ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে গাছে গাছে আমের মুকুল

মাঘের শুরুতেই মুকুলে ভরে গেছে বহু গাছ- চাষীরা খুশি

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২১ জানুয়ারি ২০১৭

মাঘের শুরুতেই মুকুলে ভরে গেছে বহু গাছ- চাষীরা খুশি

মামুন-অর-রশিদ ॥ আমের জন্য খ্যাত রাজশাহীর গাছে গাছে উঁকি দিতে শুরু করেছে আমের মুকুল। শীতের তীব্রতা এবার কম থাকায় আমগাছে আগাম মুকুল আসছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এখনো সব গাছে ঢালাও মুকুল না এলেও কিছু কিছু গাছে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে মুকুল। এরই মধ্যে আমচাষীরা গাছের পরিচর্যার প্রাথমিক পর্ব শুরু করেছেন। আগাম মুকুল দেখে আমচাষীদের অনেকে খুশি হলেও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলছেন, শীত বিদায় নেয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভাল কিছু নয়। এখন ঘন কুয়াশা হলে গাছে আগেভাগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ফলনে প্রভাব ফেলবে। রাজশাহী ফল গবেষণাগার ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত বছর রাজশাহী জেলায় আমের বাগান ছিল ১৬ হাজার ৫৮৩ হেক্টর জমিতে। এবার পরিমাণ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমচাষীরা জানান, এ মৌসুমে রাজশাহীতে তীব্র শীত নামেনি। তাছাড়া চলতি মাঘেও শীতের প্রকোপ তেমন নেই। ফলে এবারের শীত মৌসুমে তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিক। গত এক সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের কিছু কিছু আমগাছে মুকুল এসেছে। রাজশাহী নগরীর ভেড়িপাড়া, পুলিশ লাইনস, মালোপাড়া, মেহেরচ-ী ও ভদ্রা আবাসিক এলাকার বেশকিছু গাছ আমের মুকুলে ভরে গেছে। চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বাগানেও পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিতে শুরু করেছে আমের মুকুল। আমচাষীরা জানান, সব গাছে এখনও মুকুল না এলেও আগাম কিছু মুকুল চোখে পড়তে শুরু করেছে। তাই তারাও বাগানে পরিচর্যার প্রাথমিক পর্ব শুরু করেছেন। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন বলেন, এবার শীত কম, তাপমাত্রা বেশি। এজন্য আগাম মুকুল এসেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে এসব মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখনও তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। তবে আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত এমন থাকলে আমের ফলনে কোন সমস্যা হবে না। জানা যায়, এখন জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও চাষ হয়ে থাকে নানান জাতের আম। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম চাষের জমি বাড়ছে। কৃষি বিভাগ জানায়, আমের ফলন নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা। জেলার চারঘাট উপজেলার কৃষক আব্বাস আলী জানান, মুকুল আসার পর থেকেই বাগানে গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন তারা। রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচর্যার প্রাথমিক পর্বে প্রয়োজনীয় ওষুধ স্প্রে করছেন তারা।
×