নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর মান্দায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১০ বিঘা জমি দখল করে পুকুর খনন করছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। পাউবোর জমি ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানার আরো অন্তত ২০ বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে এ পুকুর খননের কাজ। কৃষি জমির শ্রেণিও পরিবর্তন করা হচ্ছে গোপনে। স্থানীয় প্রশাসনসহ পাউবো কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে উপজেলার কয়লাবাড়ি এলাকায় গত দু’সপ্তাহ ধরে রাতের অন্ধকারে ভেকু মেশিনে কাটা হচ্ছে পুকুরটি।
স্থানীয়রা জানান, আত্রাই নদীর ডান তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঘেঁষে পাউবোর অধিগ্রহন করা জমিতে পুকুর খননের কাজ করছেন কয়লাবাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নান, আবেদ আলী ও কর্ণভাগ গ্রামের রফিকুল ইসলাম। এদের নেপথ্যে রয়েছেন তালপাতিলা সরদারপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী সাইদুর রহমান। দখলকারীরা পাউবোর জমি সংলগ্ন তেগাড়া ময়নাডাঙ্গা গ্রামের শামীর উদ্দিন, আবুল কালাম, সিদ্দিক হোসেন, মহসীন আলীসহ কয়েক ব্যক্তির আরো অন্তত ২০ বিঘা ফসলি জমি চুক্তিতে নিয়ে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুরটি খনন করা হলে বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে দাবি করেন তারা।
কয়লাবাড়ি গ্রামের কফিল উদ্দিন, আব্দুর রহমান, কর্ণভাগ গ্রামের আনিছার রহমান, আব্দুল মালেকসহ অনেকে জানান, অবৈধ এ পুকুর খননের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা। রাতের অন্ধকারে চলছে খননের কাজ।
তারা আরো জানান, আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান গত দু’বছর ধরে ভাঙ্গা থাকলেও তা মেরামতে উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তখন রাত জেগে বাঁধটি পাহারা দেন তারা।
দখলকারী সাইদুর রহমান জানান, পুকুর খননে পাউবোর অনুমতি নেয়া হয়নি। ব্যক্তি মালিকানার জমিগুলো বছরে ১৪ হাজার টাকা বিঘা হারে ১০ বছরের জন্য লিজ নেয়া হয়েছে। কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়নি বলেও তিনি স্বীকার করেন।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়ে কাজটি বন্ধের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছিল। আদেশ অমান্য করায় এ বিষয়ে মান্দা থানায় একটি এজাহার দায়েরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: