ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঠাকুরগাঁওয়ের বৃদ্ধাশ্রমই এখন বৃদ্ধ ॥ ছয় বছরেও কোন বৃদ্ধকে পায়নি

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

ঠাকুরগাঁওয়ের বৃদ্ধাশ্রমই এখন বৃদ্ধ ॥ ছয় বছরেও কোন বৃদ্ধকে পায়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২০ জানুয়ারি ॥ ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই মানবিক কথাটির বাস্তবরূপ দিতে ঠাকুরগাঁও স্টেশন রোড এলাকায় ২০১১ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল একটি বৃদ্ধাশ্রম। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় এক বছর প্রচার চালানো হয়। কিন্তু গত ছয় বছরেও কোন বৃদ্ধকে পায়নি কর্তৃপক্ষ। বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনার জন্য কোন জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বৃদ্ধাশ্রম চালু করায় আশ্রয়ের জন্য হয়তবা কেউ সেখানে যাচ্ছেন না। এছাড়া ওই বৃদ্ধাশ্রমে কোন জনবল না থাকায় বৃদ্ধরা কিভাবে থাকবে সেই দিকনিদের্শনাও না পাওয়ায় আগ্রহ পায়নি বৃদ্ধরা। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে খানিকটা দূরে স্টেশন রোড় এলাকায় বৃদ্ধাশ্রমটি অবস্থিত। জীবনের শেষ সময়ে এসে ঠাকুরগাঁওয়ের অসহায় প্রবীণদের যেন কষ্ট করতে না হয়, এ উদ্দেশ্যে সমাজসেবা অধিদফতরের জেলা কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত ভবনে এ আশ্রমটি উদ্বোধন করা হয়েছিল। এর কয়েক বছর আগেই সমাজসেবা অধিদফতর কার্যালয়টি ওই ভবন থেকে স্থানান্তর করা হয়। বৃদ্ধদের আশ্রয়ের জন্য ভবনটিতে নয়টি কক্ষ রয়েছে। উদ্বোধনের পর থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে আগ্রহীদের আহ্বান জানানো হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধাশ্রমের জন্য মনোনীত ভবনটি তৈরি হয়েছিল ১৯৩৮ সালে। বর্তমানে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে এটি। জরাজীর্ণ ভবনটির দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া এটি অপরিচ্ছন্ন। দেয়ালে ফাটল থাকার কারণেই সমাজসেবা অধিদফতরের জেলা কার্যালয়টি স্থানান্তর করা হয়। অথচ ওই ভবনেই ২০১১ সালের জুনে বৃদ্ধাশ্রম উদ্বোধন করেন সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন। ফলে ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও কোন বৃদ্ধ এখানে থাকার আগ্রহ দেখাননি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, ভবনটির বিষয়ে আমি অবগত নই। দ্রুত ভবনটি পরিদর্শন করে পরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভবনটি বৃদ্ধাশ্রমের জন্য উপযোগী হলে অবশ্যই তা পরিচালনার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
×