ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ভার্সিটি ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক ॥ উপাচার্য

প্রকাশিত: ০৭:৩৮, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল ভার্সিটি ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক ॥ উপাচার্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সমাধান শীঘ্রই হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। তিনি বলেন, শনিবার ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসাসেবা ছিল স্বাভাবিক। ডিন কমিটির বৈঠক হয়েছে। আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা রয়েছে। কারো গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন উপাচার্য। শনিবার দুপুরে বিএসএমএমইউর সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য একথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ শহীদুল্লাহ সিকদার ও উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ শারফুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে প্রায় একঘণ্টা মুখোমুখি অবস্থান নেয় বিবদমান দু’পক্ষ- উপউপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ এএসএম জাকারিয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান সমর্থিত চিকিৎসকরা। উপাচার্য বলেন, বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গেও বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। উপউপাচার্যের ওপর হাত তোলার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করছি যে, এমন ঘটনা ঘটেনি। একজন উপাচার্য কারও গায়ে হাত তুলতে পারেন না। আর প্রমাণিত হলে, যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তারা যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি তা মেনে নেব। নার্স নিয়োগের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সব আইন মেনেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। আমি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আইনের কোন ব্যত্যয় দেখিনি। নার্স নিয়োগ কার্যক্রম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সকল নিয়মকানুন অনুসরণ করার পরও চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করাটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট অনুমোদিত নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। সম্প্রতি এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৩১৭ সিনিয়র স্টাফ নার্স সরকারী চাকরি নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। ফলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। বিধি অনুসরণ করার লক্ষ্যেই নিয়োগ নীতিমালার আলোকে লিখিত পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে গত ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক, ঢাকা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ, ইনস্ট্রাক্টর, মহাখালীর কলেজ অব নার্সিংয়ের অধ্যক্ষ, বারডেম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ১৪ শিক্ষকের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষার আগেই বিধি অনুসরণ করে নি¤েœাক্ত কমিটিসমূহ/টিম গঠন করা হয়। কমিটিগুলো হলো সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের নিমিত্তে প্রশ্নপত্র মডারেশন কমিটি, লিখিত পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি, লিখিত পরীক্ষা সার্বিক তত্ত্বাবধানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন এবং লিখিত পরীক্ষার আনসার স্ক্রিপটস ওএমআর মেশিনে স্ক্যানিং এবং ফল প্রস্তুতকরণে সার্বিক দায়িত্ব পালনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকগণের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সবশেষে চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য নির্বাচনী বোর্ড গঠন করা হয়। এত কমিটি থাকার পর নিয়োগ পরীক্ষা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে না। হঠাৎ নিয়োগ পরীক্ষার দায়ভার একক কারও ওপর ইচ্ছেমতো চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টার বিষয়টি অবশ্যই ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ কামরুল হাসান খান। এদিকে উপাচার্যকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগে চিকিৎসকদের একটি অংশ বেলা পৌনে এগারোটা থেকে দুপুর পৌনে বারোটা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। তবে বিক্ষোভের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটডোর বিভাগ খোলা ছিল। চিকিৎসাসেবা পান রোগীরা। সরেজমিন আউটডোর বিভাগে গিয়ে রোগী ও স্বজনদের কাউন্টারে টিকেট কাটতে দেখা গেছে। রোগীর সংখ্যা কম থাকলেও তারা চিকিৎসা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
×