ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জ গুটিয়ে নিচ্ছে সেবি

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

 আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জ গুটিয়ে নিচ্ছে সেবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) গুটিয়ে নেয়া হবে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির চেয়ারম্যান ইউকে সিন্হা। যদিও কর্তৃপক্ষের ধারণা, স্টক এক্সচেঞ্জটি চাঙ্গা করার যথেষ্ট সুযোগ এখনও রয়েছে। ভারতের একটি সংবাদ সংস্থা জানায়, সম্প্রতি কলকাতায় ভারত চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত দেশের শেয়ারবাজার নিয়ে এক সভায় সিন্হা বলেন, আমার মনে হয় না ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের টিকে থাকার কোন সম্ভাবনা রয়েছে। বস্তুতপক্ষে সিন্হা মনে করেন, শুধু ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জ নয়, দেশে কোন আঞ্চলিক স্টক এক্সচেঞ্জেরই আর প্রয়োজন নেই। ইতোমধ্যেই ১৯টি এ ধরনের এক্সচেঞ্জ বন্ধও হয়ে গেছে। তবে সিএসইর এক কর্তার দাবি, সিন্হা ওই কথা বললেও আমাদের ধারণা, এই স্টক এক্সচেঞ্জকে চাঙ্গা করে তোলার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। কীভাবে তা করা যায়, সেটি নিয়ে একটি সমীক্ষাও কর্তৃপক্ষ করিয়েছেন। এ দিকে ২০১৬-’১৭ অর্থবছরে পূর্বাঞ্চল থেকে একটি সংস্থাও নতুন শেয়ার বা আইপিও ছাড়ার আবেদন করেনি। সিনহা জানান, শুধু ৬টি ছোট-মাঝারি সংস্থা তাদের জন্য নির্ধারিত এসএমই এক্সচেঞ্জে শেয়ার ছেড়ে ৪২ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহ করেছে। এর কারণ খতিয়ে দেখতে বণিকসভাগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি। সেবি কর্তা বলেন, সারাদেশে নতুন ইস্যু খাতে বাজার থেকে ২৬ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে এর মধ্যে সিংহভাগই আর্থিক পরিষেবা সংস্থা। উৎপাদন শিল্পের সংখ্যা খুবই কম। দেশের শেয়ারবাজারের ব্যাপারে সিন্হা মন্তব্য করেন, বর্তমানে সূচকের ওঠা-নামা আগের মতো আর বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলোর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল নয়। একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের বাজার থেকে ১১০০ কোটি ডলারের মতো লগ্নি ওই সব সংস্থা তুলে নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেয়ারবাজারের পতন হয়নি। ভারতীয় আর্থিক সংস্থা, পেনশন তহবিল এবং বীমা সংস্থা বড় অঙ্কের লগ্নি করার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি সিন্হার।
×