ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

ঝলক

ট্রাম্প পোকা! মার্কিন মুলুকের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ শপথ নেবেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবরটি হয়ত সবার জানা। কিন্তু একটি নতুন খবর আছে। খবরটি হলো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পাশাপাশি আরও একটি নাম এখন অনলাইন দুনিয়া তোলপাড় করছে। সেটি হচ্ছে একটি ছোট্ট পোকা। মজার ব্যাপার হলো, এই পোকার চুল আর ট্রাম্পের চুলের মধ্যে হুবহু মিল। এই পোকা ও ট্রাম্পের চুল সোনালি। মাথায় হলদে-সাদা আঁশওয়ালা বিরল প্রজাতির এই পোকার নাম দেয়া হয়েছে নিওপালপা ডোনাল্ড টাম্পি। সম্প্রতি কানাডীয় গবেষক ভাজরিক নাজারি ক্যালিফোর্নিয়ার এক দুর্গম এলাকায় নতুন প্রজাতির এই পোকার খোঁজ পান। সাধারণত মেক্সিকো ও ক্যালিফোর্নিয়ায় এই জাতের পোকার বাস। নিওপালপা ডোনাল্ড টাম্পি পোকার আরও বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, পুং প্রজাতির এই পোকার যৌনাঙ্গ বাঁকানো। তবে যৌনাঙ্গের মাথার অংশ অত্যন্ত সুঁচালো। উড়তে পারা এই পোকার পাখার দৈঘ্য কয়েক সেন্টিমিটার। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের সঙ্গে মিল রেখে এই পোকার নামকরণ বিষয়ে এক সাক্ষাতকারে নাজারি বলেন, এই নামকরণে যুক্তরাষ্ট্রে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের রক্ষায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সচেষ্ট হবেন বলে আমি আশা করছি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জীববৈচিত্র রক্ষায় তিনি পদক্ষেপ নেবেন। এদিকে নিওপালপা ডোনাল্ড টাম্পি নামের এই পোকা অনলাইনে প্রকাশ করতেই অল্প সময়ের মধ্যে খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ এই পোকার ছবি নিয়ে নানা হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করে। টুইটারে একজন লিখেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নামে একটি পোকা আছে। খবরটি শুনে আমি হাসি আর চেপে রাখতে পারছি না। অপর একজন লিখেছে, এই কুৎসিত প্রাণিটির নাম ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামের সঙ্গে মিল রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার ট্রাম্পের চুলের সঙ্গে এটির চুলের মিল রয়েছে। খবরটি দারুণ। ওবামার সময়কালে তার নামে মোট নয় প্রজাতির প্রাণীর নামকরণ করা হয়। তবে এই খবরে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। -লাইভ সায়েন্স অবলম্বনে শৈশবে শোনা ভাষা ভোলে না মানুষ সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের পর প্রথম কয়েক মাসে শিশুরা যে ভাষা শোনে সেই ভাষাটা তাদের মস্তিষ্ক থেকে আর হারায় না। এমনকি অন্য দেশে চলে গিয়ে জন্মভাষা ভুলে গেলেও সেটা পুনরুদ্ধার করার ক্ষমতা তাদের থাকে। দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্ম নেয়া শিশু, যাদের ডাচভাষী দম্পতিরা দত্তক নিয়েছিলেন এবং নেদারল্যান্ডসে তারা বেড়ে উঠেছে তাদের ওপর এক গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওই শিশুরা বড় হয়ে গেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ভুলে গেছে। আবার গবেষণা চলাকালে তাদের কোরিয়ান ভাষা শেখানোর সময় তারা প্রত্যাশার চাইতেও দ্রুতগতিতে এই ভাষা রপ্ত করেছে। এই গবেষণার প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, শিশুদের জন্মের পর থেকে যত বেশি সম্ভব তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। গবেষণার নেতৃত্ব দেন হ্যানইয়াং ইউনিভার্সিটির ড. জিউন চোই। ড. চোই বলেন, এটাই প্রথম গবেষণা, যেখানে দেখানো হলো দত্তক নেয়া শিশু অতি শৈশবে শোনা ভাষা ভুলে গেছে বলে মনে করলেও দ্রুত তা পুনরুদ্ধার করতে পারে। যাদের ওপর এই গবেষণা করা হয় তাদের সবার বয়স এখন ত্রিশের কোটায়।-বিবিসি অবলম্বনে
×