ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বামনায় ইটভাঁটিতে উজাড় হচ্ছে বন ॥ হুমকিতে বাঁধ

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

বামনায় ইটভাঁটিতে উজাড় হচ্ছে বন ॥ হুমকিতে বাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ২১ জানুয়ারি ॥ বামনা উপজেলা সদরের আধা কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপিত গাজী ব্রীকস্ নামে একটি ইটভাঁটিতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। পরিবেশ আইন অমান্য করে ঘনবসতিপূর্ণ ও উপজেলা পরিষদের নাকের ডগায় স্থাপন করা হয়েছে এই ভাঁটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মণ কাঠ পোড়ানোর ফলে উজাড় হচ্ছে এলাকার বনাঞ্চল। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঝড় জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধক নদী তীরবর্তী সবুজ বেষ্টনী। উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভাঁটির আশপাশের বেড়িবাঁধের সামাজিক বনায়নের গাছ এই ভাঁটিতে পোড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। নির্বিঘেœ এ ইটভাঁটিতে অবৈধভাবে ইট পোড়ানো হলেও প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতরের নেই কোন নজরদারি। তবে ভাঁটি মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। শুধু তাই নয়, বামনা উপজেলার ১০টি ভাঁটিতে ইট তৈরির জন্য প্রতিদিন উপজেলার বিষখালী নদীর তীরঘেঁষা ভাঙ্গনকবলিত স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এরা । ফলে বেড়িবাঁধ পড়েছে ব্যাপক হুমকির মুখে। বিভিন্ন সময়ে নদী তীরের মাটি কাটার সংবাদ প্রকাশ হলেও প্রশাসন এ মাটি কাটা বন্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। শনিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বামনা সদরের চেঁচান, কলাগাছিয়া, পূর্বসফিপুর, বুকাবুনিয়ার রাজারহাট, রামনা, চলাভাঙ্গাসহ দক্ষিণ কাকচিড়া গ্রামে প্রায় ১০টি ভাঁটি রয়েছে। এর প্রতিটি জিকজ্যাক পদ্ধতিতে ইট তৈরি হলেও উপজেলা সদরের গাজী ব্রিকস্ নামে দুটি ইটের ভাটায় প্রতিদিন কয়লার পরিবর্তে কাঠ পুড়িয়ে তৈরি করছে ইট। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা বন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান আকন জানান, বামনার বিভিন্ন ইটভাঁটি কাঠ পোড়ানোর তথ্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে বামনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি এই ভাঁটিতে কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে শুনেছি। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
×