ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আর মাত্র ষোলোদিন পরেই নতুন নির্বাচন কমিশন

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

আর মাত্র ষোলোদিন পরেই নতুন নির্বাচন কমিশন

শাহীন রহমান ॥ আলোচিত-সমালোচিত বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মাসেই। ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখেই বর্তমান ইসির শেষ অফিস। এ হিসেবে বর্তমান ইসির মেয়াদ আছে আর মাত্র ১৬ দিন। এরপরে কমিশনে যোগ দেবে রাষ্ট্রপতির নিয়োগকৃত নতুন ইসি। তবে তাদের অধীনে যেমন ভাল নির্বাচন পরিচালনার নজির রয়েছে। আবার নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ব্যাপকভাবে। কোন কোন মহল থেকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য বর্তমান ইসিকে সরাসরি দায়ী করেছেন। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন দাবি করেছেন আমাদের ৫ বছরে নির্বাচন কমিশনে কোন ব্যর্থতা নেই। প্রতিটি নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আগামী মাসে ৮ তারিখে বিদায় নেয়ার আগে এ ইসির অধীনে বড় কোন নির্বাচন নেই। তবে জানা গেছে আইনী জটিলতা কেটে যাওয়ার পর টাঙ্গাইল-৪ আসনের নির্বাচন এ মেয়াদেই অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া গাইবান্ধা-১ আসনের উপনির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল এ ইসির অধীনেই হবে। তবে ৫ বছর মেয়াদে তাদের কর্মকা- নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও তাদের কর্মকা- নিয়ে সন্তুষ্ট বর্তমান ইসি। তারা মনে করছে ৫ বছরের মেয়াদে তারা সব নির্বাচনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে যেসব জায়গায় অভিযোগ পাওয়া গেছে সেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু অভিযোগ বাদ দিলেও সব নির্বাচনই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে তারা মনে করছেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে বর্তমান ইসি গঠিত হওয়ার কারণে প্রথম দিকে বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে কোন মহলের অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে সবগুলো নির্বাচনেই বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় তারা বর্তমান ইসির পদত্যাগ দাবি করেছে। এমইক বর্তমান ইসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করলে শেষ পর্যন্ত তারা সফল হয়নি। ৫ বছর মেয়াদেই তারা দায়িত্ব পালন শেষে আগামী মাসে বিদায় নিচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন আহমেদ তাদের মেয়াদের ৫ বছরে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বিষয় উল্লেখ করে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা অনেক নির্বাচন করেছি। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে যিনি হারেন, তার কাছে নির্বাচন পছন্দ হয় না। সেজন্য আমরা সবাইকে খুশি করতে পারি না। সেটা সম্ভবও না। যিনি হারবেন তিনি অবশ্যই অসন্তুষ্ট হবেন। তবুও আমরা চেষ্টা করেছি। সবগুলো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জে প্রার্থী, দল ও ভোটারসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পান বর্তমান রকীবউদ্দিনের আহমেদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে শুরু করেন নির্বাচনী যাত্রা। এছাড়া জাতীয় নির্বাচনের আগেও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এই পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোন মহলের প্রশ্ন নেই। কিন্তু ভোটারবিহীন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও এরপরে সারা দেশে উপজেলা, পৌরসভা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। তবে বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংসের জন্য তীব্র সমালোচনা করা হলে ইসির পক্ষ থেকে কখনো তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়নি। সব সময় স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই তারা এসব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত উপজেলা, পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদ ও কয়েকটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এ ইসির অধীনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সে সমালোচনার অনেকটাই জবাব দিতে পেরেছেন। সব মহলে গ্রহণযোগ্য এ নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন তুলতে পারেনি। সেক্ষেত্রে বলা যায়, ইসি বিদায় বেলার নির্বাচনও ছিল সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। এরপর সারাদেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন হলে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন আগ্রহ ছিল না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন আহমেদসহ অন্য তিন জন ইসির শেষ দিন ৮ ফেব্রুয়ারি। অন্য একজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ হিসেবে ১৬ দিন মেয়াদ রয়েছে এ ইসির। ইতোমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি। কমিশনের নিয়োগের জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষ করেছেন। এছাড়া ইসি নিয়োগ বাছাই কমিটিও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে যোগ্য ব্যক্তিদের কমিশনের নিয়োগদানের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও বর্তমান কমিশনও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই গঠিত হয়েছিল। এ কমিশনের তাদের মেয়াদে জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের প্রায় ৫ বছর মেয়াদের প্রায় সব নির্বাচন একবার করে সম্পন্ন করেছে। যা শুরু হয়েছিল দেশের বড় চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে। যা শেষ হয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে। এ ইসির বাড়তি পাওয়া দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন করা। এছাড়া উপজেলা পরিষদে নারী সদস্যদের ভোটে নারী সদস্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এছাড়া সব নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়াকে অনেকে বর্তমান ইসির সাফল্য হিসেবেই দেখছেন। এছাড়া তাদের অধীনেই প্রথমবারের মতো সম্পন্ন হয়েছে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন। যা দেশ স্বাধীনের পর থেকে নির্দলীয়ভাবে হয়ে আসছে। এসব বাদ দিলে দেশের অন্যসব নির্বাচনই ধারাবাহিক নিয়মে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এসব নির্বাচন পরিচালনা করতে গিয়ে বর্তমান ইসি যেমন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। তেমনি সাফল্যের সঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন করার নজির রয়েছে। তবে মুষ্টিমেয় কয়েকটি নির্বাচন বাদ দিলে বেশিরভাগ নির্বাচন নিয়ে ইসির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষ করে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল সিলেট এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্তমান ইসি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করতে পেরেছেন। সর্বশেষ ভাল নির্বাচনের তালিকায় যোগ হয়েছে নারায়ণগঞ্জন সিটি নির্বাচন। যা সব মহলেই প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাদ দিলে উপজেলা, পৌরসভা নির্বাচন, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন, সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন যেভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বিভিন্ন মহল থেকে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে এই ইসির বিরুদ্ধে। নির্বাচনে ব্যাপক ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ফ্রি স্টাইলে ব্যালটে সিল মারা, রাতের আঁধারে ব্যালট বাক্স ভরা, হামলা ও খুনখারবির মতো ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়ায় বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত ছিলেন কোণঠাসা। বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের জন্য ছিল না কোন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড। বলতে গেলে তারা রিরোধী দলীয় প্রার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যে নির্বাচনী প্রচারের মাঠে নামতে পারেনি। সব সময় প্রতিপক্ষের হামলা ও আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। অপর দিকে নির্বাচনী মাঠ ছিল এককভাবে সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের দখলে। বিরোধী প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারেরও অভিযোগ করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু এ বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আমলে না নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এমনি পক্ষপাতিত্ব কোন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রভাবিত করার জন্য কোন কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এসব নির্বাচনে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে সরকারী দল বাদ দিলে প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থীর এজেন্ট, নির্বাচনে তাদের এজেন্ট পর্যন্ত দিতে না পারার অভিযোগ করা হয়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। এর বাইরের যারা সরকার দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছে তাদের অবস্থাও ছিল একই। জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রায় সব নির্বাচনেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। অতীতে কখনো এত বিপুল পরিমাণ প্রার্থীর বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। যা এই ইসির সময়ে ঘটেছে। অবশ্য এসব ঘটনাকে ইসির পক্ষ থেকে স্বাভাবিত হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্র ভোটার শূন্য ছিল। তবে ভোটার না থাকলে ফ্রি স্টাইলে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানোর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৩শ’ আসনের মধ্যে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। যা আগের কোন নির্বাচনে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া জতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বানচালের ঘোষণার কারণে কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়া, ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা প্রতিপক্ষের ওপর হামলাসহ নানা হিংসাত্মকমূলক ঘটনা ঘটেছে। আগে থেকে নির্বাচন বর্জনের হুমকি প্রদান নির্বাচনে বাধাদানের ঘোষণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। ফলে নির্বাচনও হয়েছে অনেকটা একতরফা। তবে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও এর পরপর অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করে। সারাদেশে ৬ দফায় প্রায় ৪৮৫ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রথম তিনদফায় নির্বাচন অনেকটা সুষ্ঠু হলে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক দাঙ্গা হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। এছাড়া নির্বাচনে কারচুপি, ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই জালভোট প্রদান, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা এবং ভোট গ্রহণ শেষে গণনা নিয়ে হাঙ্গামার কারণে অনেকেই নিহত হয়। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে ইসির ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইনে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সব ধরনের ক্ষমতা ইসিকে দেয়া হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইসি ইচ্ছা করলে যে কোন ধরনের আইন তৈরি করতে পারে। কিন্তু ক্ষমতা থাকার পরও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তার দায় কমিশনকেই বহন করতে হবে। এর দায় সরকার বা অন্য কারোর ওপর চাপানোর সুযোগ নেই। যদিও সুষ্ঠু নির্বাচন অনেকটাই সরকারের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু সর্বশেষে নির্বাচনে ব্যর্থতার দায় কমিশনের ওপর এসেই বর্তায়। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া কিছু নির্বাচন বাদ দিলেও বাকি নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। এসব নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এই ইসির অধীনে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তাতে দেশে সুস্থ ধারার নির্বাচনী সংস্কৃতি ফিরে আসা কঠিন হয়ে পড়বে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকীবউদ্দিন বলেন, ৫ বছরের দায়িত্ব পালনকালে ‘দুটি নির্বাচন আমরা করেছি প্রথমবারের মতো। উপজেলা সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য নির্বাচন যেটা আগে কখনও হয়নি। অপরটি জেলা পরিষদের নির্বাচন। এছাড়া ৫ বছরের দায়িত্বপালনে সব নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়েছে বলে তিনি দাবী করেছেন।
×