ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

নওগাঁয় যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৮ জানুয়ারি ॥ নিয়ামতপুরে শিরিনা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ যৌতুকের জন্য স্বামীর হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে বর্তমানে তিনি নিয়ামতপুর হাসপাতালে ভর্তি থেকে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। বুধবার এ বিষয়ে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের জিন্নাত ম-লের মেয়ে শিরিনা আক্তারের (২৮) ১৫ বছর আগে একই ইউনিয়নের আদমপুর চৌবাড়িয়াপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে এনামুল হক বাবুর সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শিরিনা আক্তারের বাবা জিন্নাত ম-ল ৩০ হাজার টাকা, ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন। তারপরও বাবা আবুল কাশেমের কুপরামর্শে ছেলে এনামুল হক বাবু ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য ও সংসারের সামান্য কিছু হলেই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালায় শিরিনা আক্তারের ওপর। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যার পর মোবাইলকে কেন্দ্র করে এনামুল হক বাবু তার স্ত্রী শিরিনা আক্তারকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে অজ্ঞান করে ফেলে। প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করে। পরদিন খবর পেয়ে শিরিনার বাবা এসে তাকে খড়িবাড়ী বাজারে অবস্থিত মাতৃ ক্লিনিকে ভর্তি করে দেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার শিরিনাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শিরিনা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার শিরিনা আক্তার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার স্বামী অনেকবার আমাকে যৌতুকের জন্য মারপিট করেছে। অনেক সহ্য করেও এতদিন সংসার করে আসছিলাম। কারণ আমার দুটি সন্তান রয়েছে। সন্তানদের মুখের দিকে চেয়ে সব কিছু সহ্য করে আসছিলাম। কিন্তু দিন দিন আমার স্বামীর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। সে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছে। তাই সামান্য কারণে আমার ওপর নির্যাতন শুরু করে। বরিশালে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে ভিডিও স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের গাজিরপার গ্রামের এক রিক্সা চালকের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননীকে (২৮) গণধর্ষণ করে ভিডিওচিত্র ধারণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলার অন্যতম আসামি শামীম মহাজনকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারীকে ডাবেরকুল বাজারের ছোটগলি দিয়ে যাওয়ার সময় সোহেল তালুকদারের দোকানে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা একই এলাকার শামীম মহাজন মুখ চেপে দোকানের ভিতরে টেনে হেঁচরে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে থাকা শামীমসহ তার সহযোগী সেলিম বেপারী, সোহেল তালুকদার ও আলী জাকের বেপারী পালাক্রমে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। অন্যরা ধর্ষণ করার সময় শামীম তার মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এ সময় শামীমকে সহযোগিতা করে সান্টু বেপারী। ধর্ষণ শেষে ওইরাতেই ধর্ষিতাকে তার বাড়ির কাছে পৌঁছে দিয়ে ধর্ষকরা এ ঘটনা কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঘটনার দুদিন পর সোমবার রাতে উজিরপুর মডেল থানায় উল্লেখিত পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতা নারী।
×