ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর সুদ মওকুফ করছে আইসিবি

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীর সুদ মওকুফ করছে আইসিবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্জিন ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ১২ হাজার ৮৪৯ জন বিনিয়োগকারীর সুদ মওকুফ করছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এসব বিনিয়োগকারীদের ১৪৩ কোটি ৬ লাখ টাকা সুদ মওকুফ হচ্ছে। জানা গেছে, এরইমধ্যে ৪ হাজার ৪২টি বিও’র ১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৩ টাকা ৮ পয়সা সুদ মওকুফ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কয়েকজন বিনিয়োগকারীর ৮০ শতাংশ সুদ মওকুফ করা হয়েছে, সেখানে আদায় হয়েছে ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৮ টাকা। এ বিষয়ে আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইফতেখার উজ জামান বলেন, পুঁজিবাজারে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ১ জানুয়ারি ২০১১ সাল থেকে ৩০ জুন ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ৮০ ও ১০০ শতাংশ সুদ মওকুফ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের দুই ভাগে সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭৭৫টিতে শতভাগ এবং ৭ হাজার ৭৪টি বিও হিসাবধারীদের ৮০ শতাংশ সুদ মওকুফ করা হচ্ছে। তবে তার জন্য বিনিয়োগকারীদের আগামী জুনের মধ্যেই আইসিবি ইনভেস্টরস স্কিমের নিয়ম অনুসরণ করে আবেদন করতে হবে। ইফতেখার বলেন, ‘পুরনো বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফেরানোর পাশাপাশি বাজারে লেনদেন বাড়াতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর ফলে গত ৬ বছর প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ২৫০ কোটি টাকার বেশি (আইসিবির) লেনদেন হচ্ছে। ‘অথচ এতে আমাদের ১৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।’ তবে লেনদেন বাড়লে সামগ্রিকভাবে পুঁজিবাজারের সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান উপকৃত বলে মনে করেন তিনি। আইসিবি সূত্র জানায়, ঢাকার প্রধান কার্যালয় ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, বগুড়া এবং স্থানীয় কার্যালয় মিলে শেয়ারহীন অর্থাৎ শূন্য সম্পদ বিশিষ্ট ৫ হাজার ৭৭৫টি বিও হিসাবধারী এবং শেয়ার আছে কিন্তু সুদ প্রদান করতে না পারায় লেনদেন হচ্ছে না এরকম ৭ হাজার ৭৪টি বিও হিসাবধারীকে আইসিবি ইনভেস্টরস স্কিমের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৪৮৩তম সভায় পরিচালনা বোর্ড এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সুযোগ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবত থাকবে। এসব বিও হিসাবধারীদের মধ্যে যাদের বিও হিসাবে শেয়ার রয়েছে অর্থাৎ ৮০ শতাংশ ৭ হাজার ৭৪টি বিও হিসাবধারীদের আগামী ৩০ জুনের আগে সুদ মওকুফের পর বাকি থাকা ২০ শতাংশ সুদ আইসিবিকে দিতে হবে। সেজন্য তিনি ইচ্ছে করলে তিন ধাপে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। এর আগে যারা রিবেট সুবিধা (ছাড় সুবিধা) নিয়েছেন তারাও এ বিশেষ সুবিধার আওতাভুক্ত হতে পারবেন। মওকুফ হওয়া সুদের ওপর ১ জুলাই ২০১৬ থেকে মওকুফ কার্যকর হওয়ার দিন পর্যন্ত সুদ আরোপ করা হবে না। তবে সেজন্য শর্ত হচ্ছে, মওকুফ হওয়া সুদ কোন অবস্থায় ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের ডেবিট ব্যালেন্স এবং অনিশ্চিত হিসাবে রক্ষিত সঞ্চিতির চেয়ে বেশি হতে পারবে না।
×