ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উগ্র জাতীয়তাবাদের সুর ॥ জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর

ট্রাম্পের উদ্বোধনী ভাষণ নিয়ে বহির্বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

ট্রাম্পের উদ্বোধনী ভাষণ নিয়ে বহির্বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ নেয়ার পর নিয়মানুযায়ী উদ্বোধনী ভাষণ দেন। সংক্ষিপ্ত ভাষণটিতে তিনি ঐক্যবদ্ধ উপায়ে দেশ গড়ার পাশাপাশি তার নতুন প্রশাসনের নীতিগুলো তুলে ধরেন। সংক্ষিপ্ত এ ভাষণ নিয়ে দেশ-বিদেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের। ট্রাম্পের ভাষণের সময় বিদায়ী ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। অন্যদিকে ব্রিটিশ রাজনীতিক নাইজেল ফারাজকে উৎফুল্ল মনে হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা বলেছেন, তিনি আশা করেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর আটলান্টিক জোট ন্যাটোর গুরুত্ব অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের পুরোটা সময়জুড়েই ট্রাম্প ন্যাটোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যুক্তরাষ্ট্র এ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। নির্বাচনে জেতার পর বিষয়টি নিয়ে তিনি নতুন বিতর্ক তৈরি না করলেও ন্যাটো প্রশ্নে অবস্থান স্পষ্ট করেননি। হোয়াইট হাউসে অভিষেকের পর ব্রিটেনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে তেরেসা মে বলেন, ‘পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা উভয়ই অঙ্গীকারাবদ্ধ। আটলান্টিকের উভয় পাশে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যেতে চাই। তার সঙ্গে সর্বশেষ আলাপচারিতা থেকেও আমার এ রকম মনে হয়েছে।’ মে আশা প্রকাশ করেন, পূর্ব ঘোষণামতো চলতি বছর শরতকালে ট্রাম্প যুক্তরাজ্য সফর করবেন। পোপ ফ্রান্সিস ট্রাম্পের উদ্বোধনী ভাষণকে স্বাগত জানিয়ে তাকে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি মার্কিন ইতিহাসকে বদলে দেবে বলে পোপ আশা প্রকাশ করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণ করায় প্রত্যাশা অনুযায়ী রাশিয়া ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে একযোগে কাজ করে যেতে আমরা আগ্রহী।’ রুশ জাতীয়তাবাদী নেতারা বুধবার মস্কোতে রাতভর আনন্দ উদযাপন করেছেন। তবে সব দেশ থেকে সমান ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসেনি। জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, ‘আজ আমরা যা শুনলাম তাতে উগ্র জাতীয়তাবাদের সুর রয়েছে। আমার মনে হয় সামনের দিনগুলো কিছুটা কঠিন হবে। ইউরোপকে নিজেই নিজেদের স্বার্থরক্ষা করতে হবে।’ জার্মান চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলও এক সপ্তাহ আগে প্রায় একই রকম অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। প্রতিবেশী মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতো ট্রাম্পের উদ্বোধনী ভাষণকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তার কাজে নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থরক্ষাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
×