ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরে পণ্য আমদানিতে স্থবিরতা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরে পণ্য আমদানিতে স্থবিরতা

রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম থেকে ॥ কুড়িগ্রামের বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরে ১০টি পণ্যের আমদানির অনুমতি থাকলেও বিগত ৪ বছরে ২টির বেশি পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। ভারতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে স্থবিরতা নেমে এসেছে বন্দরটিতে। ফলে সম্ভাবনার কপাট এখন আটকে পড়েছে। মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আগ্রহী ব্যবসায়ীরা। একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর প্রায় ৪৪ একর জায়গার উপর যাত্রা শুরু করে দেশের ১৮তম স্থলবন্দর বঙ্গসোনাহাট। এটি কুড়িগ্রাম জেলা থেকে ৫৬ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। প্রাথমিকভাবে পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভুট্টা, গম, চাল, ডাল, রসুন, আদা ও পেঁয়াজ এ ১০টি পণ্য আমদানির অনুমোদন পায় স্থলবন্দরটি। এতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখে কুড়িগ্রামবাসী। শ্রমজীবীদের সুযোগ হয় কাজের সংস্থান, ব্যবসায়ীদের ব্যবসায়িক সুযোগ এবং জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। কিন্তু বন্দর শুরুর ৪ বছর পার হলেও শুধু পাথর ও কয়লা ছাড়া এ পথে কিছুই আসছে না। একই সঙ্গে সব ধরনের পণ্য রফতানির সুযোগ থাকলেও ভারতীয় রাজস্ব বোর্ডের কারণে এখনও কিছুই হয়নি। আমদানিকারক হামিদুল ইসলাম ও মাইদুল ইসলাম জানান, লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারি স্থলবন্দর হয়ে ৪শ’ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আনা হচ্ছে ভারতীয় পণ্য। অথচ বঙ্গসোনাহাট বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্যগুলো থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার পথ পরিবহন করে পণ্য আনা যাবে। পরিবহন খরচ বাদে লাভবান হবে ব্যবসায়ীরা। শ্রমিকরা পাবে কাজের সুযোগ। বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকীব আহমেদ জুয়েল জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে জোরেশোরে। কিন্তু বাকি পণ্য আমদানি না হওয়ায় এবং রফতানির সুযোগ না থাকায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। এপ্রিল থেকে ব্যাংক হিসাব খোলায় কড়াকড়ি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সব ব্যাংককে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে হিসাব খোলার অভিন্ন আবেদন ফর্ম ও গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কিত ফর্ম অবশ্যই চালু করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একই সঙ্গে মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর নির্দেশনা মোতাবেক গ্রাহকের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতেও নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিএফআইইউয়ের জারি করা সার্কুলার লেটারটি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীকে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং এ সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবেলায় জারি করা হিসাব খোলার অভিন্ন আবেদন ফর্ম ও গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কিত ফর্ম বিভিন্ন আইনগত সংশোধন ও আন্তর্জাতিক মানদ-ের পরির্তনের সূত্রে হাল নাগাদকরণের আবশ্যকতা বিবেচিত হওয়ায় তা হাল নাগাদ করা হলো। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, জারি করা হিসাব খোলার অভিন্ন আবেদন ফর্ম ও গ্রাহক পরিচিতি সম্পর্কিত ফর্ম আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে অবশ্যই সব ব্যাংককে চালু করতে হবে।
×