ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২০২০ সালের মধ্যে ৫ লাখ লোকের চাকরি

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

২০২০ সালের মধ্যে ৫ লাখ লোকের চাকরি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকার ২০২০ সালের মধ্যে ৫ লাখ লোককে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও চাকরি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যার মধ্যে থাকবে ৩০ শতাংশ নারী। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় পরিচালিত স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেইপ) আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। সেইপের নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক আব্দুল রউফ তালুকদার কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সেইপ’র জাতীয় প্রকল্প পরিচালক জালাল আহমেদ, যুগ্ম-সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, অধ্যাপক ড. আহমদুল্যাহ মিয়া, ড. অলিউর রহমান প্রমুখ। জালাল আহমেদ বলেন, সেইপ ৩৪টি সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ১১টি শিল্প সংগঠন, পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়। এরই মধ্যে ৭০ হাজার পুরুষ এবং ৩০ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই চাকরি করছেন, যাদের প্রায় সবারই বেতন মাসে ৭ হাজারের বেশি। আব্দুল রউফ জানান, সেইপ ৯টি খাতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এ খাতগুলো হলো- তৈরি পোশাকশিল্প ও টেক্সটাইল, নির্মাণ শিল্প, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও পাদুকা শিল্প, এ্যাগ্রো শিল্প, পর্যটন শিল্প এবং নার্সিং এ্যান্ড হেলথ টেকনোলজির ওপর প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণ কর্মসূচীতে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এসএমই ঋণে উচ্চ হারে সুদ নেয়ার অভিযোগ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উদ্যোক্তাদের কম সুদে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ঋণ দিতে বাংলাদেশ বাংকের নির্দেশনা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যাংক উচ্চহারে সুদ নিয়ে ঋণ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উদ্যোক্তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) মিলনায়তনে ‘এসএমই খাতে অর্থায়ন: সমস্যা ও উত্তরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উদ্যোক্তারা এ অভিযোগ করেন। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমাদের কাজ হলো এসএমই খাতকে এগিয়ে নেয়া। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পই আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভবিষ্যত। সেমিনারে উদ্যোক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসএমই খাতে ঋণের সুদ হারের স্প্রেড সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এরপরও বেশিরভাগ ব্যাংক এখন পর্যন্ত এসএমই ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সুদ (১২ থেকে ১৩ শতাংশ) গ্রহণ করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পুরুষদের এসএমই খাতে ঋণের ওপর ১২ শতাংশ সুদ নেয় এবং নারীদের ক্ষেত্রে সুদ নেয় ১৩ শতাংশ পর্যন্ত। গবর্নর বলেন, এসএমই খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভূমিকা হলো অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার সমর্থন করা এবং জিডিপি হার বাড়ানো। বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বিতীয় কাজ হবে এসএসই খাতে উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তবে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে আরও সাহসী হতে হবে। এ খাতে সাহসিকতার বিকল্প নেই। ফজলে কবির বলেন, ২০১২ সালে ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর তারা (ব্যাংক) ঋণ দিতে ভয় পেত। আমি তখন গ্রহীতাদের ঋণ দেয়ার কথা বলেছি। পাশাপাশি মনিটরিং বাড়ানোর কথাও বলেছি। তিনি বলেন, ঋণ নেয়ার যে নিয়মকানুন আছে সে সম্পর্কে গ্রহীতাদের জানতে হবে। প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
×