ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নুরউদ্দিন আহসান

অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ!

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ!

সমাজে পরিবারকে বলা হয় শিক্ষার সূতিকাগার। যেখানে প্রতিটি শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। আর অধিকাংশ পরিবারে পিতা-মাতাই তাদের শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। এক কথায় পরিবার হলো শিশু শিক্ষার মূল ভিত্তি। যেখানে শিশুরা জীবনের মৌলিক বিষয়গুলো শেখে এবং তাদের পরবর্তী জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। শিশুরা তাদের কাছের মানুষদের অনুসরণ করতে পছন্দ করে। সেক্ষেত্রে পিতা-মাতাই হয় তাদের প্রথম অনুসরণীয় ব্যক্তি। তারপর তার ভাই বোন এবং চারপাশের লোকজন। কিভাবে তারা কথা বলে, কিভাবে চলাফেরা করে ইত্যাদি আচরণ সে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখে এবং খুব সহজেই আত্মস্থ করে নিতে পারে। তাই পরিবারের সদস্যদের, কথা ও আচরণ এবং তার চারপাশের পরিবেশ শিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবার পরিবারের অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায় তার সুন্দর আগামী। পরিবারের অসচেতনতা বা তাদের উদাসীনতার ফলে শিশু কিশোররা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ে। আরেকটি বিষয় তাদের বিপথে চলার কারণ হতে পারে। সেটি হলো তার সঙ্গ অর্থাৎ তার জীবনযাপনের সাথী, যার সাথে সে দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে। যাকে আমরা এক কথায় বন্ধু বলি। বন্ধু তার পাশে থাকা মানুষটিকে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে দিতে যেমন সাহায্য করে, তেমনি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তেও নিয়ে যায়। ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ’ কথাটির সত্যতা যথেষ্টই রয়েছে। ঐশী তার জলন্ত প্রমাণ। আর এখানেও রয়েছে পরিবারের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ঘরের শিশু বা কিশোরবয়সী সন্তানটি কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মিশছেÑ এসব খেয়াল রাখা চাই। বর্তমানে আমরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছি। সারা দিন কাজে বা অকাজে এতই ব্যস্ত থাকি নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার সময় পর্যন্ত পাই না। যে সময়টাতে কোনটা ন্যায় কোনটা অন্যায় বোঝানোর কথা সেই সময়টাতে তাকে রাখা হচ্ছে দূরে। যার ফলে সে সহজেই অসৎ মানুষের সাথে মেশার সুযোগ পাচ্ছে এবং তাদের প্ররোচনায় দিনে দিনে বিপথে চলে যাচ্ছে। তাই সন্তানের ভবিষ্যতের কাথা ভেবে সুচিন্তিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে পরিবারের যথাযথ ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই। ফুলপুর, ময়মনসিংহ থেকে
×