ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেজর কামাল আতাউর রহমান, এইসি

নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী

বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী। নারী উন্নয়ন তাই জাতীয় উন্নয়নের পূর্বশর্ত। সকল ক্ষেত্রে নারীর সমান সুযোগ ও অধিকার প্রতিষ্ঠা জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একান্ত অপরিহার্য। বাংলাদেশের নারী শিক্ষা ও নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাদের কন্যাদের শিক্ষা দিয়া ছাড়িয়া দাও, নিজেরাই নিজেদের অন্নের সংস্থান করুক।’ সে কারণে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে এদেশের নারী জাগরণের সূচনা হয়। এ দেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ১৯৯৭’ প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার নিমিত্তে সর্বশেষ ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতাকে অনুধাবন করে নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের ওপর যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মেয়েদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মাধ্যমে নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন করে সেনাবাহিনীতে অফিসার এবং সৈনিক পদে নারীদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক এবং ইংরেজী মাধ্যম স্কুল ও কলেজসমূহে মেয়ে শিক্ষার্থীরা সমান সুযোগ নিয়ে প্রতিযোগিতা করছে। মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নারী শিক্ষা ও নারী প্রগতিতে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এ ছাড়াও গার্লস ক্যাডেট ও নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা নারী উন্নয়নে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান। গার্লস ক্যাডেট কলেজ নারীর শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের মাধ্যমে দক্ষ, চৌকস ও নেতৃত্বদানে পারদর্শী করে গড়ে তুলে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নারী অফিসার তৈরির লক্ষ্যে সেনাবাহিনী ৩টি গার্লস ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা করছে। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে প্রথম ব্যাচের ক্যাডেটদের একাডেমিক ক্লাস শুরুর মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ক্যাডেট কলেজ। ২০০৬ সালের ৭ জুন মহিলাদের জন্য দ্বিতীয় ক্যাডেট কলেজ হিসেবে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ যাত্রা শুরু করে। একই বছর ১৬ জুলাই দেশের তৃতীয় গার্লস ক্যাডেট কলেজ হিসেবে জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ কলেজসমূহে অন্যান্য ক্যাটেড কলেজের ন্যায় সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ সকল প্রতিষ্ঠানে ক্যাডেটদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীর পাশাপাশি সহশিক্ষা (ঈড়-পঁৎৎরপঁষধৎ অপঃরারঃরবং) কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সমগুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। ফলে এ সকল প্রতিষ্ঠানের ক্যাডেটগণ জাতীয় পরীক্ষাসমূহে ঈর্ষণীয় সাফল্যের পাশাপাশি চৌকস ও নেতৃত্বদানে পারদর্শী দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকা-, খেলাধুলা এবং বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেয়ে ক্যাডেটদের শারীরিক, মানসিক উৎকর্ষ সাধন করে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পূর্ণাঙ্গ স্বাবলম্বী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। বীর উত্তম শহীদ লে. আনোয়ার গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ ১৯৫৭ সালে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অধীনে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা বীর উত্তম শহীদ লে. আনোয়ার গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ একটি অতি পরিচিত নাম। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী প্রথম অফিসার সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোঃ আনোয়ার হোসেন, বীর উত্তমের নামে ১৯৭৪ সালে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়। ১৯৯০ সালে এই প্রতিষ্ঠানে কলেজ সেকশন চালু করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বোর্ডের বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের বিবেচনায় বর্তমানে বীর উত্তম শহীদ লে. আনোয়ার গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ বাংলাদেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। এই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার সাফল্য ঈর্ষণীয়। পাঠ্যসূচীর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম, বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ঢাকা ক্যান্ট গার্লস পাবলিক স্কুল ও কলেজ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান এবং জ্ঞানের পরিসর বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল নারী জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই প্রতিষ্ঠান সাফল্যের সঙ্গে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলছে। জাতীয় পরীক্ষাসমূহে সাফল্যজনক ফলাফল অর্জনের পাশাপাশি অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। গত পাঁচ বছরে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় যথাক্রমে ১০০% এবং ৯৮.১৭% পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা (গঈঝক) বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন চৌকস অফিসার তৈরির লক্ষ্যে ২০০২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল খুলনা প্রতিষ্ঠা করা হয়। নারী শিক্ষার প্রসার এবং এর গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০১৩ সালে সপ্তম ও নবম শ্রেণীতে মেয়ে ক্যাডেট ভর্তির মধ্য দিয়ে এমসিএসকেতে গার্লস উইং চালু করা হয়। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও চৌকস নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে সহশিক্ষা কার্যক্রম সংযুক্ত করা হয়েছে। ক্যাডেটদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে দৃঢ় এবং প্রত্যয়ী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাপ্তাহিক ট্রেনিং প্রোগ্রামে শরীরিক প্রশিক্ষণ (চঞ) এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় পরীক্ষায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি সারা দেশের শিক্ষানুরাগীদের নিকট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করা হলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত প্রতিটি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এবং ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল ও কলেজসমূহে নারী শিক্ষার্থীরা সমসুযোগ নিয়ে পড়ালেখা করে ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন করছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনা পর্ষদ মেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি অত্যন্ত যতœবান এবং সতর্ক। এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং মেধা ও বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নারী শিক্ষার্থীগণ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এ ছাড়াও মেডিক্যাল শিক্ষার ক্ষেত্রে আর্মস কোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ, আর্মি মেডিক্যাল কলেজসমূহ অঋগও), প্রকৌশলী শিক্ষার ক্ষেত্রে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি (গওঝঞ), অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিস্ট্রেশন (অওইঅ) প্রতিষ্ঠা করে পুরুষ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন পেশায় দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করছে। নার্সিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে সুদক্ষ ও মানসম্পন্ন নার্স তৈরির লক্ষ্যে ২০০৯ সালে আর্মি নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠান হতে অদ্যাবধি ডিগ্রী অর্জনকারী ৪৫৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮৬ জন বেসামরিক প্রতিষ্ঠানে এবং ৬৮ জন এএফএনএস হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছে। এ ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্র্থীদের নার্সিং শিক্ষার সুযোগদানের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে রংপুর এবং কুমিল্লা সেনানিবাসে আরও দুটি আর্মি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নারীদের কর্মমুখী শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে তৈরি এবং তাদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে এ প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। নারী ক্ষমতায়ন নারী শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে যে, যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত একজন নারী যে কোন পেশায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম। সেনাবাহিনীর ন্যায় চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারী অফিসার এবং পরবর্তীতে নারী সৈনিক নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নারীর সামর্থ্য ও যোগ্যতাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে যা নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারীর অন্তর্ভুক্তি নারীর যোগ্যতা ও সামর্থ্যকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে নারী অফিসার নিয়োগের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে ৪৭নং কোর্সে নারী ক্যাডেট অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। মেয়ে ক্যাডেটগণ দীর্ঘ দুই বছর ছেলে ক্যাডেটদের সঙ্গে কঠোর প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে ২ লেফটেন্যান্ট হিসেবে সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে নারী অফিসারগণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করছে। এ ছাড়াও আর্মি মেডিক্যাল কোরের নারী অফিসারগণ অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আর্মড ফোর্সেস নার্সিং সার্ভিস (এএফএনএস)-এ প্রশিক্ষিত, দক্ষ এবং পেশার প্রতি কর্তব্যনিষ্ঠ নারী নার্সদের নিয়োগের মধ্য দিয়ে নারীর কাজের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি তাদের সমাজে স্বাবলম্বী এবং সম্মানের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত করছে। ২০০১ সালের জানুয়ারিতে আর্মি মেডিক্যাল কোরে নারী সৈনিক নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি শুরু হয়। ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ব্যাচের সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোরে যেমন : আর্টিলারি, অর্ডন্যান্স, ইএমই, এএসসিতে নারী সৈনিক নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন নারীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে অন্যদিকে তারা তাদের মেধা ও প্রতিভা দিয়ে সামরিক বাহিনীর চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি নারীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করে স্বাবলম্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে নারী ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
×