ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আকিল জামান ইনু

ডলার এলো যেভাবে

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

ডলার এলো যেভাবে

বন্ধুরা, তোমরা কয়েন অবশ্যই চেনো। আর ডলার এবং পাউন্ডের নাম নিশ্চয়ই শুনেছ। আমেরিকার মুদ্রা হলো ডলার আর ইংল্যান্ডের পাউন্ড। তোমাদের জন্য খুব সংক্ষেপে জানাচ্ছি এর ইতিহাস। চেকােস্লোভাকিয়ার ‘ভ্যালি অফ জোয়াকিম’। চার শ’ বছর আগে এই ভ্যালির পাহাড়ে রূপা খুঁজে পান সেখানকার জমিদার গ্রাফ হারেরেনিশাস স্কিলচ। সেই রূপা দিয়ে তিনি কয়েন তৈরি করেন। নাম দেন জোয়াচিম্পস খেলার। সেটিকেই বলা হয় পৃথিবীর প্রথম ডলার। স্প্যানিশ রাজত্বে একটি কয়েন প্রচলিত ছিল নাম রিয়েল (রয়েল)। স্প্যানিশরা যখন মেক্সিকোতে ও পেরুতে রূপা খুঁজে পায় সেই ষোড়শ শতাব্দীতে, তারা আট রিয়েল মূল্যমানের কয়েন চালু করে। এর নাম দেয় টালেরো। ১৭৭৫-এ আমেরিকার জনগণ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তারা তখন নিজেদের মুদ্রা ছাপতে শুরু করে ‘কন্টিনেন্টাল’ নামে। কিন্তু এতে তারা একটা ভুল করে বসে। তারা সেসময় এত বেশি কন্টিনেন্টাল ছাপে যে মুদ্রাটি এক সময় তার মান হারিয়ে ফেলে। ঘটনা পর থেকে সরকার শিক্ষা নেয় আর আমেরিকার সংবিধানে তাদের মুদ্রার নাম যুক্ত হয় ডলার নামে। আর এর মান নির্ণিত হতো কি করে জানো? মান নির্ণয় করা হতো স্প্যানিশ টলেরোর সঙ্গে তুলনা করে। প্রাধান্য বিস্তারে পাউন্ডের তার মান হারিয়ে ফেলার গল্পটিও এমনই। ব্রিটেন যখন ফ্রান্সকে নেপলিয়নিক যুদ্ধে হারিয়ে দেয় ও পৃথিবীজুড়ে কলোনি স্থাপন করে তখন তাদের মুদ্রা বিনিময়ের একটি পদ্ধতি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তখন তারা চালু করে বিল অফ এক্সচেঞ্জ। আর লন্ডনের ব্যাংকগুলো এ থেকে বিপুল মুনাফা অর্জন করে। এভাবেই বিশ্ব বাণিজ্য পাউন্ডের প্রভাবের শুরু যা বজায় ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত। কিন্তু যুদ্ধের সময় তারা প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য আমেরিকার ওপর নির্ভর করে। শুধু তাই নয়, এসময় তাদের ঋণও নিতে হয়। আর এভাবেই ডলারের প্রভাব বিস্তার শুরু।
×