ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাবিতে পরিবহন সঙ্কট ॥ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

শাবিতে পরিবহন সঙ্কট ॥ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

হোসাইন ইমরান, শাবি ॥ পরিবহন সঙ্কটে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। প্রয়োজনের তুলনায় বাসের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় গাদাগাদি করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের নিজস্ব বাস রয়েছে মাত্র ৭টি। শিক্ষার্থীর তুলনায় বাসের সংখ্যা কম থাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)’র কাছ থেকে ৫টি বাস ভাড়া করেছে পরিবহন প্রশাসন। এজন্য আলাদা অর্থ গুনতে হচ্ছে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে। প্রতি ট্রিপে মিনিবাসকে দিতে হয় ৬৬৮ টাকা এবং বাসকে দিতে হয় ১১৫৩ টাকা। প্রতিদিন বিশ^বিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন রুটে মোট সাতবার বাস যাতায়াত করে। সবগুলো বাস ঠিকমতো যাতায়াত করলে প্রতিদিন বিশ^বিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে বিআরটিসিকে। তবে বিশাল পরিমাণ টাকা নিয়মিত বিআরটিসিকে দিলেও নিজস্ব বাস কেনায় কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিআরটিসির জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে শাবি ক্যাম্পাসে। রাস্তার মধ্যে মাঝে মাঝে এসব বাস বিকল হয়ে যাওয়া, ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে বলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। ছয়টি রুটে বাস চললেও বেশিরভাগই অনিয়মিতভাবে যাতায়াত করে। বিশ^বিদ্যালয় থেকে প্রায় আট কিলো দূরে টিলাগড় থেকে নিয়মিত যাতায়াত করা ছায়মা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী জানান, এ রুটে প্রায় সময় বাসের যাতায়াত অনিয়িমিত। যার ফলে সকালের ক্লাস মাঝে মাঝেই মিস হয়ে যায়। এছাড়া নাইওরপুল, ঈদগাহ, লাক্কাতুরা রুটের বাসগুলোও অপার্যাপ্ত ও অনিয়িমিত বলে এসব রুটের বাসে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। শহর থেকে বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অবিস্থিত হওয়ায় প্রায় সময়ই বিভিন্ন কাজে বাসে করে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ক্লাস শেষে শহরে টিউশনি করে রাত ৮টা/১০টার বাসে শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরেন। তবে এসময় ক্যাম্পাস-চৌহাট্টা-ক্যাম্পাস রুটে দুইটি বাস থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই একটি বাস যাতায়াত করে। ছেলেরা ঝুলে ঝুলে আসলেও আলাদা কোন বাস না থাকায় বেশি সমস্যায় পড়তে হয় মেয়েদের। বিকেলের শিফটগুলোতে দেখা যায়, প্রতিটি বাসেই ধারণক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ বেশি শিক্ষার্থী যাতায়াত করছে। স্থান সংঙ্কুলান না হওয়ায় অনেক সময় শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত বাসের গেটে ঝুলে যাতায়াত করতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, পরিবহন সমস্যা সমাধানে আমরা শীঘ্রই নতুন একটি বাস কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফরেস্ট্রি এ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেড এম মনজুর রশিদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
×