ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন নতুন মামলা আসছে ট্রাইব্যুনালে

ছয় বছরেও চূড়ান্ত হয়নি সাক্ষী সুরক্ষা আইন

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

ছয় বছরেও চূড়ান্ত হয়নি সাক্ষী সুরক্ষা আইন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন কমিশনের সুপারিশ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর ৬ বছরেও চূড়ান্ত হয়নি ‘সাক্ষী সুরক্ষা আইন’। স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিলেও এখন পর্যন্ত আইন প্রণয়নের কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাক্ষীদের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে মন্ত্রণালয়। এদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে নতুন মামলা আসছে। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হলেও এখন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের রাজাকারদের বিচার করার জন্য একের পর এক মামলা আসছে। চলতি মাসে প্রায় দুই থেকে তিনটি মামলা আসবে। তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন সূত্রে এ খবর জানা গেছে। আইন কমিশনের সুপারিশ ও উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পর সাক্ষীর নিরাপত্তা সুরক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ আইন তৈরির পরিকল্পনা করে সরকার। নতুন আইনে কোন কোন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে তা নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বিনিময়ের মধ্যেই দীর্ঘ সময় গড়িয়ে যায়। আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইনটি চূড়ান্তকরণে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কাজ করছে, আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সম্পন্ন হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে যারা এখন পর্যন্ত সাক্ষী হয়েছেন তারা নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর যাদের সাক্ষ্য দিতে তালিকাভুক্ত করা হয় তাদের অনেকে ভয়ে শেষ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিতে রাজিই হন না। তাতে তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটরদের মারাত্মক বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। জানা যায়, লক্ষাধিক সাক্ষী নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। যাদের ইতোমধ্যে সাক্ষ্য হয়েছে, তারা এখন নিজ নিজ এলাকায় আতঙ্কে দিনযাপন করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ২৫টি মামলায় ১১৬ জনের বিচার চলছে। আরও নতুন নতুন মামলা আসছে বলে জানা গেছে। চলতি মাসে একাধিক মামলা আসছে বলে প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। বর্তমানে যে সমস্ত মামলা আছে তার মধ্যে নেত্রকোনার ১৬ রাজাকার রয়েছে। তারা হলো মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ আব্দুল খালেক তালুকদার, মোঃ কবির খান, আব্দুস সালাম বেগ, মোঃ নুরুদ্দিন ওরফে রাদিন, মোঃ খলিলূর রহমান, আবুল কালাম ওরফে মোঃ সামসুজ্জামান কালাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ আব্দুল মালেক আকন্দ, আক্কেল আলী ইলিয়াস, মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ খলিলুর রহমান, রমজান আলী, আশেক আলী, শাহনেওয়াজ। কক্সবাজারের ১৯ রাজাকারের মধ্যে রয়েছে, সালামত উল্লা খান, মৌলবী মোহাম্মদ জাকারিয়া সিকদার, মোহাম্মদ রাশিদ মিয়া, ওলি আহম্মেদ, মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মমতাজ আহম্মেদ ওরফে মনতাজ, হাবিবুর রহমান, মৌলবি আমজাদ আলী, মৌলবি আব্দুল মাজিদ মাষ্টার, বাদশা মিয়া, ওসমান গনি, আব্দুস শুকুর মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলবি জলিল, মৌলবি রামিজ হাসান, এসআই শামসুল হক, কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের মধ্যে সৈয়দ মোঃ হাসান ওরফে হোসেন, মোসলেম প্রধান। সাতক্ষীরার আব্দুল খালেক ম-ল। পটুয়াখালীর দুই রাজাকার মোঃ ইসহাক সিকদার, এ গনি ওরফে এ গনি হাওলাদার। ময়মনসিংহের ২৪ রাজাকারের মধ্যে এম এ হান্নান, মোঃ রফিক আজাদ, ডাঃ খন্দাকার গোলাম সাব্বির আহম্মেদ, মিজানুর রহমান, মোঃ হরমুজ আলী, মোঃ ফারুকুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সাত্তার, খোন্দকার গোলাম রাব্বানী, রেজাউল করিম ওরফে এএস এম রেজাউল হক ওরফে আক্কাস মৌলবি, এবিএম ইউনুস আলী, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ ইসমাইল, একেএম বেলায়েত হোসেন, কাজী বদরুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম, শামসুল ফারুক, সুরুজ আলী ফকির, মোঃ জয়নুদ্দিন ফারুক, মোঃ আব্দুর রহমান মাষ্টার, মোঃ জালাল উদ্দিন, রিয়াজউদ্দিন ফকির, ওয়াজউদ্দিন । নোয়াখালীর ৪ রাজাকারের মধ্যে মোঃ আমির আহম্মেদ, আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর, জয়নুল আবেদীন, আব্দুল কুদ্দুস। মৌলবিবাজারের ১২ রাজাকারের মধ্যে শামসুল হোসেন তরফদার, মোঃ নাসির আলী, ইউনুস আহম্মেদ, মোঃ আজাদ আহম্মেদ চৌধুরী, মোবারক মিয়া, রাজ্জাক মোঃ আকমল আলী, তালুকদার, আব্দুর নুর তালুকদার, মোঃ আনিস মিয়া, মোঃ আবদুল মোসাব্বির মিয়া, মোঃ আব্দুল আজিজ ওরফে হাবলু, আব্দুল মিলন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই মিয়া। হবিগঞ্জের দুই রাজাকার মোঃ লিয়াকত আলী, আমিনুল ইসলাম। গাইবান্ধার ১২ রাজাকার মধ্যে আবু সালেহ মোঃ আব্দুল আজিজ ওরেফ ঘোড়ামারা আজিজ, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ আব্দুল লতিফ, আবু মসলেম হুদা, মোঃ আবদুর রহমান মিয়া, মোঃ আব্দুল জব্বার ম-ল, মোঃ জাগিজার রহমান, মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ ম-ল, মোঃ মমতাজ আলী ব্যাপারি, মোঃ আজগর হোসেন খান, মোঃ রনজু মিয়া, নড়াইলের দুই রাজাকার আব্দুল ওয়াহাব, মোঃ ওমর আলী শেখ। বাগেরহাটের ১৩ রাজাকারের মধ্যে রয়েছে, খান আশরাফ আলী, খান আকরাম হোসেন, সুলতান আলী খান, রুস্তম আলী মোল্লা, মোকসেদ আলী দিদার, ইদ্রিস আলী মোল্লা ,শেখ মোঃ উকিল উদ্দিন, শেখ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মুনিরুজ্জামান হাওলাদার, মোঃ আজাহার আলী সিকদার, মোঃ মোকবুল মোল্লা, শেরপুরের এসএম আমিনুজ্জামান ফারুক, কুমিল্লার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, নেত্রকোনার ৫ রাজাকার মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ খলিলুর রহমান, রমজান আলী, আশেক আলী, শাহনেওয়াজ। টাঙ্গাইলের মোঃ মহিবুর রহমান, যশোরের, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান।
×