ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

চারুকলার দিনে বকুলতলায় খেজুর রসের মেলা

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

চারুকলার দিনে বকুলতলায় খেজুর রসের মেলা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহুরে বিবর্তনধারায় হারিয়ে গেছে শেকড়ের সংস্কৃতি ও জীবনবোধের অনেক অনুষঙ্গ। বাংলার সেই চিরায়ত লোকাচার উপভোগের সুযোগ ঘটল শুক্রবার। ছুটির দিনের সকালে সংস্কৃতিবান শহরবাসীর অনেকেই আলিঙ্গন করলেন ফেলে আসা সেই গ্রামীণ জীবনকে। মাঘ মাসের তীব্রতা হারানো শীতের সকালে সবাই হাজির হয়েছিলেন চারুকলা অনুষদের বকুলতলায়। মিষ্টি রোদ ছড়ানো সকালে এখানে বসেছিল রসের মেলা। খেজুরের টাটকা রসে রাজধানীবাসী মেতে উঠেছিলেন গ্রামীণ আমেজে। রসের মেলা দর্শনার্থীদের নিয়ে গিয়েছিল অনেক বছর আগের গ্রামীণ কোন মেলায়। অনাড়ম্বরহীন লোকজ ধারার জারি গান ও পালা গানের পরিবেশনা আয়োজনে যুক্ত করেছে ভিন্ন মাত্রা। খেজুরের রসের সঙ্গে ছিল শুকনা পাতায় তৈরি বাটিতে মুড়ি-মুড়কি ও খেজুর গুড়ের আতিথেয়তা। পাশাপাশি ছিল জারি গান ও মনসামঙ্গল পালার পরিবেশনা। মাটির হাঁড়ি থেকে মাটির মগে টাটকা খেজুরের রস পান করতে ভোর হতে না হতেই ছুটে এসেছিলেন রসিকজনেরা। শিশুদের নিয়ে এসেছিলেন অনেকেই, শহুরে শিশুদের জন্য এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতাই বটে। খেজুরের রস পানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল ছবি ও সেলফি তোলার হিড়িক। চিরায়ত বাংলার পার্বণ স্মরণে এই রসের মেলার আয়োজন করে ‘রঙ্গে ভরা বঙ্গ’ নামের সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় শুক্রবার সকাল ৮টায় শুরু হয় এবারের রসের মেলা। মঞ্চসজ্জায় খেজুরের দুটি লম্বা পাতার ব্যবহার বাড়িয়েছে আয়োজনের সৌন্দর্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ইমরান উজ-জামান। বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক হায়াত মামুদ। আকতারী মমতাজ বলেন, নাগরিক পরিম-লে খেজুরের রস নিয়ে এই আয়োজন খুব ভাল উদ্যোগ। খেজুরের রসের ঐতিহ্য গ্রামেও হারাতে বসেছে। গাছিও কমে গেছে। এ ধরনের আয়োজনে রস পানকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য তৈরি হবে। এভাবেই গড়ে উঠবে মানবিক বাংলাদেশ। সপরিবারে রসের মেলায় এসেছেন অধ্যাপক হায়াত মামুদ। তিনি বলেন, আমি প্রতিবছরই রসের মেলায় আসি। আমরা শেকড় ভুলে যাচ্ছি। এ ধরনের অনুষ্ঠানে এলে শেকড়ের কথা আমাদের মনে পড়ে। মা, মাতৃভূমি ও সংস্কৃতি একই সঙ্গে জড়ানো। এগুলোর ভেতর দিয়ে আমরা মানুষ হয়েছি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রসের মেলায় বাড়ে রসপিপাসুদের ভিড়। উদ্বোধনী পর্বের পর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে উপভোগ করেছেন ঢাকার অদূরে ডেমরা থেকে আনা খেজুরের টাটকা রস ও মুড়ি-মুড়কির আপ্যায়ন। এছাড়াও ছিল রসের পিঠা, আচারসহ নানা খাবারের দুটি স্টল। এ পর্যায়ে মঞ্চে এসে আলী হোসেন বয়াতী পরিবেশন করেন জারি গান। টাঙ্গাইলের নাচারি দল চারণ পরিবেশন করে মনসামঙ্গল কাব্যের ‘বেহুলা ভাসান’ পালা। মঞ্চে মাইক ব্যবহার না করায় পরিবেশনা দুটিতে ছিল গ্রামীণ বৈঠকী আমেজ। নাচারি দলের বেহুলা ভাসান পালায় উপস্থাপিত নাচটি ছিল দারুণ উপভোগ্য। পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি ॥ দেশের নির্মাতাদের নান্দনিক ছবির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আলোচিত ছবিগুলো প্রদর্শিত হলো পঞ্চদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ সেøাগানে ১২ জানুয়ারি শুরু হওয়া ৯ দিনের এ উৎসব শেষ হলো শুক্রবার। এদিন বিকেলে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত উৎসবটি সমাপনী আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে। সমাপনী অনুষ্ঠানে উৎসবের প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে জুড়িদের ভোটে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো পুরস্কার প্রদান করা হয়। উৎসবে সেরা শিশুতোষ চলচ্চিত্র হিসেবে বাদল রহমান পুরস্কার পেয়েছে ফিলিপাইনের মারসেইল সি ক্যারিয়েগা নির্মিত ছবি ‘পিটং ক্যাবাং প্যালায়’। দর্শকদের বিচারে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ভারতের ববি সারমা বড়য়ার ছবি ‘সোনার বরণ পাখি’। সেরা ফিচার চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে আজারবাইজানের মিরবালা সালিমলির ‘কিরমিজি বাগ’। সেরা ফিচার চলচ্চিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের নাদের চৌধুরীর ‘লালচর’। সেরা প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার পেয়েছে নেদারল্যান্ডসের এ্যানি ক্রিস্টেইন গিরাডটের ‘আইসল্যান্ডস অব দ্য মনকস’। প্রামাণ্যচিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ইতালির মার্কো জুইনের ‘লা সেদিয়া ডি কার্টুন’। সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ইরানের আলী মারদোমির ‘দ্য সিমেটরি ম্যান’। নারী চলচ্চিত্রকার বিভাগে সেরা ফিচার চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ইরানের ইদা পানাহানদেহের ‘নাহিদ’। এ বিভাগে ফিচার চলচ্চিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে তুরস্কের এমিন এমেল বালচির ‘আনটিল আই লস মাই ব্রেথ’। এ বিভাগে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে সাইপ্রাসের মাইরসিনি আরিস্টোদাওয়ের ‘সিমেল’, স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে নেপাল ও ইরানের দুই নির্মাতা ফাতেমে আহমাদি ও আসমিতা শিরিষের ‘চন্দ্র’, সেরা প্রামাণ্যচিত্র বাংলাদেশের শবনম ফেরদৌসীর ‘জন্মসাথী’, প্রামাণ্যচিত্রে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে মেস্কিকোর নাতালিয়া ব্রুসচেস্টেইনের ‘এল টেম্পো সাসপেন্ডিডো’। স্বল্প ও মুক্ত চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সিরিয়ার আমের-আল-বারঝাওইয়ি ‘ইয়ামান’, বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ভারতের শিবপ্রসাদ কে ভি’র ‘আপ্পোপানথাডি’ ও বাংলাদেশের তারেক আজিজ নিশকের ‘প্যারালাল জার্নি’, সেরা প্রামাণ্যচিত্র মায়ানমারের সো আর্কার হুটানের ‘এ পলিটিক্যাল লাইফ’ ও নেপালের গনেশ পা-ের ‘নেপাল আর্থকুইক : হিরোজ, সারভাইরস এ্যান্ড মিরাকেল’। এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগে এফআইপিআরএসসিআই জুরি পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে কাতারের হুসেইন হাসানের ‘দ্যা ডার্ক উইন্ড’। আন্তর্জাতিক জুরি এ্যাওয়ার্ডে সেরা চিত্রগ্রাহকের পুরস্কার পেয়েছেন কেভাজির শাহীন ও কুসরাত উরসেইন, সেরা চিত্রনাট্য সায়েদ রুস্তাতি ও সোনার ক্যানের, সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ফিলিস্তিনের মাইশা আবদ এলহাদি, সেরা অভিনেতা ইরানের ফারহাদ আসলানি, সেরা পরিচালক ইরানের পারভিজ শাহবাজি এবং সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ইরানের ‘ডটার’। এছাড়াও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্রকে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। সমাপনী আয়োজনের শুরু হয় ‘আনন্দোলোকে মঙ্গলালোকে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর ‘ফুলে ফুলে দুলে দুলে’, ‘পুরানো সেই দিনের কথা’সহ বেশ কয়েকটি গান বাংলায় ও ইংরেজী ভাষায় পরিবেশন করেন সংগঠনের মনোনীত শিল্পীরা। প্রথমে বাংলা ও পরে ইংরেজী ভাষায় এ গান পরিবেশনা শেষে আবার মঞ্চে ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’ শিরোনামের গানের সঙ্গে একদল নারী নৃত্যশিল্পী এবং পরে ‘হেইওরে হেইও’ গানের সঙ্গে একদল ছেলে নৃত্যশিল্পী পরিবেশন করে মনোজ্ঞ নৃত্য। এ উৎসবের রজতজয়ন্তীর এবারের আয়োজনে জাদুঘরের মূল মিলনায়তন, গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেস, আমেরিকান কালচার সেন্টার, স্টার সিনেপ্লেক্সসহ ঢাকার ৬টি ভেন্যুতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৬৭টি দেশের ১৭৭টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। রবীন্দ্রচর্চা বিষয়ক সেমিনার ও রবীন্দ্রগুণী সম্মাননা ॥ প্রতিষ্ঠার তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করল সাহিত্যচর্চা বিষয়ক সংগঠন খামখেয়ালী সভা। এ উপলক্ষে দুই দিনের অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ও ভারতে রবীন্দ্রচর্চা’ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সাদি মহম্মদকে প্রদান করা হবে রবীন্দ্রগুণী সম্মাননা। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ সম্মাননা জানানো হবে। শুক্রবার সকালে শিল্পী একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে রবীন্দ্র গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম সেমিনারটি। এতে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক শফি আহমেদ, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ ও অধ্যাপক ড. শোয়াইব জিবান। সভাপতিত্ব করেন খামখেয়ালী সভার সভাপতি মাহমুদ হাশিম। সভাপতির বক্তব্যে আহমদ রফিক বলেন, প্রকৃত অর্থে রবীন্দ্রচর্চা আমাদের কোন অর্জন নয়, এটি আমরা পেয়েছি উত্তরাধিকার সূত্রে। কারণ, এই ভূখ-ে যুক্তির চেয়ে ভক্তির প্রাবল্য বেশি। রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রেও রয়েছে সেই একই প্রবণতা। সে কারণে রবীন্দ্র সৃষ্টিকর্মের কাঠামোগত বিষয় নিয়ে যেভাবে আলোচনা হওয়া উচিত এখানে সেটা হয় না। যুক্তির পরিবর্তে ভক্তিমূলকভাবে রবীন্দ্র সৃষ্টিকে বিশ্লেষণ করা হয়। এর ফলে রবীন্দ্রচচার মূল বার্তাটি অধরা থেকে যায়। বিকেলে কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে পারফরমিং আর্ট বা প্রয়োগশিল্পে বাংলাদেশ ও ভারতের রবীন্দ্রচর্চা বিষয়ক সেমিনার। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামালউদ্দিন কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজিজুর রহমান তুহিন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অভ্র বসু। আলোচনায় অংশ নেন নাট্যজন বিপ্লব বালা ও সঙ্গীতশিল্পী সাদি মহম্মদ। বংশীবাদক আজিজুল ইসলামের সম্মাননা প্রদর্শনী ও বাঁশরীসন্ধ্যা ॥ শাস্ত্রীয় ধারার বংশীবাদক ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। মোহময় বাঁশির সুরে দেশের সঙ্গীতপ্রেমীদের পাশাপাশি এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। শুক্রবার থেকে জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনালয়ে শুরু হলো এই বাঁশরীয়ার দেশ-বিদেশে অর্জিত আজীবন সম্মাননা স্মারক নিয়ে পাঁচ দিনের প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা ছিল শিল্পীর পরিবেশিত বাঁশরীসন্ধ্যা। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় বাঁশিতে রাগ ইমন, বেহাগ, দুর্গা এবং কাহারবা তালে ভৈরবী রাগ পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে সম্মাননা স্মারক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতি চৌধুরী ও নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ। সভাপতির বক্তব্য রাখেন র আ ম উবায়দুল মোকতাদির। দুই পর্বের উদ্বোধনী আয়োজনের প্রথম পর্বে অতিথিদের হাতে শিল্পীর অটোগ্রাফসম্বলিত একটি বাঁশি এবং এ পর্যন্ত প্রকাশিত তাঁর একগুচ্ছ এ্যালবাম তুলে দেয়া হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে আজিজুল ইসলামকে উপমহাদেশের প্রথম সারির বংশীবাদক উল্লেখ করে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে যত প্রকার সুরযন্ত্র আছে, তার মধ্যে বাঁশি অন্যতম। এটি একটি প্রাচীন বাদ্যযন্ত্র, যার কোন ভাষা নেই কিন্তু সুর আছে। ঠিক তেমনি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভাষা অনেকের কাছে বোধগম্য না হলেও তার সুর আমাদের আনন্দিত করে, প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হতে সহায়তা করে। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে নানাবিধ ধ্রুপদী রাগের আশ্রয়ের শিল্পীর বাঁশির পরিবেশনা। আয়োজনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার বাঁশিতে সকালের রাগ উপস্থাপন করবেন ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
×