ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আশ্রয়ণ প্রকল্পের টাকা ১৪ মাসেও জমা হয়নি কোষাগারে

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২০ জানুয়ারি ২০১৭

আশ্রয়ণ প্রকল্পের টাকা ১৪ মাসেও জমা হয়নি কোষাগারে

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কুতুবদিয়ায় ডিজিটাল হিন্দু পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দের আত্মসাতকৃত প্রায় ১২ লাখ টাকা ইউপি চেয়ারম্যান ১৪ মাসেও ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিদর্শনে আসা একটি টিম ওই টাকা আত্মসাত করার প্রমাণ পেয়ে রিপোর্ট দেয়ার পর কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজদ্দৌল্লাহকে চিঠি দিয়েছিলেন। ওই পত্রে ১৫ দিনের মধ্যে উল্লিখিত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদানের অনুরোধ করা হয়। জানা যায়, কুতুবদিয়া ধুরুং এলাকায় সরকার ডিজিটাল হিন্দু পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৮৫.৫৮০ টন গম বরাদ্দ দেয়। মোট পাঁচ কিস্তিতে বরাদ্দকৃত গম উত্তোলন করেন উত্তর ধুরুং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজদ্দৌল্লাহ। তিনি নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে সরকারী বরাদ্দের অর্ধেক টাকা আত্মসাত করায় কুতুবদিয়ায় ডিজিটাল হিন্দু পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ ভেস্তে যায় বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন। পরিদর্শনকারী দল সরেজমিন দেখে বরাদ্দকৃত ৮৫.৫৮০ টন গমের বিপরীতে মাত্র ৪৫.১৯০ টনের কাজ হয়েছে এবং ৪০.৩৯০ টন গমের কাজ হয়নি বলে রিপোর্ট দিয়েছেন। আত্মসাতকৃত ওই পরিমাণ গমের মূল্য বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দিতে কুতুবদিয়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা থেকে ইস্যুকৃত পত্র যথা সময়ে গ্রহণ করেন উত্তর ধুরুং ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক জামায়াত নেতা সিরাজদ্দৌল্লাহ। চিঠি পেয়েও সরকারী বরাদ্দে ৪০.৩৯০ টন গমের ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৬১৪ টাকা এ পর্যন্ত কোষাগারে জমা করেননি বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজদ্দৌল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নগদ টাকা জমা করা হয়নি। তবে ওই টাকার বরাবর প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করে দেয়া হয়েছে। সাদুল্যাপুরের ৪ নেতার দুজন উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৯ জানুয়ারি ॥ নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর সাদুল্যাপুর উপজেলার দুই আওয়ামী লীগ নেতার খোঁজ মিলেছে সৈয়দপুরে। বুধবার গভীর রাতে একটি মাইক্রোবাসে করে তাদের নীলফামারীর সৈয়দপুর রেখে কয়েকজন চলে যায়। পরে সেখান থেকে তারা বাড়িতে আসে। ওই দুই নেতা হলোÑ সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি মনোয়ারুল হাসান জীম ম-ল এবং ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদেকুল ইসলাম সাদেক। জীম ম-ল জানান, বুধবার রাত পৌনে ১২টায় তাদের একটি মাইক্রোবাসে করে সৈয়দপুর নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর তারা বাড়িতে ফেরেন। তবে এই ১০ দিন তারা কোথায় ছিল বা কারা তাদের আটকে রেখেছিল তা বলতে রাজি হননি। উল্লেখ্য, ৯ জানুয়ারি রাত ১১টায় জীম ও সাদেক মোটরসাইকেলে করে সাদুল্যাপুর থেকে লালবাজার হয়ে নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম নয়নের কাছে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন। অপরদিকে, সাদুল্যাপুর থেকে উধাও হওয়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবদলের ৪ নেতার মধ্যে ২ নেতার সন্ধান মিললেও নিখোঁজ অপর দুই নেতা নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা স¤পাদক মাইদুল ইসলাম প্রিন্স ও নলডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সাধারণ স¤পাদক শফিউল ইসলাম শাপলার এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
×