ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়া থিয়েটারের ‘বাসন’ নাটক মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

বগুড়া থিয়েটারের ‘বাসন’ নাটক মঞ্চস্থ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের প্রথম দিকের রচিত নাটক ‘বাসন’। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার আন্দোলন শুরুর দিকে দেশের অনেক নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নাটকটি মঞ্চায়ন করেছিল। তাই বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার আন্দোলনের সঙ্গে নাটকটির একটি ভাল সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘ বছর পর সময়ের প্রাসঙ্গিকতায় আবারও ‘বাসন’ নাটকটি মঞ্চে এনেছে বগুড়া থিয়েটার। সম্প্রতি জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সেলিম আল দীন স্মরণোৎসবে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। সেলিম আল দীন রচিত নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন ফারুক হোসেন। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ে করেন ফারুক হোসেন, সঞ্চয়িতা সরকার বিথী, বিধান কৃষ্ণ রায়, কনক কুমার পাল অলক, সাইফুল ইসলাম, মাহবুবে সোবহানি বাপ্পী, রাফিউল ইসলাম, রবিউল, হাসান, মাসুম, আতিক, নিরব, রনি প্রমুখ। নাটকের আবহ সঙ্গীতে ছিলেন ফিরজুল ইসলাম, মিঠু, সুপিন বর্মণ। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ‘বাসন’ নাটক নির্মাণের মধ্যদিয়ে স্বজাত ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষার দায়বদ্ধতার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। ‘বাসন’ নাটকের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় একটি বাসন হয়ে ওঠে পরিবার ও গ্রামের ঐতিহ্যের স্মারক। দিনের পর দিন পরিবারের সদস্যরা তাদের ভালবাসায় রক্ষা করে বাসনটিকে। পরদাদা, দাদা, বাবা, সন্তান এই চার বংশ পরম্পরায় ব্যবহৃত বাসনটি পরিবারের নানা গৌরবময় সাক্ষ্যবহন করে। বাসনটি উত্তর প্রজন্মের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কেননা এই বাসনে খাবার খেতেন ছদুরুদ্দীন। যিনি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন বীর যোদ্ধা। একদিন শুহুরে একজন রাজনীতিবিদ গ্রামে এসে তার ক্ষমতাবলে আয়ত্ত করতে চায় বাসনটি। নানা দ্বন্দ্ব সংঘাতের ঘটনাপ্রবাহে পরিবারের এক সদস্য আত্মাহুতি মাধ্যমে হলেও বাসনটিকে রক্ষা করে। বর্তমান সময়েও নানা ঐতিহাসিক নিদর্শনও ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক থাবায় আক্রান্ত। কিন্তু চাইলেই কি সব করায়ত্ব করা যায়? যেখানে মানুষের আবেগ মিশে থাকে সেটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করে সাধারণ মানুষ। এই বিষয়টিই নাটকে তুলে ধরা হয়েছে।
×