ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে এবার সরিষার বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ০০:৫০, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

শেরপুরে এবার সরিষার বাম্পার ফলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শস্যভান্ডার খ্যাত শেরপুরের নকলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। নকলার চরাঞ্চলসহ দো-আঁশ মাটির মাঠজুড়ে শুধু পাকা সরিষা ক্ষেত। কৃষক-কৃষাণীরা সরিষা তোলা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ মৌসুমে প্রতি একর জমিতে ১৫ থেকে ১৭ মণ সরিষা উৎপাদন হয়েছে। ফলে উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৭শ’ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৭ কোটি টাকারও বেশি। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নকলা উপজেলায় ২ হাজার ৭৫০ একর (১১শ’ হেক্টর) জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে বিনা জাতের ১৫০ একর, বারি-১৪ জাতের ১ হাজার ১২৫ একর, বাকি সব টরী-৭ জাতের সরিষা বপন করা হয়েছিলো। বীজ উৎপাদনের জন্য ৪০টি, বিনা জাতের ১০ টি ও পুষ্টি প্রকল্পের ৩ টি প্রদর্শনী প্লট ছিলো। ফলন ও বাজার দুটোই ভালো হওয়ায় ওইসব এলাকার সরিষা আবাদকারী কৃষকরা বেজায় খুশি। নতুন সরিষা বিক্রির জন্য এখনও বাজারে উঠেনি, তবে পুরাতন সরিষা প্রতি মণ ১ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ওই দামে নতুন সরিষা বিক্রি করতে পারলে প্রতি একরে ২৪ হাজার ৭৫০ টাকা থেকে ২৮ হাজার টাকার সরিষা পাবেন কৃষকরা। কায়দা গ্রামের কৃষক রহুল আমিন এবার ৩ একর জমিতে সরিষার আবাদ করেন। সরেজমিনে গেলে তিনি জানান, তার প্রতি একরে ১৫ থেকে ১৬ মণ করে সরিষা আবাদ হয়েছে। এর ফলে এ মৌসুমেই তিনি প্রায় ৭৫ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করতে পারবেন। এদিকে স্বল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় নকলা এলাকায় দিন দিন বাড়ছে সরিষার চাষ। সরিষার পাইকার ও রাখি ব্যবসায়ীরা বলেন, অন্যান্য শস্য কিনে রেখে দিলে লোকসানের সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু সরিষা মজুদ করে এ পর্যন্ত কোন দিন লোকসান গুণতে হয়নি। বরং অন্য পণ্যে লোকসান হলে সরিষা দিয়ে তা পুষিয়ে যায়। তাই তারা সরিষা বেশি করে রাখি করেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, কৃষি বিভাগের তরফ থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সরিষা আবাদ অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা অলাভজনক অন্য আবাদ ছেড়ে এখন সরিষার দিকে ঝুঁকছেন।
×