ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশীয় সংস্কৃতি অঙ্গনে ভূমিকা রাখতে চাই ॥ আদিত্য জনি

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

দেশীয় সংস্কৃতি অঙ্গনে ভূমিকা রাখতে চাই ॥ আদিত্য জনি

এই সময়ের অন্যতম তরুণ নাট্যনির্মাতা আদিত্য জনি। অসংখ্য নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। একাধিক নতুন নাটক নির্মাণে ব্যস্ত রয়েছেন। অচিরেই প্রচার হতে যাচ্ছে তার নির্মিত একাধিক খ- ও ধারাবাহিক নাটক। সাম্প্রতিক সময়ে নাটক নির্মাণসহ অন্যান্য ব্যস্ততা নিয়ে এই পরিচালকের সঙ্গে কথা হয়। বর্তমানে আপনার ব্যস্ততা প্রসঙ্গে জানতে চাই- আদিত্য জনি : সম্প্রতি আজম খানের রচনায় ‘দুই পুতুলের গল্প’ নামের একটা টেলিফিল্মের কাজ শেষ করলাম। নতুন দুটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ করছি। অচিরেই আরও একটি টেলিফিল্মের কাজ করব। এছাড়া একটি বিজ্ঞাপনের কাজ হাতে রয়েছে। এই তো। নাট্য জগতে আপনার শুরুর দিকটা জানতে চাই- আদিত্য জনি : আমার জন্ম চাঁদপুর। ছোটবেলা থেকে বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর একজন নাট্যকর্মী হয়ে অভিনয়ের স্বপ্ন দেখতাম। সেই সুবাদেই পড়াশোনা শেষ করে ১৯৯৮ সালে ঢাকায় আসি। ঢাকায় একটা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি লিয়াকত আলী লাকি ভাইয়ের লোকনাট্য দলে কাজ শুরু করি। অভিনয়ের ইচ্ছা নিয়ে মঞ্চে কাজ করলেও মিডিয়াতে এসে আর অভিনয় করা হয়নি, সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করি। ২০১১ সালে লিটন ভূঁইয়া রচিত ‘প্রথম ভালবাসা’ নামের একটা ১ ঘণ্টার নাটকের মাধ্যমেপরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি । আপনার নির্মিত উল্লেখ্যযোগ্য নাটক কী কী? আদিত্য জনি : ‘প্রথম ভালবাসা’, ‘চোখের আলো’, ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’, ‘এ কেমন কাছে আসা’, ‘অতিথি’, ‘অনুক্ষণে অনুভবে’, ‘পাশে থাকাই কাছে থাকা নয়’, ‘যেমন জামাই তেমন বউ’ প্রভৃতি। আপনি তো চলচ্চিত্র অভিনেত্রী দিতির সঙ্গে যৌথভাবে বেশকিছু কাজ করেছেন? আদিত্য জনি : হ্যাঁ। দিতি আপার ডিএলডি প্রডাকশন থেকে অনেকগুলো খ- নাটক ও টেলিফিল্ম যৌথভাবে নির্মাণ করেছি। যদি আমার টার্নিং বলতে চাই এক কথায় দিতি আপার নাম বলতে হয়। আপা আমাকে ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। তবে তার হঠাৎ চলে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি। সৃষ্টিকর্তা তাকে শান্তিতে রাখুন এই প্রার্থনা করি। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? আদিত্য জনি : নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের ইচ্ছে আছে। সেভাবেই এগিয়ে চলছি। দর্শকদের প্রত্যাশিত ভাল ভাল নাটক, টেলিফিল্ম ও চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতি অঙ্গনে ভূমিকা রাখতে চাই। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার চাওয়া ও সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধবদের দোয়া। আমার ক্যারিয়ারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই। -সাজু আহমেদ
×