ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জন কেরির দৃষ্টিতে ওবামা প্রশাসনের মূল্যায়ন

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

জন কেরির দৃষ্টিতে ওবামা  প্রশাসনের মূল্যায়ন

ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তাদের আমলের সাফল্য সম্পর্কে নিউইয়র্ক টাইমসে একটি নিবন্ধ লিখিছেন। নিম্নে তার চমক অবশ্য তুলে ধরা হলো- যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে পূর্বসূরি প্রশাসনের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে কী পাচ্ছে তার মূল্যায়ন হওয়া স্বাভাবিক। কেউ কেউ আছেন যেদিকেই তাকান তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। তারা প্রত্যয়ের সঙ্গে বলছেন যে, নতুন প্রশাসনে পুরো বৈশ্বিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে এবং তাই বিশ্ব নেতৃত্বে থাকা আমেরিকার অবস্থান সরাসরি পতনের সম্মুখীন হবে। বিদায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি বস্তুনিষ্ঠতা দাবি করতে পারি না। কিন্তু আমি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সঙ্গে এ দৃঢ়তা প্রকাশ করছি যে, অধিকাংশ বৈশ্বিক প্রবণতা আমাদের পক্ষেই থাকবে এবং আমেরিকার নেতৃত্ব ও সম্পৃক্ততা সর্বকালের মতো অত্যাবশ্যক ও ফলপ্রসূ হয়ে থাকবে। এর বড় কারণটি হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ওবামা আমাদের পররাষ্ট্র নীতির হাতিয়ার হিসেবে ইতিবাচক কূটনীতিকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন এবং আমাদের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির অগ্রগতির জন্য প্রায়ই এই কূটনীতিকে কাজে লাগিয়েছেন। এটা স্পষ্ট যে, ইরাক ও সিরিয়ায় প্রথমত, আমাদের অভিযানের লক্ষ্য ছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপকে পরাজিত করা। আড়াই বছর আগে এ খুনীরা ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের তৎপরতা শুরু করে। আমরা এক তরফা যুদ্ধে না গিয়ে ইরাকে একটি নতুন ও আরও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটিকে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতায় সাড়া দিয়েছি এবং এক সময়ের আইএস-অধিকৃত অঞ্চল মুক্ত করার জন্য পুনর্বাসিত ইরাকী সামরিক বাহিনী, কুর্দী পেশমের্গা ও অন্য স্থানীয় অংশীদারদের সহযোগিতার জন্য ৬৮ সদস্য রাষ্ট্রের একটি জোট গঠন করি। আমরা ইরাক মসুল ও সিরিয়ায় (রাকা) অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলো মুক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করি। এ সামরিক পদক্ষেপগুলো নিয়েছি কূটনৈতিক সহযোগিতার ওপর নির্ভর করে। আইএসের অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন করার, এর সদস্য সংগ্রহ শ্লথ করার এবং সামাজিক মিডিয়ায় এ অঞ্চলে বিষাক্ত প্রচার তৎপরতা নস্যাতের জন্য আমরা উদ্যোগ নিই। প্রেসিডেন্ট ওবামা এমন এক সময় দায়িত্ব নিয়েছেন যখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং আমাদের তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপের সম্মুখীন হয়েছে আমাদের দেশ। আমরা দেশটির ওপর বিশ্বের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার মধ্য দিয়ে কূটনীতি শুরু করি। আমরা চেষ্টা করি ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে। ফলস্বরূপ, একটিও গুলি ছাড়া এবং সৈন্যদের ধ্বংসকর পথে জড়িত না করে যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের অংশীদার বা ব্যাপকভিত্তিক যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সমর্থ হই।
×