ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহিলার পেটে দেড় কেজি সোনার বার

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

মহিলার পেটে  দেড় কেজি  সোনার বার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরুষের পেট থেকে সোনা বের করার এক সপ্তাহ পর এবার এক নারীর পেটে মিলেছে দেড় কেজি সোনা। চিকিৎসকদের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকলেও- এমনই ঘটনা ঘটেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। শনিবার মালয়েশিয়া থেকে আগত জোবায়ের আক্তার নামে এই নারী যাত্রীর পেট থেকে দেড় কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছেন ঢাকা কাস্টমস হাউস কর্মকর্তারা। ওই নারী যাত্রীকে এক্স-রে করে পানি খাইয়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর পেট থেকে বিশেষ কৌশলে এ স্বর্ণ বের করা হয়। সোনার বারগুলোর মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ টাকা। পেটের ভেতর সোনা আনার প্রবণতা বাড়ায় এখন শাহাজালাল বিমানবন্দরে এক্সরে মেশিন ইউনিট বসানোর চিন্তা করছে কাস্টমস বিভাগ। কাস্টমস সূত্র জানায়, এ ধরনের চোরাচালানে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস হলের কর্তব্যরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রচ- বাড়তি ঝামেলা মোকাবিলা করতে হয়েছে। বিমানবন্দরের ডিউটি ফেলে রেখে চোরাচালানীদের নিয়ে ছুটতে হয় উত্তরার হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। চিকিৎসকদের সহায়তা নিয়েই নিরাপদ উপায়ে বের করতে হয় সোনার চালান। এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার এইচএম আহসানুল কবির জানান, শনিবার যাত্রী জোবায়ের আক্তার বিজি ০৮৭ বিমানযোগে কুয়ালালামপুর থেকে শাহজালালে নামেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পরও তিনি অস্বীকার করে আসছিলেন। তার বাড়ি নড়াইল। আহসানুল কবির জানান, প্রথমে তাকে বুঝিয়ে তার পেটে লুকানো স্বর্ণের বারগুলো স্বেচ্ছায় বের করে দিতে বলা হয়। কিন্তু জোবায়ের ছিল সুপার কনফিডেন্ট। তার পেটে বিমানে খেয়ে আসা নাস্তা ছাড়া কিছু নাই! পরে বাধ্য হয়ে তার পেটে এক্স-রে করতে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। এক্স-রে রিপোর্ট দেখে উনি কাস্টমস কর্মকর্তার চেয়েও বেশি অবাক! ঘুমের ঘোরে মালয়েশিয়ান বন্ধুরা কি খাইয়েছে না খাইয়েছে! ঘোর কাটাতে দুই ঘণ্টা পার। তৃতীয় ঘণ্টা পর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তাকে পেট থেকে স্বর্ণ বের করার চেষ্টা করা হয়। পানি খাইয়ে, নানাবিধ শারীরিক কসরত আর চাপাচাপি করে রেক্টাম থেকে একে একে স্বর্ণের বারগুলো বের করা হয়। একটি দু’টি নয়, ১৫টি চকচকে স্বর্ণের বার। ওজন ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। এদিকে কিভাবে কোন পদ্ধতিতে তিনি পেটের ভেতর সোনার চালান ঢুকিয়েছেন সেটা স্বীকার করেননি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। নকল মোবাইল এদিকে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৪ হাজার ৯০০ ভুয়া আইএমইআই নম্বর যুক্ত মোবাইল ফোন সেট জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, শুক্রবার রাতে খালাসের সময় এসব জব্দ করা হয়েছে। কারা এ চালান এনেছে তদন্ত চলছে।
×