিরা। জবাবে ৪৩.৫ ওভারে ২৬৭ রানে অলআউট হয় আজহার আলির পাকিস্তান। শেষ দশ ওয়ানডেতে ৫ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়ান রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ওয়ার্নার, যথারীতি ম্যাচসেরার পুরস্কারও গেছে তুখোড় এই ওপেনারের পকেটে। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল অতিথি পাকিস্তান, কিন্তু পরের দুটিতে টানা হারে আগেই সিরিজ খোয়াল তারা। চলতি অস্ট্রেলিয়া সফরে এর আগে তিন টেস্টের সিরিজে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হয় মিসবাহ-উল হকের দল। দীর্ঘ এক যুগে একটি ম্যাচ জিতে ওয়ানডেতে আশা দেখালেও আজহার-মোহাম্মদ হাফিজরা শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। এ্যাডিলেডে আনুষ্ঠানিকতার পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডে বৃহস্পতিবার। ৩৫৪ রান করে জিততে হলে পাকিস্তানকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়তে হতো। রেকর্ডটা অস্ট্রেলিয়ারই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩৪ রান করে জিতেছিল স্বাগতিকরা। অবশ্য গত বছর অস্ট্রেরিয়ার দেয়া ৩৩১ রান তাড়া করে জিতেছিল সফরকারী ভারত। সেই রেকর্ড ভেঙ্গে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হলে পাকিস্তানকে ব্যাট হাতে ভাল কিছু করতে হতো। তরুণ ওপেনার শারজিল খান যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, অতিথিদের আশাও টিকে ছিল। দ্বিতীয় ওভারে সঙ্গী আজহারকে (৭) হারালেও অন্যপ্রান্তে সাময়িক একটা ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ৪৭ বলে করেছেন ৭৪ রান। স্পিনার এ্যাডাম জাম্পার বলে ওয়ার্নারের হাতে শারজিল ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর আরও কয়েকটি জুটি হয়েছে কিন্তু আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। হাফিজ কিছু সময়ের জন্য আশা দেখিয়েছিলেন। ৩০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে নিয়েছিল সফরকারীরা। ৪০ বলে ৪০ রান করে হাফিজ ফেরার পরই দ্রুত ভেঙ্গে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং-লাইন। ৮৪ রানের মধ্যে শেষ ৭ উইকেট হারায় অতিথিরা। শোয়েব মালিকের ৪৭, বাবর আজমের ৩১, ইমাদ ওয়াসিমের ২৫ হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। পেসার জস হ্যাজলউড ও লেগস্পিনার জাম্পা নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। তার আগে পাকিস্তানকে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করেন ওয়ার্নার। বিধ্বংসী এই ওপেনারের ১১৯ বলে খেলেন ১৩০ রানের ইনিংস। শেষ ১৪ ইনিংসে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, হাফ সেঞ্চুরি একটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এর আগে সবচেয়ে কম ১৩ ম্যাচে ৫ সেঞ্চুরি ছিল সাবেক তারকা ম্যাথু হেইডেনের। সঙ্গে স্মিথ ৪৯, হেড ৩৬ বলে ৫১, আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৪ বলে করেন ৭৮ রান। পেসার হাসান আলি একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। সিরিজের শেষ ওয়ানডে জিতলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের (৮ম) আর বাংলাদেশকে (৭ম) টপকে যাওয়া হচ্ছে না। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া ৩৫৩/৬ (৫০ ওভার; ওয়ার্নার ১৩০, খাজা ৩০, স্মিথ ৪৯, হেড ৫১, ম্যাক্সওয়েল ৭৮, ওয়েড ৫, স্টার্ক ০*; আমির ১/৭৫, হাসান আলি ৫/৫২, হাফিজ ০/৫৪, জুনায়েদ ০/৮২)। পাকিস্তান ২৬৭/১০ (৪৩.৫ ওভার; আজহার ৭, শারজিল ৭৪, বাবর ৩১, হাফিজ ৪০, মালিক ৪৭, উমর আকমল ১১, রিজোয়ান ১০, ইমাদ ২৫, আমির ৫, হাসান ৮*, জুনায়েদ ০; হ্যাজলউড ৩/৫৪, হেড ২/৬৬, জাম্পা ৩/৫৫, স্টার্ক ১/৪২)। ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)। সিরিজ ॥ পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-১এ এগিয়ে।
×