ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কদর বাড়ছে ইউরোপ আমেরিকায়

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

কদর বাড়ছে ইউরোপ আমেরিকায়

বাউফলের মৃৎশিল্পীদের তৈরি পণ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে। এই সুবাদে কাগুজীপুল পালপাড়া, কনকদিয়া ও বগা বন্দরের দোয়ানি ও পাঁচানি এলাকায় গড়ে উঠেছে মৃৎশিল্পের বিশাল সাম্রাজ্য। মৃৎশিল্পীদের পাল বলা হয়। তারা কাদামাটির আদি শিল্পকে এখনও ধরে রেখেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। সহস্্রাধিক পরিবার জড়িত রয়েছে এ শিল্পের সঙ্গে। পুরুষ-নারী একত্রে কাজ করছে। কেউ কাদা ঘুটছে, কেউ চাক ঘুরাচ্ছে, কেউবা আবার তৈরি করছে নানা ধরণের পণ্য। এসব পণ্য রং করার পর প্যাকেটজাত করে সরবরাহ করা হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরগরম থাকে এ এলাকা। মৌসুমে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি হয় ঢাকার আড়ং, ঢাকা হ্যান্ডি ক্র্যাফট্স, হিট হ্যান্ডি ক্র্যাফট্স এবং কারিতাসের প্রকল্প কোর-দি জুটওয়ার্কে। এসব প্রতিষ্ঠান এখান থেকে মগ, প্লেট, তরকারি বাটি, মিষ্টির বাটি, জগ, ফলপ্লেট, পা-ঘষণি, ফুলদানি, চায়ের কাপ-প্রিচ, ডিনার সেট, মোমদানি, এ্যাস্ট্রে, কয়েলদানি ও নানা ধরণের পুতুলসহ দৃষ্টিনন্দন মাটির পণ্যসামগ্রী নিয়ে যায়। আর তাদের মাধ্যমে এসব পণ্যসামগ্রী চলে যায় ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে। কোন কেমিক্যাল ছাড়াই পোড়ামাটি দিয়ে এসব পণ্যে রং করা হয়। বিশেষ করে লাইট অরেঞ্জ রঙের মধ্যে মনোমুগ্ধকর কালো যে শেড দেয়া হয় তা এক গাছের কস দিয়ে তৈরি করছে তারা। কাগুজীপুল পালপাড়ায় বরুন পালের দুই মেয়ে শতাব্দী পাল ও তন্দ্রা পালের তৈরি দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী দেশের বাইরে কদর রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতেও মৃৎশিল্পীদের তৈরি কলস, বাসন, হাঁড়ি, মটকা, চাড়ি বিক্রি হয়। বিশেষ করে এখানকার তৈরি জালের চাক্কি সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। স্বল্পপুঁঁজির মাধ্যমে গড়ে ওঠা এসব কারখানা অর্ধশিক্ষিত বেকার নারী-পুরুষ-বিধবা- অনেক কর্মজীবী মানুষ কাজ করে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করছে। কাগুজীপুল পালপাড়ার মৃৎশিল্পের মালিক বরুণ পাল জানান, তাদের তৈরি পণ্যসামগ্রীর বিদেশে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাবে কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করতে পারছেন না। মাটির তৈরি সামগ্রীগুলোতে হাতে রং করতে হয়। তাদের স্প্রে মেশিন নেই। নেই বৈদ্যুতিক চুল্লি। Ñকামরুজ্জামান বাচ্চু, বাউফল থেকে
×