ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

উবাচ

নারী সহকারী স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন বেগম খালেদা জিয়া। দল তো আছেই, দেশের সকলেই এক-আধটু এ খবর জানেন। রাত না হলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বৈঠকে বসতে পারেন না। অনেকে তো বলতে শুরু করেছেন, এটা নাইট পার্টি হয়ে গেছে। দলের ওপর পর্যায়ের নেতারা তো কানাঘুষা করেনই। ম্যাডামের একটু আগেভাগে ঘুমটা ভাঙ্গলে কাজটা বেশি হতো। কিন্তু এ কথা কে বলতে যাবে? ভয় তো থাকেই। পাছে পরামর্শে পদ না যায়! দলের অনানুষ্ঠানিক পরামর্শক ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পদ যাওয়ার ভয় নেই। কারণ, তার কোন পদই নেই। ফলে মাঝে মধ্যেই তিনি বিএনপির নানা বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। দলটি যে দিনের পর দিন জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণের জায়গা হারাচ্ছে তা বুঝতে পেরেছেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু তাই বলে কি বলা যায় একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠেন। সম্প্রতি বেগম জিয়াকে শিমুল বিশ্বাসের পাশাপাশি আরেক নারী সহকারী রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, উনি (সহকারী) সকাল ৮-৯টার সময় গুলশানের বাসায় যাবেন, দিনের ১-২টা পর্যন্ত থাকবেন, কর্মীদের সঙ্গে নেত্রীর দেখা করানোর ব্যবস্থা করবেন। যদিও জাফরুল্লাহর পরামর্শে একজন লেডি সেক্রেটারির ব্যবস্থা হয়, কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার দায়িত্ব কে নেবেন? জাফরুল্লাহ বিএনপি নেত্রীকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, বিএনপির ‘১০ হাজারের মতো’ নেতাকর্মী এখন কারাগারে। তাদের স্বজনদের সঙ্গে বেগম জিয়ার নিয়মিত যোগাযোগ করতে হবে। তিনি বলেন, তাদের সকলকে ফোন করে খোঁজ নিতে হবে, তার মায়ের খোঁজ, বউয়ের খোঁজ নিতে হবে। বিএনপির নানা আচারণে জাফরুল্লাহ সাহেব ইদানীং ত্যক্তবিরক্তই বলা যায়। দলের মুখপাত্র যিনি অন্তত প্রতিদিন কয়েকবার টেলিভিশনের সামনে আসতে চান সেই রিজভীকেই সব থেকে বেশি বিরক্তিকর মনে করছেন তিনি। জাফরুল্লাহ তো বলেই বসেছেন, প্রতিদিন অমন ঘরে বসে টিভিতে মুখ দেখানোর কি আছে। অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, যখন এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় ছিলেন তখন উনি প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় আসতেন। আমার ছোট মেয়ে বৃষ্টি বলত: বাবা, হু ইজ দ্যাট টেলিকাস্টার, হু কামস এভরিডে। আমি বলতাম-না না বৃষ্টি, হি ইজ আওয়ার প্রেসিডেন্ট এরশাদ। পরে এরশাদের সঙ্গে দেখা হলে আট-নয় বছরের মেয়ের ওই প্রশ্ন তাকে জানিয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন তাতে কাজ হয়েছিল। উনার (এরশাদ) বুদ্ধি ছিল বলে এরপর থেকে উনি টেলিভিশনে এত বেশি আসতেন না। দুর্ভাগ্য, বিএনপির মাথায় সেটাও নেই, তারা সব কিছু জানে। ভিলেন যখন মহাসচিব স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি বার বার দল পরিবর্তনকারী নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা এবার দলের মহাসচিব পরিবর্তন করে ফেলেছেন। শক্তিমান অভিনেতা এ্যান্টি-হিরো যাকে বলে ভিলেন, সেই আহমেদ শরীফই হচ্ছেন ব্যানাহুদার দল তৃণমূল বিএনপির নয়া মহাসচিব। দলটির দ্বিতীয় জন্মদিনে সম্প্রতি মহাসচিব বদলের ঘটনা ঘটান তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। নতুন মহাসচিবের নাম ঘোষণার পর তিনি রসিকতা করে বলেন, আহমেদ শরীফ সাহেব মহাসচিব হয়েছেন। সমস্যা হলো, তাকে তো আমরা ভিলেন হিসেবে চিনি। অবশ্য আমাদের দলে নায়কও আছেন, সমস্যা হবে না। মূল বিএনপির সঙ্গে বিরোধ থাকলেও তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের হৃদ্য প্রকাশ পেয়েছে এই মঞ্চে। নাম ঘোষণার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন মহাসচিব সবাইকে শুভেচ্ছা জানান। এর আগে দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মাওলানা আবেদ আলী। তবে তার বাড়ি চট্টগ্রাম হওয়ায় সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও জানান নাজমুল হুদা। আবেদ আলীকে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। মেয়রের বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসবে? স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন হকার উচ্ছেদ করছে। ছোট রাস্তায় যান চলাচলই দায়; তার ওপর হকার বিড়ম্বনা। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে তাদের পেট আছে। পেট আছে তাদের পরিবারেরও। এত মানুষের অন্নের সংস্থান হবে কি করে। কি করবে এত মানুষ। হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, অন্য সবাই আইডি কার্ড পেলে হকাররা কেন পাবে না। হকাররা আইডি কার্ড পেলে ভুয়া হকাররা আর ভাঁওতাবাজি করতে পারবে না। তিনি বলেন, হকারদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করে দেবেন না আপনারা, তারা করে খাবে সেটাও হতে দেবেন না, সেটা হবে না। গরিবের ওপর জুলুম কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না। সিপিবির এই নেতা বলেন, হকারদের পুনর্বাসনের জন্য হকার্স মার্কেট করে দিতে হবে। পাশাপাশি যেখানে কাস্টমার আছে সেখানেই এই মার্কেট করতে হবে। তিনি বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে বসলে তাদের তো আধা বেলার রুজিও হবে না। তাহলে তাদের কী মেয়র খাওয়াবে নাকি তারা গণভবনে গিয়ে খেয়ে আসবে।
×