ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এক লাখ অমুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে ডিজিটাল সনদপত্র দেয়া হবে ॥ নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

এক লাখ অমুক্তিযোদ্ধা  বাদ দিয়ে ডিজিটাল  সনদপত্র দেয়া  হবে ॥ নৌমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২১ জানুয়ারি ॥ দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই চলছে, বিভিন্ন সময়ে এক লাখ অমুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়েছে। এখন তাদের বাদ দিয়ে ডিজিটাল সনদপত্র তৈরি করে দেয়া হবে। এতে আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে বিভিন্ন সময়ে অনেক অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে। এগুলো বেড়ে এক লাখ ছাড়িয়েছে। এখন সময় এসেছে ভুয়াদের শনাক্ত করার। কারণ, যারা মুক্তিযোদ্ধা নয় তাদের কোনমতে মুক্তিযোদ্ধা করা যাবে না। সেই যাচাই-বাছাই এখন থেকে শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করব যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তাদেরই ডিজিটাল সনদপত্র দেয়ার। এতে আর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি হতে পারবে না। শনিবার সকালে মাদারীপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেন সমাজ কল্যাণ সংস্থা ও আলোড়ন ’৯২ ব্যাচের উদ্যোগে দুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছেন, যারা ট্রেনিং গ্রহণ করেছেন, রণাঙ্গনে যারা সরাসরি যুদ্ধ করেছেন তারাই একমাত্র হবেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। মন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন কর্মকা- তুলে ধরে বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল। ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে বসে জনৈক ইউসুফের কথায় আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করেছিল। বহুবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। পবিত্র ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিএনপি-জামায়াত সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, পুলিশ পুড়িয়ে মেরেছে, শতশত গাড়ি পুড়িয়েছে, শ্রমিক পুড়িয়ে মেরেছে, পবিত্র কোরান শরীফ পুড়িয়েছে, শহীদ মিনার ভেঙ্গেছে, মসজিদে হামলা করেছে। তারা এ দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছে। শাজাহান খান সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন সারাবিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিশ্ববাসী আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না। দরিদ্র-অতিদরিদ্রের হার কমে এসেছে। এক সময় আমাদের খাদ্য আমদানি করতে হয়েছে, এখন আমরা খাদ্য রফতানি করি। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কাজী আশিকুর হোসেন অপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ কালাম উদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আলম বাবু চৌধুরী, বর্তমান মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ মোঃ শাহজাহান হাওলাদার, একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী কাজী আনোয়ার হোসেনের ভাই কাজী মনোয়ার হোসেন, পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অব নেচারের সভাপতি রাজন মাহমুদ ও মীর এনামুল হক। এ সময় দেড় হাজার অসহায়, দুস্থ ও প্রতিবন্ধীর মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
×