ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যাচের আগে বিরাট মঞ্চে ধোনি শো

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

ম্যাচের আগে বিরাট মঞ্চে ধোনি শো

অনলাইন ডেস্ক ॥ কোথায় হওয়ার কথা ছিল বিরাট-মঞ্চ, হয়ে গেল কি না ধোনি-শো। মহানদীর তিরে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-র আগের দিনই মাঠ মাতিয়ে দিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যায় যে ভাবে কটকের বরাবাটি স্টেডিয়াম বদলে গেল ধোনির মঞ্চে, তেমন বৃহস্পতিবার ম্যাচেও হলে আর বিরাট রাজার চিন্তা নেই। একেই তিনি চরম ফর্মে। সঙ্গে আবার কেদার যাদবের মতো ‘ইয়ংস্টার’-ও ফুটছেন। এর উপর ধোনির পারফরম্যান্সে যদি বুধবারের ঘণ্টা দুয়েকের টানা প্র্যাকটিসের প্রভাব পড়ে, তা হলে ইংল্যান্ডের যে কী অবস্থা হতে পারে, সেটাই ভাবার। বৃহস্পতিবার রাতে কটকেই বোঝা যাবে, এই সিরিজ কোন দিকে যাচ্ছে। ভারত জিতলে সিরিজ বিরাট কোহালিদের পকেটে। হারলে, সেই সাসপেন্স তোলা থাকবে ইডেন যুদ্ধের জন্য। এ দিন দুপুরে পুণে থেকে ভুবনেশ্বরে নামার পরে টিম বাসে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কটকে যখন এসে পৌঁছলেন ধোনি, তখন তাঁর সঙ্গে শুধু লোকেশ রাহুল ও অজিঙ্ক রাহানে। বাকিরা সব সাপোর্ট স্টাফ। না বিরাট, না যুবরাজ, না ধবন, না অশ্বিন। বাস থেকে আর কাউকেই নামতে দেখতে না পেয়ে হতাশ হলেন স্থানীয় ক্রিকেট ভক্তরা? বোধহয় না। ধোনি আর তাঁর ধমাকা যে পড়ে থাকল। কটকে যেটা বরাবরই হয়ে থাকে, সেটাই যে দেখা যাবে এ দিন, এতে অবাক হওয়ার কী আছে? ম্যাচের আগের দিনও গ্যালারিতে ক্রিকেটপ্রেমীদের ঢল। ধোনির টানা ঘণ্টা দুয়েকের প্র্যাকটিসে যেমন তারা রইল সমানে, তেমন প্র্যাকটিসের মাঝে, আগে, পরেও মাঠের মধ্যে থাকা কিছু উৎসুক ভক্তদের ভিড়ও সামলাতে হল প্রাক্তন ক্যাপ্টেনকে। সেলফি, অটোগ্রাফের আবদার সামলেই তাঁকে প্র্যাকটিস চালাতে হল। নেটেই ধমাকা করলেন। সতীর্থ বোলাররা কেউ ছিলেন না এ দিন। নেট বোলারদের নিয়েই শুরু করে দিলেন প্র্যাকটিস। তাদের তুলে তুলে গ্যালারিতে আছড়ে ফেললেন। এমন মেজাজে বৃহস্পতিবারও থাকলে যে রানের ফোয়ারা ছুটবে বরাবাটিতে, তা বোঝাই যাচ্ছে। অধিনায়ক বিরাটের সঙ্গে ধোনির টিমে থাকাটা যে একটা দারুণ প্লাস পয়েন্ট, এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলছিলেন লোকেশ রাহুল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিরাটের নেতৃত্বে খেলাটা দারুণ ব্যাপার। আর এমএস দলে থাকা মানে ও শুধু ক্যাপ্টেনকেই সাহায্য করবে না, দলের তরুণ ক্রিকেটারদেরও করবে।’’ স্থানীয় কিউরেটর পঙ্কজ পট্টনায়েক বলছেন, এ মাঠ রানের স্বর্গ। ছোট বাউন্ডারি। উইকেটে হালকা সবুজ আভা, যা মূলত পিচের বাঁধন ধরে রাখার জন্য। ইনিংসে তিনশো কোনও ব্যাপারই নয়। তার চেয়ে বেশিও উঠতে পারে। কিন্তু পরে বোলিং করতে নামলে শিশির ঝামেলায় ফেলবেই বোলারদের। এমন কিছু শীত নেই কটকে। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে শিশির পড়ে মারাত্মক। তাই টস জিতে আগে বোলিং করে নিয়ে পরে রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচ জেতো, এটাই এখানকার চালু ফর্মুলা। চালু ফর্মুলায় বিরাট বাহিনী ম্যাচ জেতে না তাদের সামনে চ্যালেঞ্জটা আর একটু বেশি কঠিন হয়, সেটাই দেখার। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×