পাথর বাটি পেয়ে যাবে বলে কয়েকজন ব্রিটিশ মন্ত্রী যে দাবি করেছেন যে ব্যাপারে নৈরাশ্য রয়েছে ইউরোপের এবং যে নৈরাশ্যের উল্লেখ হচ্ছে এ অভিনন্দন। তিনি এক টুইটারে লিখেছেন, এটা এক দুঃখজনক প্রক্রিয়া ও পরাবাস্তব সময়। কিন্তু ব্রেক্সিটের ওপর তার এ ভাষণ অন্তত বেশ বাস্তবসম্মত। তিনি আরও বলেন যে, অবশিষ্ট ২৭ ইইউ দেশ ঐক্যবদ্ধ এবং ৫০ অনুচ্ছেদ প্রক্রিয়ার পর আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে। ইইউর প্রধান ব্রেক্সিট আলোচক মাইকেল বার্নিয়ার ভাষণের প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি ইইউর জন্য একটি যথাযথ চুক্তি ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে’র ভাষণের প্রতি সতর্ক আশাবাদ জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। যদিও তারা ইইউর ৫০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যে কোন আলোচনা শুরু করার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ বহাল রাখার লক্ষ্যে তাদের মন্তব্যে সীমিত থেকেছেন। খবর টেলিগ্রাফ অনলাইনের।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক লন্ডন থেকে বেশ বাস্তবসম্মত কণ্ঠে অভিনন্দন জানিয়েছেন, ব্রিটেন ব্রাসেলের সঙ্গে এর কোন চুক্তি স্বাক্ষরে দেশটি সোনার স্বাক্ষরের চেষ্টা করবেন। কিন্তু তিনি বলেন, ভবিষ্যত অংশীদারিত্বের জন্য সুশৃঙ্খল ত্যাগ প্রয়োজন। ইউরোপীয় বিষয়ক চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোমাজ প্রৌজাও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইইউয়ে কারও কারও অনুভব হচ্ছে সে এখনও সংস্থার কাস্টমস ইউনিয়ন সদস্য পদের ব্যাপারে দ্ব্যর্থতা থেকে সোনার পাথর বাটি লাভের চেষ্টার রয়ে গেল। তিনি টুইটে বলেন, যুক্তরাজ্যের পরিকল্পনা কিছুটা উচ্চভিলাষী বলে মনে হয়। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, বাণিজ্য হবে যথাসম্ভব অবাধ। অভিবাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে পুরোপুরি। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্যাংক-ওয়াটার স্টিনমিয়ার স্বীকার করেছেন যে, ভাষণে ব্রিটিশ পরিকল্পনার বিষয়টি আরও কিছুটা স্পষ্টতা পেয়েছে। ইইউর সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচক অংশীদারিত্বে জড়িত থাকার জন্য মে’র ইচ্ছা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।