ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে চাচার হাতে ভাতিজা খুন

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

শেরপুরে চাচার হাতে ভাতিজা খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১৯ জানুয়ারি ॥ নকলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচার হাতে ভাতিজা খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার বাউসা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত সজল (২০) উপজেলার কবুতরমারী গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায়, নকলা উপজেলার কবুতরমারী গ্রামের চাচাত দুই ভাই সুলতান মিয়া ও আব্দুল মোতালেবের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল মোতালেব ও তার বোন আঞ্জুমালা এবং পুত্রবধূ লাইলী মিলে সুলতানের জমি দখল করতে গেলে সুলতান ও তার ছেলে সজল মিলে তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে মোতালেব ও তার বোন এবং পুত্রবধূ মিলে তাদের ওপর হামলা চালালে সজলের ঘাড়ে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রূপগঞ্জে কিশোরীর লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, পপি (১৪) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগানবাড়ী এলাকা থেকে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পপি বরপা সুতালাড়া এলাকার আবু সাইদ মিয়ার মেয়ে। পুলিশ জানায়, বাগানবাড়ী এলাকার ওমান প্রবাসী ইব্রাহীম মিয়ার বাড়ির একটি ঘরে কিশোরী পপির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ পপির ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে। ফরিদপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর থেকে জানান, দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি না পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (৩০) খুন করেছে স্বামী সাজ্জাদ হোসেন। পরে লাবণীর লাশ ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের জরুরী বিভাগে রেখে পালিয়ে গেছে সাজ্জাদ। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটে। স্বামী সাজ্জাদ হোসেন (৩৮) পশ্চিম আলীপুর এলাকার আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি একজন ইজিবাইক চালক। ওই দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। নিহত লাবণীর মামী আফরোজা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই সাজ্জাদ যৌতুকসহ নানা কারণে লাবণীকে নির্যাতন করত। কিছুদিন ধরে সে দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চেয়ে না পেয়ে লাবণীর ওপর চরম অত্যাচার শুরু করে। লাবণী নির্যাতন সইতে না পেলে বাবার বাড়ি থেকে কয়েকবার টাকা এনে দিয়েও জীবন বাঁচাতে পারল না। বুধবার সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাজ্জাদ লাবণীর পেটে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাবণীকে মৃত ঘোষণা করে। এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাজ্জাদ।
×