ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কিছু ক্ষেত্রে অসামান্য সফলতা

ডিএসসিসির ‘পরিচ্ছন্ন বছর’ অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

ডিএসসিসির ‘পরিচ্ছন্ন বছর’ অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি

মশিউর রহমান খান ॥ প্রায় ৪শ’ বছরের পুরনো ইতিহাস আর ঐতিহ্যের শহর রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালে এক অধ্যাদেশ বলে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১১ সালে বর্তমান সরকার নাগরিক সেবার পরিমাণ বাড়াতে ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে এ পুরাতন শহরটিকে নতুন রূপ দিতে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ নামে ২ ভাগে ভাগ করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হিসেবে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নির্বাচিত হন। ঐতিহ্যবাহী পুরাতন শহরটিকে নতুন রূপে প্রাণের শহর হিসেবে নাগরিকদের জন্য গড়ে তুলতে সাঈদ খোকন ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ সালকে ক্লিন সিটি গ্রীন সিটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ‘পরিচ্ছন্ন বছর’ হিসেবে ঘোষণা করেন। এরই অংশ হিসেবে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসসিসি মেয়র সাংবাদিকদের কাছে কর্মসূচীর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ঘোষিত কর্মসূচী গত ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে শেষ হয়েছে। কর্মসূচী অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন বছরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করা, রাস্তার ওপর থেকে ময়লা আবর্জনা মানুষের চোখের আড়াল করতে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) তৈরি করা, রাস্তায় ময়লা ফেলা বন্ধ করতে ওয়েস্টবিন স্থাপন, ময়লার কন্টেনার খোলা না রেখে আবদ্ধ করা, পরিচ্ছন্নতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা করা, প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে অধিক আলোর লাইট ইমিটিং ডায়েড (এলইডি) বাতি স্থাপন করা, মূল সড়ক ও যত্রতত্র স্থানে লাগানো বিলবোর্ড ব্যানার সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা, আবর্জনা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া, চলমান পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের ধরন সম্পূর্ণ পাল্টানোর কথা বলেন। তবে এসব উদ্যোগের অধিকাংশই বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে বিফলতার পাশাপাশি সফলও হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে পুরোপুরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ঘোষণা করা হলেও ঘোষণার অর্ধেকও বাস্তবায়ন করতে পারেনি নাগরিক সেবাদানকারী এ সংস্থাটি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসামান্য সফলতাও দেখা গেছে। তবে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের দৃশ্যমান উন্নতির ধারা শুরু হওয়া সকলের চোখে পড়েছে। যার ধারা অব্যাহত রাখলে পরিচ্ছন্ন বছর ঘোষণার কার্যক্রম সফলতার মুখ দেখবে। সরেজমিনে ও অনুসন্ধানপূর্বক দেখা গেছে, নগরীর সকল রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে ডিএসসিসির মোট ৫৭টি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় স্থানে ১শ’টি করে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ হাজার ৬শ’ ৭০টি ওয়েস্টবিন স্থাপন করেছে ডিএসসিসি। এসব বিনে ময়লা রাখার জন্য স্টিলের তৈরি বক্স স্থাপন করা হয়েছে। যা রাজধানী তথা দেশের ইতিহাসে রাস্তায় ওয়েস্টবিন স্থাপন কার্যক্রম প্রথম। জনসচেতনতায় এসব বিনে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে মেয়রের সেøাগান তুলে ধরা হয়েছে। তবে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তথ্যমতে, এর মধ্যে প্রায় ৩শ’টি ওয়েস্টবিন ব্যবহার অনুপযোগী ও চুরি হয়ে গেছে এবং কোন কোন স্থানের ওয়েস্টবিনগুলো প্রয়োজনের কারণে অন্যত্র স্থাপন করা হবে। তবে এসব বিনের অনেকগুলোই বর্তমানে ব্যবহার করছেন না নাগরিকরা। সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ডিএসসিসিতে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে একটি করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণের কথা থাকলেও আজ পর্যন্ত হাজারিবাগে একটি এসটিএস স্থাপন করা হয়েছে। যেটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে নির্মাণাধীন এসটিএসের সংখ্যা কমপক্ষে ১০টি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। যেগুলো আগামী ২ মাসের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে। বর্তমানে ময়লার এসব খোলা কন্টেইনার রাস্তার ওপরই রাখা হচ্ছে। এসটিএস নির্মাণ না করায় নাগরিকগণ দুর্গন্ধে রাস্তায় মুখ চেপেও রাস্তা পার হতে পারছেন না। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ॥ ডিএসসিসির পরিচ্ছন্ন বছরের প্রধান কার্যক্রম হিসেবে পরিচ্ছন্নতা বছরের মধ্যেই কোন প্রকার ময়লা রাখতে বা সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ডিএসসিসি এলাকায় সরকারের আরবান পাবলিক এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ২৬টি এসটিএস নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু এক বছর পরে হাজারীবাগে মাত্র একটি এসটিএসের কাজ শুরু করতে পেরেছে সংস্থাটি। সর্বশেষ তথ্যমতে, ১৬টি এসটিএসের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়নি। এছাড়া ৫৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে কমপক্ষে ১টি করে মোট ৫৭টি এসটিএস নির্মাণের কাজ ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ডিএসসিসি এলাকায় দৈনিক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার টন বর্জ্য ডিএসসিসি অপসারণ করতে সক্ষম। বাকি বর্জ্যে কিছু টোকাই সংগ্রহ করে নিচ্ছে এবং অবশিষ্ট বর্জ্য রাজধানীর বিভিন্ন নিচু এলাকা হয়ে ডোবা-নালা এবং নদীতে গিয়ে পড়ে। ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিএসসিসি মোট আবর্জনা অপসারণ করে ৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯৮৪ টন। সেই হিসেবে দৈনিক আবর্জনা অপসারণের গড় ১ হাজার ৮০০ টন। আর ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিএসসিসি মোট আবর্জনা অপসারণ করেছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৩ টন। হিসাব অনুযায়ী দৈনিক আবর্জনা অপসারণের গড় ১ হাজার ৯০০ টনের কিছু বেশি। বিগত এক বছরে ডিএসসিসির আবর্জনা অপসারণ বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ টনের কিছু বেশি। সরেজমিনে রাজধানীর মানিকনগর, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ী, মগবাজার, কাকরাইল, শান্তিনগর, মুগদা, বাসাবো, পান্থপথ, নিউমার্কেট, আজিমপুর, গুলিস্তান, শাহবাগ, পল্টন, সায়েদাবাদ, টিকাটুলি, দয়াগঞ্জ, নাজিমউদ্দীন রোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ বিনই ব্যবহার করতে তেমন একটা আগ্রহী হচ্ছে না নাগরিকগণ। আবার কিছু এলাকার ওয়েস্টবিনগুলোতে ময়লা জমে আছে। কিছু কিছু বিন চুরিও হয়ে গেছে। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, পরিকল্পনা না থাকায় বেশ কিছু স্থানের বিন ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষই উঠিয়ে নিয়ে এসেছে। নগরবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এসব বিনে ময়লা জমে থাকলেও কেউ সময়মতো পরিষ্কার করে না। পরিচ্ছন্ন বছর-২০১৬ সফল করতে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক কমপক্ষে ২০টি প্রচার অনুষ্ঠান করেন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন। এসব অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য, জনসাধারণসহ ওয়ার্ড কমিশনারের উপস্থিতিতে নাগরিকদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নাগরিক সমস্যাসমূহ সরাসরি মেয়র শোনেন। কিছু সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানও করেন। তবে এ অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম হতে দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি সভাতেই মেয়র জনসচেতনতা তৈরিতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মসূচী বাস্তবায়নের অনুরোধ করেন। এতে সবাইকে মেয়রের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জনসচেতনতা না থাকায় তার এই আহ্বানে নগরবাসী তেমন সাড়া দিতে দেখা যায়নি। গত এক বছরে ডিএসসিসির প্রধান সড়কগুলোতে প্রায় পৌনে আট হাজার এলইডি বাতি লাগানো হয়েছে। যা সংস্থাটির অভাবনীয় সাফল্য। মূল সড়ক থেকে অলিগলি সবখানে এলইডি বাতি লাগানোয় রাতে চুরি ছিনতাই অনেকাংশে কমে এসেছে। এর মধ্যে ডিএসসিসির এক নম্বর ওয়ার্ড, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের অলি-গলিতেও এলইডি বাতি লাগানো হয়। এতে সংস্থাটির প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এভাবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৩০ হাজার এলইডি বাতি লাগানো হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুত প্রকৌশল শাখা। এসব বাতি লাগানোয় নাগরিকরা রাস্তায় দিনের আলোর মতোই চলতে পারছেন। নাগরিক নিরাপত্তা প্রদানে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়া পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের অন্যতম সফলতা হচ্ছে শহরের প্রায় সব বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন-পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। যা এর আগে কখনও রাজধানীবাসী দেখেনি। পরিচ্ছন্ন বছর কর্মসূচী বাস্তবায়নে ডিএসসিসি সড়ক ও ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও উচ্ছেদের পরপরই তা আবার দখল হতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গিয়ে ওয়ার্ড কমিশনারের নেতৃত্বে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে। পরে এই অপরাধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় উক্ত ওয়ার্ড কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। পরে সংস্থাটির পক্ষ থেকে পুনরায় ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়। গত জানুয়ারি মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত গুলিস্তান এলাকায় কমপক্ষে ১৮ বার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে হকারদের বাধার মুখে পড়েন স্বয়ং সংস্থাটির মেয়র সাঈদ খোকন। এরপর আবার উচ্ছেদ চালালেও বর্তমানে এই এলাকাটি হকারদের দখলেও রয়েছে। এছাড়া বাবুবাজার, ধোলাইখাল, ইংলিশ রোড, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, পলাশী, আজিমপুর, পল্টন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এসব এলাকায় বর্তমানে উচ্ছেদের পূর্বের অবস্থায়ই ফিরে যেতে দেখা গেছে। পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক নাগরিকদের কাছ থেকে যে কোন প্রকার অভিযোগ জানতে একটি হটলাইন খুলে ডিএসসিসি। কিন্তু গত এক বছরে প্রচার না থাকায় তেমন কাউকেই নির্দিষ্ট নম্বরে কল দিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন জনকণ্ঠকে বলেন, রাজধানীকে ময়লা আবর্জনামুক্ত করতেই আমরা ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্ন বছর ঘোষণা করি। কর্মসূচীর শতভাগ সফল হতে পারিনি তবে দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে। যার প্রভাব ও ফল নাগরিকগণ পেতে শুরু করেছে। এজন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গত ১০ মার্চ হাজারীবাগে একটি এসটিএস উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্তমানে বাকি নয়টির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যেই এসব এসটিএস উদ্বোধন করা হবে। জমি না পাওয়ায় প্রতিটি ওয়ার্ডে এসটিএস নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি এসটিএসগুলো নির্মাণের পর আর কোন কন্টেনার সড়কে থাকবে না। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কল ট্রাকিং করে তাদের কর্মকা- ও অবস্থান নিয়মিত কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। শহরের সব বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। যা রাজধানীর ইতিহাসে প্রথম। সকল আবর্জনার কন্টেইনার ঘেরা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের আগেই গত কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে ডিএসসিসি। পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের সার্বিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে আরও কিছু সময় লাগবে। আমরা কর্মসূচী সফল করতে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এর মাধ্যমে নাগরিকগণ তাদের সমস্যার সঙ্গে সঙ্গেই সমাধান করতে পারছেন। এটির কার্যক্রম বিভিন্ন ওয়ার্ডে সারা বছরই চলবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মসূচীর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে তিনি জনসচেনতা তৈরি ও নাগরিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
×