অনলাইন ডেস্ক ॥ একবার তো তিনি চমকেই দিয়েছিলেন কলকাতার লোকজনকে। বিশেষ করে কলকাতার ‘মহারাজ’কে। ছদ্মবেশে বেহালার একটি বিশেষ বাড়িতে কড়া নেড়েছিলেন। বড় পরচুলা, খোঁচা দাড়ি আর কাঁধে একটা বস্তা। নিরাপত্তারক্ষীরা এক দেখাতেই ‘গেট আউট’। কলকাতায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে কলিং বেল বাজিয়ে ভিখারির বেশে কে? সেটা ওরা বুঝে উঠতে পারেনি। কিন্তু এটাই যে ‘আমিরি চমক’। ছবির প্রচারে চলে এসেছিলেন প্রাক্তন অধিনায়কের বাড়ি। খানিকটা যেন ‘উঠল বাই তো কটক যাই’-এর মতো ব্যাপার। আর এই চমক আমির খান দিয়েই থাকেন। তা সিনেমার প্রচারে হোক বা অন্য কোনও কারণে। আবার কোনও নতুন চমক দিতে চলেছেন নাকি আমির?
হ্যাঁ, একদম ঠিক। তুলির টানে তো আমির সাবলীল ছিলেনই। বন্ধু সলমনকেও উপহার দিয়েছেন নিজের বেশ কিছু পেন্টিং। গলায় সুরও ধরেছিলেন ‘আতি কেয়া খান্ডালা’। তবে এ বারও সুরই ধরেছেন, তবে গলায় নয়। পিয়ানোয় মজেছেন আমির খান। নিজের মোবাইল থেকে নিজেই বিভিন্ন গানের সরগম খুঁজছেন। আর সেটা সামনে রেখেই হাত বোলাচ্ছেন পিয়ানোয়। গানের শ্রোতা তাঁর দুই ‘দঙ্গল’ কন্যা। সানা মলহোত্র এবং ফতিমা সানা শেখ । যাঁদের একজন রীতিমতো ইন্টারনেট থেকে সুর খুঁজে দিতে ব্যস্ত। আর একজন তো সুরে মজে, সোজা ছবি পোস্ট করে দিয়েছেন ইন্সটাগ্রামে।
‘প্যাশনেট’, ‘পারফেকশনিস্ট’ এ সবের পর আমিরের নতুন নাম, ‘এ.কে’। যে নাম তাঁর রিল-কন্যারই দেওয়া। ছবির ক্যাপশনেই সে নাম লিখেছেন তিনি। ‘দঙ্গল’ এখন উচ্চতার চরম শিখরে। প্রায় এক মাস হতে চলল ছবি রিলিজের, তবু এখনও ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনার অন্ত নেই। এই ছবিই তৈরি করেছে নতুন নতুন সম্পর্ক। সে কারণেই আমিরের আরও এক সুপ্ত বাসনার ছবি ফতিমা ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করতে পারলেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা