অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে অটোমোবাইল রফতানি খাতে নগদ সহায়তা দেবে সরকার। বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের উৎপাদিত মোটরসাইকেল নেপালে রফতানি শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রথমবারের মতো নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি মোটরসাইকেল রফতানি শুরু করেছে রানার অটোমোবাইলস। প্রথম দিন ১০টি ট্রাকে ২৫০ মোটরসাইকেল পাঠানো হয়েছে নেপালে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মোটরসাইকেল রফতানির মধ্য দিয়ে রফতানির নতুন একটি সম্ভাবনা তৈরি হলো। তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের গল্প আজ সারাবিশ্ব শুনছে। এক সময় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলা হতো, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি। আজ সেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের পক্ষে এখন সবই করা সম্ভব। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের মাত্র ২৫টি পণ্য বিশ্বের ৬৮টি দেশে রফতানি হতো। আজ সেই বাংলাদেশ ১৯৬টি দেশে ৭২৯টি পণ্য রফতানি করছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হলেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছর ২০২১ সালে তা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরতা না বাড়িয়ে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে এখন আমরা মোটরসাইকেল রফতানিতেও সক্ষম হয়েছি। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোটরসাইকেল রফতানি অর্থাৎ অটোমোবাইল খাতে প্রণোদনা দেয়া হবে। এই নগদ সহায়তা কীভাবে পাওয়া যায় সে বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা হবে। রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ২০১২ সালের ২১ জানুয়ারি এই ভালুকায় মাত্র ৭শ’ শ্রমিক নিয়ে রানারের পথচলা শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের সেই কারখানায় উৎপাদিত মোটরসাইকেল নেপালে রফতানি হলো। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এ সময় তিনি দেশীয় শিল্প রক্ষায় নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানার অটোমোবাইলসের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুকেশ শর্মা, নেপালের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ধন বাহাদুর অলি, নেপালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেট্রিক্স মোটো কর্পোরেশনের দিলীপ কুমার কার্নাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: