ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে পোল্ট্রি হ্যাচারি ঘেঁষে ইটভাঁটি স্থাপনের চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

রাজশাহীতে পোল্ট্রি হ্যাচারি ঘেঁষে ইটভাঁটি স্থাপনের চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর লোন্দাপুরে পোল্ট্রি মুরগির হ্যাচারি প্লান্টের পাশে বিধি লঙ্ঘন করে ইটভাঁটি তৈরির পরিকল্পনায় হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে এ অঞ্চলের বৃহৎ ওই পোল্ট্রি শিল্প। হ্যাচারি কর্তৃপক্ষের দাবি প্লান্ট ঘেঁষে ইটভাঁটি স্থাপন করা হলে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদফতরের কাছে নালিশ জানিয়েছে পোল্ট্রি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে বিষয়টি তদন্তও শুরু করেছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরও বিষয়টিকে ওই প্লান্টের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে জানিয়েছেন। হ্যাচারি প্ল্যান্ট ঘেঁষে ইটভাঁটি স্থাপন না করার জন্য তারা প্রশাসনের কাছেও চিঠি দিয়েছে। তবে ইটভাঁটির মালিক পক্ষ বলেছে এটি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় প্লান্ট হবে। এ থেকে কোন ধরনের দূষণ হবে না। জানা গেছে, ২০০৯ সালে ওই এলাকায় পোল্ট্রি মুরগির হ্যাচারি প্লান্ট স্থাপন করে আমান গ্রুপ। এটি ২০১০ সালে উৎপাদনে যায়। বর্তমানে এখানে ১৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১২ একর জমির ওপর স্থাপিত এই প্লান্টে প্রতি সপ্তাহে ছয় লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হয়। এতে এ অঞ্চলের ৩৬ হাজার খামারি উপকৃত হচ্ছে। পরোক্ষভাবে উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছে বলে। আমান গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আজিজুল হক জানান, এটি খুব সেন্সেটিভ প্লান্ট। এখানে যদি ইটভাঁটি স্থাপন করা হয় তবে তার দূষণে মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিভিন্নভাবে। ধুলার কারণে মুরগির ফুসফুসে সিলিকেসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আর শব্দ দূষণের কারণে মুরগির জীবনযাত্রায় নানা সমস্যা দেখা দেবে। আমান পোল্ট্রি এ্যান্ড হ্যাচারির ডিজিএম এসজেএস আলম জানান, এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন। এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে জানানো হয় সরকারী গেজেট অনুযায়ী খামারের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোন ভারি শিল্প স্থাপন করা যাবে না। এই চিঠি পরিবেশ অধিদফতর এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের সব দফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইটভাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান উপেন ব্রাদার্স অটোব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর উপেন্দ্রনাথ ম-ল দাবি করেন তাদের ইটভাঁটি এডিবির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটা পুরোপুরি দূষণমুক্ত। এর জন্য আশপাশের পরিবেশ দূষিত হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকবে না। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত অটোব্রিক্সস মিলের সব শর্ত তারা পূরণ করেছেন। তিনি এখন পারিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্রের প্রত্যাশায় রয়েছেন।
×