ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পাল্টে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

পাল্টে যাচ্ছে সেন্টমার্টিন

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ কথায় আছে যে জায়গায় শিক্ষিত ও জ্ঞানী-গুণী লোকজনের কদম পড়ে, সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে। একথা প্রমাণ করে দিয়েছে দেশের দক্ষিণ সীমানার সেন্টমার্টিন দ্বীপে। প্রায় দুই দশক আগে নারিকেল জিঞ্জিরা তথা সেন্টমার্টিনে বসতি ছিল হাতেগোনা কয়েকটি বাড়ি মাত্র। লোকসংখ্যা ছিল খুবই কম। খাবার হোটেল ছিল ২-৩টি। আবাসিক হোটেল (কটেজ) ৪-৫টি। বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার লোকের বসবাস। ১৯৮৮ সালে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে মাত্র ১৬ হাজার টাকায় ২২ শতক জমি কিনে নেন দেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯৩ সালে সেখানে গড়ে তোলা হয় সমুদ্র বিলাস নামে একটি রিসোর্ট। বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টিতে বহু উন্নয়ন হয়েছে। অনেক আধুনিকতার ছোঁয়াও পেয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। সরকারের নানামুখী উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে সেন্টমাটিনের চেহারা। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারিতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ সেন্টমার্টিনদ্বীপ নিয়ে উপন্যাস ‘রূপালী দ্বীপ’ তথা ‘দারুচিনি দ্বীপ’ লিখে দারুণ প্রভাব ফেলে তরুণ সমাজের মধ্যে। এরপর থেকে সেন্টমার্টিনদ্বীপে আসতে থাকে দলবেঁধে পর্যটক। বর্তমানে ওই দ্বীপে ৪০টি রেস্তরাঁ ও প্রায় অর্ধশতাধিক আবাসিক হোটেল-কটেজ গড়ে উঠেছে। দেশের মূল ভূ-খ- থেকে বিচ্ছিন্ন এই প্রবালদ্বীপে আগেকার মতো দরিদ্রতা নেই। পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে এই দ্বীপের বাসিন্দারা বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য করে বর্তমানে স্বাবলম্বী। এই দ্বীপে রয়েছে হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত কটেজ ‘সমুদ্র বিলাস’। প্রতিবছর ভ্রমণে এসে তাঁর বহু ভক্ত পর্যটক ওই কটেজে ভিড় করে থাকে। হাজারো স্মৃতির কথা বিবেচনায় নতুন করে কটেজটি সংস্কার ও বড় পরিসরে নতুন কটেজ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী শাওন। এদিকে স্থানীয়রা সেন্টমার্টিন দ্বীপের চতুর্দিকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নুর আহমদ জানান, ভাঙ্গনের কবলে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পরিবেশ প্রতিবেশ ও পর্যটন শিল্প রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
×