ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

এক জঙ্গীর এ্যাকাউন্টে ৬৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য মিলেছে

রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ আল এ্যাকিন আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ করছে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ আল এ্যাকিন আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ করছে

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র লড়াই করার নামে গঠিত আলোচিত বিদ্রোহী সংগঠন ‘আল এ্যাকিন’ বিপুল অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ করছে। ওসব আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের কাজে ছদ্মবেশে সক্রিয় রয়েছে বাংলাদেশে নিয়োজিত কতিপয় রোহিঙ্গা জঙ্গী। অবৈধ-বেআইনী এ কাজে কক্সবাজারে ঘাপটি মেরে থাকা মৌলবি শফিক নামে এক জঙ্গীর এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৬৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা এ বিশাল অঙ্কের টাকা লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা। ইসলামী ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকে এক রোহিঙ্গা জঙ্গীর এ্যাকাউন্ট থেকে এ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে প্রশাসন তথ্য পেয়েছে। বিদেশ থেকে মোটা অঙ্কের এ টাকা জঙ্গীদের ব্যবহারের জন্য এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাহাড়ের গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া আনসার ক্যাম্প থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র এবং মঙ্গলবার আটক দুই জঙ্গীর কাছ থেকে জব্দকৃত ৭৮ পাইপবোমা তৈরির সরঞ্জামাদি ওই সন্ত্রাসী সংগঠন আল এ্যাকিনের জন্য যোগাড় করা হচ্ছিল বলে সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, আরএসও, আরএনও, এআরআইএফসহ কয়েকটি রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন থেকে বাছাই করে অস্ত্র চালনায় দক্ষ ও বিদেশে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কিছু রোহিঙ্গাকে নিয়ে ২০১২ সালে মিয়ানমারে গঠিত হয় আরাকান বিদ্রোহী সংগঠন ‘আল এ্যাকিন।’ আরাকানের বিভিন্ন পাহাড়ে এদের আস্তানা। অন্তর্জাতিক জঙ্গী সংস্থার সঙ্গে রয়েছে আল এ্যাকিনের যোগাযোগ। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের ঘটনায় আল এ্যাকিনের সশস্ত্র গেরিলা ট্রেনিং আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংস্থার সমর্থন আদায় করতে পেরেছে। তারা এদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চলছে। সম্প্রতি মিয়ানমারের মংডুর কাইয়ারবিলে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুলিশের (বিজিপি) তিনটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা, ৯ বিজিপি সদস্যকে হত্যা এবং বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটের ঘটনার পর দায় স্বীকার করে আল এ্যাকিনের প্রধান আবু আম্মর জুনুনী ফেসবুকে একাধিক ভিডিওবার্তা পাঠায়। সশস্ত্র পাহারারত অবস্থায় ইতোপূর্বে পোস্ট করা ওসব ভিডিওবার্তায় রোহিঙ্গা অধিকারের জন্য তাদের আহ্বানে রোহিঙ্গা যুবকদের সাড়া দেয়ার অনুরোধও জানানো হয়। মিয়ানমারের ওই ঘটনার পর বেশ কিছুদিন ফেসবুকে সক্রিয় ছিল এ জঙ্গী গ্রুপ। অবশ্য বর্তমানে অনেকটাই পর্দার আড়ালে চলে গেছে ওসব সশস্ত্র ক্যাডার। সূত্র জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন আল এ্যাকিনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং শক্তিশালী বোমা পৌঁছে দিতে গ্রুপটির পক্ষে বাংলাদেশে নিয়োজিত করা হয়েছে অন্তত ২০ রোহিঙ্গা জঙ্গীকে। তারা বিদেশী অর্থায়নে অস্ত্র কিনে, লুট ও বোমা তৈরি করে মিয়ানমারে পাঠাতে গোপনে কাজ করছে। কক্সবাজারে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে এনে রাখা হয়েছে বোমা তৈরির দক্ষ কারিগরকে। তবে র‌্যাবের অভিযান ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ দুই জঙ্গীকে আটকের ঘটনা হঠাৎ কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের জন্য। আল এ্যাকিনের পক্ষে গোপনে নেতৃত্বে রয়েছে রোহিঙ্গা জঙ্গী মৌলবি শফিকুর রহমান ও কথিত মাস্টার আছুব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ দুই রোহিঙ্গা জঙ্গীকে ধরতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সরকার ইতোপূর্বে গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে দেশটির বিজিপির কাছে হস্তান্তর করে জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে (মিয়ানমার) হামলাকারী সন্ত্রাসীরা এ দেশে অবস্থানের খবর পেলে তাদের গ্রেফতার করে সোপর্দ করা হবে মিয়ানমারে। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশমতে র‌্যাব মঙ্গলবার রাতে শহরের রোমালিয়াছড়ায় মৌলবি শফিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু এ রোহিঙ্গা জঙ্গী র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে মিয়ানমারে হামলার কাজে ব্যবহার করতে এ দেশে অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহের মতো রোহিঙ্গাদের এ জঘন্য অপরাধমূলক কাজ কখনও মেনে নেয়া যায় না বলে মত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর রাতে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু পাহাড়ের গর্ত থেকে র‌্যাব সদস্যরা যেসব অস্ত্র উদ্ধার করেছে, ওসব অস্ত্র আল এ্যাকিনের কাছে পৌঁছাতে সেখানে লুকিয়ে রেখেছিল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। টেকনাফে আনসার ক্যাম্পে এবং মংডুর বিজিপি চৌকিতে হামলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা যে জড়িত, দু’দেশের দায়িত্বশীলরা অনেকটা নিশ্চিত বলে সূত্র আভাস দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাবের অভিযানে মৌলবি করিমুল্লাহ ও রমিজ আটক হওয়ার পরপরই গডফাদার মৌলবি শফিক তার ছেলে জুবাইরকে মুঠোফোনে জানিয়ে দেয়। এতে তাৎক্ষণিক তার বাসা থেকে বোমা তৈরির কারিগরকে অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়। পরক্ষণে র‌্যাবের দল তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারেনি। আটক মৌলবি করিমুল্লাহ হাসেমিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সম্মুখে টেইলার্সের দোকান খুলে বসলেও তা শুধুই আইওয়াশ মাত্র। সেখানে সেলাই করা হতো রোহিঙ্গা জঙ্গী আল এ্যাকিনের ইউনিফর্ম। প্রায় সময় ওই দোকানে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাডাররা যাওয়া-আসা করত। আড্ডার নামে রাতে চলত রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের গোপন বৈঠক। মিয়ানমারে সেনা অভিযানে আহত রোহিঙ্গাদের এনে প্রথমে তার দোকানে এবং পরে বিভিন্ন বাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রাখাইনে বিজিপি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। এতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। এরপর আল এ্যাকিনের জন্য অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহ এবং রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের দোহাই তুলে বিদেশ থেকে অঢেল টাকা এনে আত্মসাত করছে রোহিঙ্গা জঙ্গীরা। যদিও কতিপয় ধান্ধাবাজ জনপ্রতিনিধি আরএসও, আল এ্যাকিন ক্যাডারদের কারণে লাভবান হলেও ওসব রোহিঙ্গার নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিজ্ঞজনরা জানান, রোহিঙ্গা জাতির সন্ত্রাসী কিছু লোকের জন্য মিয়ানমারে গোটা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ কারণে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বোঝা বইতে হচ্ছে এখানে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আল এ্যাকিনের পক্ষে বাংলাদেশে অর্থ যোগান, অস্ত্র ও বোমা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা রোহিঙ্গা মাস্টার আছুব ও মৌলবি শফিকের অধীনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ঘাপটি মেরে আছে বহু রোহিঙ্গা জঙ্গী। এদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেÑ মৌলবি নুর হোসেন, মৌলবি ছৈয়দ করিম, মৌলবি আজিজ, মৌলবি ইউনুছ, ব্যবসায়ী নুর কামাল, মৌলবি জিয়াউল হক, আবদুল হামিদ ও মৌলবি আবদুর রহমান। ওসব রোহিঙ্গা জঙ্গী একটি মৌলবাদী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের এ দেশে পার করে আনতে আগ্রহী। কেননা, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এলে তারা দু’রকমের লাভবান হয়ে থাকে। যেমন রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী দলে ভিড়িয়ে তাদের সশস্ত্র দল ভারি করা এবং রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্ব দেখিয়ে বিদেশ থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা এনে আত্মসাত করতে পারে তারা। রোহিঙ্গাদের নামে বিভিন্ন দেশ ও সাহায্য সংস্থা থেকে দেয়া টাকায় রোহিঙ্গা নেতাদের কেউ কেউ অঢেল সম্পদ ও বিত্তবৈভবের মালিক বনে গেছে। আরাকানে আল এ্যাকিন গঠন ॥ আরাকানে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বেড়ে যাওয়ার পর ২০১২ সালে বিদ্রোহী গ্রুপ আরএসও’র কিছু রোহিঙ্গা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল এ্যাকিন গঠন করে। এরপর থেকে নানাভাবে তারা গড়ে তোলে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। এদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে কলকাঠি নাড়ছে ডাঃ ইউনুছসহ অনেকে। সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও দেশে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি করতে বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র এক নেতার সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের ইশারায় মিয়ানমারে সশস্ত্র হামলা পরিচালিত হয়েছে- এমনটি মনে করে মিয়ানমার থেকে সদ্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা। মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়ে লড়তে এ সংগঠনের নেতারা বোমা ও ভারি অস্ত্র সংগ্রহে তৎপর হয়ে ওঠে। এ লক্ষ্যে মংডুর বলিবাজার এলাকার মৌলবি মৃত জাফর আলমের পুত্র কক্সবাজারে ঘাপটি মেরে থাকা জঙ্গী নেতা মৌলবি শফিকুর রহমানের এ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে আসে ৬৭ কোটি টাকা। গত কয়েক বছরে মৌলবি শফিকের (শফিক এ্যান্ড কোং) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কক্সবাজার শাখাসহ একাধিক ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের এ টাকা লেনদেন হয়েছে জঙ্গীপনার কাজে। মূলত ভয়ঙ্কর জঙ্গী মৌলবি শফিককে দেখলে জঙ্গীপনায় জড়িত বলে হয়ত ধারণা করবে না কেউ। জিন্সের প্যান্ট-শার্ট পরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ায় কক্সবাজারে। তার সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও দেখা-সাক্ষাত করতে যাওয়া-আসা করে বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। পরিচয় বহন করে থাকে ঢাকা উত্তরা ৪নং সেক্টরে অবস্থিত একটি এনজিও সংস্থার কর্মকর্তা হিসেবে। ওই সংস্থার অধীনে কিছুদিন কক্সবাজারের ইসলামপুরে (বার্মাপাড়া) একটি মসজিদে ইমামতিও করত। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ ও সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আল এ্যাকিনের জন্য অস্ত্র-বোমা সংগ্রহে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার র‌্যাব সদস্যরা ৭৮ পাইপবোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আল এ্যাকিনের সদস্য মৌলবি করিমুল্লাহ ও রমিজকে আটকের পর গা-ঢাকা দিয়েছে ভয়ঙ্কর এ জঙ্গী। তাকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন হন্যে হয়ে খুঁজছে। মঙ্গলবার তার বাড়িতে র‌্যাবের একটি চৌকস দল তল্লাশি চালানোর পর ছদ্মবেশে জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত শফিকের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানায় স্থানীয়রা। এ জঙ্গীর আস্তানায় দুটি গেট রয়েছে। র‌্যাব সদস্যদের অভিযানের আগ মুহূর্তে অপরিচিত লোকজনকে গোপন গেট দিয়ে বের করে দিতে দেখে স্থানীয়রা ওই গেট বন্ধ করে দেয়ার জন্য সোচ্চার হয়ে উঠেছে। তাকে রোমালিয়ারছড়া চৌধুরীপাড়া থেকে বিতাড়িত করতে মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী ও সমাজসেবক মাস্টার বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী এককাট্টা হয়েছে। মিয়ানমারে হামলার আগে ॥ গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইনের মংডুর বিজিপি চৌকিতে হামলে পড়ার প্রায় ৫-৬ মাস আগে রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত হাফেজ আতাউল্লাহ জুনুনীর (আবু আম্মর) নেতৃত্বে ১০ জন সামরিক প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোপনে প্রবেশ করে মিয়ানমারের উত্তর মংডুতে। প্রথমে অবস্থান নেয় মংডুর গওজিবিল গ্রামে। পরে সেখান থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে রাঙ্গাবালী চলে যায় তারা। ওরা ১১ জঙ্গী মিয়ানমারে প্রবেশের বিষয়ে আগে থেকে রোহিঙ্গাদের অবহিত করে রাখে আল এ্যাকিনের সশস্ত্র ক্যাডাররা। সেখানে প্রতিটি গ্রামে রোহিঙ্গাদের আত্মঅধিকার প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বিপ্লবের কথা প্রচার করতে থাকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে উঠতি যুবকদের সংগ্রহ করে পাহাড়ী এলাকায় নিয়ে অস্ত্র পরিচালনা, জঙ্গী তথা গেরিলা হামলার প্রশিক্ষণ দেয়। জঙ্গীপ্রধান জুনুনী মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, আরাকানে রোহিঙ্গারা অধিকারহারা জাতি হিসেবে আর কতদিন থাকবে? তাই নিজেদেরই অস্ত্র হাতে নিয়ে সংগ্রামে শামিল হতে হবে। সে তাদের আশ্বস্ত করে যে, তার কাছে যথেষ্ট অস্ত্র ও অর্থ রয়েছে। আন্তর্জাতিক ধনাঢ্যশালী বেশকিছু রোহিঙ্গা নেতাও তার সঙ্গে রয়েছে বলে অভয় দেয়া হয়েছে রোহিঙ্গা যুবকদের।
×