ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাট ও পাটপণ্য রফতানিতে আয় বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

পাট ও পাটপণ্য রফতানিতে আয় বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রফতানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রফতানি আয় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুন্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুন্ডলী রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুন্ডলী রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৫ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৭ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। সদ্যসমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এ খাতের রফতানি আয় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কাঁচা পাট রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৩৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাঁচা পাট রফতানিতে আয় হয়েছিল ৭ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে পাটের সুতা ও কুন্ডলী রফতানিতে ২৭ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে পাটের সুতা ও কু-লী রফতানিতে ২৫ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল। চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ২৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রফতানিতে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রফতানিতে ২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ দশমিক ৪২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রফতানি আয় ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে।
×