রাজার কুনজর থেকে বাঁচতে...

প্রাচীনকালে রাজাদের মাঝেমাঝেই প্রয়োজন হতো নতুন রানীর। কিন্তু এত রাজকুমারী তো আর পাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই, রাজ্যের পথেঘাটে কোন সুন্দরীকে পছন্দ হলেই তার স্থান হতো রাজ দরবারে। সাধারণ ঘরের মেয়ে রানী হবে, এ তো খুবই আনন্দের বিষয়। কিন্তু আদতে তা হতো না মিয়ানমারের চিন আদিবাসীদের মধ্যে। রানী হওয়ার সাধ তাদের অধরাই থেকে যেত। বিয়ে তো দূরে থাক রাজার মন ভরে গেলে, তাদের রাজপ্রসাদ থেকে বের করে দেয়া হতো। পরে সমাজও তাদের স্বীকৃতি দিত না। এই ধরনের অত্যাচারী রাজার হাত থেকে সাধারণ ঘরের মেয়েদের বাঁচাতে ওই সব মেয়ের মুখজুড়ে ট্যাটু এঁকে দেয়া হতো। যাতে তাদের সৌন্দর্য কোনভাবেই রাজাকে আকৃষ্ট না করে। নীল, সবুজ বা কালো রঙের লাইন এঁকে ভরিয়ে দেয়া হতো তাদের মুখ। গাছের রস, ষাঁড়ের পিত্ত ও পশুর চর্বি দিয়ে প্রস্তুত করা হতো সেই রং। তারপরে গাছের কাঁটা দিয়ে বিঁধিয়ে বিঁধিয়ে মুখে নক্সা এঁকে দেয়া হতো। কষ্টকর এই পদ্ধতির পরে বেশ কয়েক সপ্তাহ কেটে যেত সম্পূর্ণ সুস্থ হতে। পরবর্তীকালে ট্যাটু করার এই প্রথা চিন আদিবাসীদের মধ্যে কেবলমাত্র ‘সংস্কৃতি’র অংশ হিসেবেই রয়ে যায়। -ডেইলি সান অবলম্বনে।