ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাঁচ বছরের মধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে

গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যও রফতানি হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যও রফতানি হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শুধু পোশাকই নয়, এখন গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্য রফতানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই রফতানি হবে ১৮ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক বছর আগেও এ শিল্পের এক্সেসরিজ পণ্য আমদানি করা হতো। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অষ্টম বারের মতো গ্যাপেক্সপো-২০১৭ আন্তর্জাতিক শিল্প মেলার উদ্বোধন করা হয়। তিন দিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদের খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, বিজিএমইএ সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ। এ মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ)। গার্মেন্টস পণ্য উৎপাদনে এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের প্রায় ৩০টি পণ্যের প্রয়োজন হয়। পোশাক খাতের জন্য এগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একসময় এগুলো আমদানি করতে হতো। কিন্তু এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে এগুলো রফতানি করা হচ্ছে। বর্তমানে এ খাতের রফতানির পরিমাণ প্রায় ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আগামী ২০২১ সাল নাগাদ শুধু এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং রফতানি করে ১৮ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হবে। এবারের মেলায় দেশী-বিদেশী শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে মোট ৮টি হলে ৬০০টি স্টলসহ ৮০০টি বুথ রয়েছে। মেলায় ভারত, চীন, পাকিস্তান, তাইওয়ান, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ মোট ৩০টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। স্টলগুলোতে মেশিনারিজসহ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের মেশিনারিজ, কাঁচামাল এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যসহ ইয়ার্ন ও ফেব্রিক্স প্রদর্শিত হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে। সবক্ষেত্রে উন্নয়নের বিস্ময়। গার্মেন্টস শিল্প ১২ হাজার মিলিয়ন ডলার রফতানি দিয়ে শুরু হয়েছিল। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে গার্মেন্টসসহ সব সেক্টরে ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্য রয়েছে। গত ২০০৫ সালে যখন কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হয় তখন অনেকেই গার্মেন্টস সেক্টর নিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু সময় সাপেক্ষে আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া শুল্কমুক্ত সুবিধা নেই তারপরও যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রধান পণ্য রফতানির দেশ। বাঙালি জাতি হিসেবে বীরের জাতি। বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এদিকে, কোটা তুলে দেয়ায় গার্মেন্টস শিল্প আরও বিকশিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, এত কিছুর পরও আমেরিকার বাজারে রফতানি বেড়েছে। এছাড়া অনেক নতুন নতুন দেশ বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছে। আনিসুল হক বলেন, আজ বাংলাদেশ শুধু এক্সেসরিজের মাধ্যমে নিজের চাহিদাই পূরণ করছে না, বিদেশেও রফতানি করছে। কোটা উঠে গেলে আগে বলা হয়েছে, এ গার্মেন্টস শিল্প থাকবে না, ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনকি তখনকার সরকারও এ কথায় কান দিয়েছিল। কিন্তু একমাত্র আমরাই বলেছিলাম, কোটা উঠে গেলে আমাদের শিল্প আরও বেশি সম্প্রসারিত হবে। আজ ঠিক তাই হয়েছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প আজ বিশ্ব বাজারে স্থান দখল করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাণিজ্যবান্ধব সরকার। আজ বিশ্বে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ।
×