ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুরন্ত কৈশোর বনাম সন্ত্রাস

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৭

দুরন্ত কৈশোর বনাম সন্ত্রাস

অনেক কিশোরের মনে কোন ভয়ভীতি কাজ করে না। থাকে না কোন বাস্তব চিন্তাচেতনা, তাই ওদের দ্বারা সব ধরনের কাজ করানো সম্ভব হয়ে থাকে। অনেক ব্যক্তিই কিশোরদের একটু সমঝে চলে, ভয় পায়। আবার অনেক সময় কিশোরদের ধিক্কারও দেয়। অথচ কিশোরদের মনে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস প্রবণতার জন্য দায়ী বড় বড় মাথাওয়ালা লোক। এ প্রসঙ্গে অনেকে অনেক ধরনের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ কিশোরদের সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণ সম্পর্কে উঠে এসেছে নানা মত। এক জরিপে দেখা গেছে, দুই ধরনের কিশোররা সন্ত্রাস, ভয়ভীতিজনক কাজ করে থাকে। এক, যারা রাস্তাঘাটে, ফুটপাথে বসবাস করছে; অন্যটি হচ্ছে শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা। তবে এটাও বলা যায় যে, বর্তমানে শিক্ষিত, বড় লোক বা ধনী পরিবারের সন্তানরা যেন এক ধাপ এগিয়ে। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে সাম্প্রতিক বিশ্বের আলোচিত জঙ্গীগোষ্ঠী। যার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে ধনী পরিবারের কিশোররা জঙ্গী-সন্ত্রাসে জড়িত হচ্ছে বেশি। তাই বলা যায়, কেউ সন্ত্রাস করে অভাবে কেউবা স্বভাবে। ফুটপাথে বসবাসরত কিশোররা অভাবে সন্ত্রাস করে থাকে আর ধনী পরিবারের কিশোর স্বভাবে করে। অনেক ধনী পরিবারেই দেখা যায়, বাবা-মা তার সন্তানদের যথেষ্ট সঙ্গ দেন না। এ ধরনের পরিবারে আচরণ, চালচলন একটি কিশোরকে অনেক কিছু থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। অনেক শিক্ষিত আর ধনী পরিবারে দেখা যায় যে, বাবা সকালে যান রাতে বাসায় ফিরেন আর মা নিজেকে বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে ফেলেন। এই সুযোগটা নেয় সমাজের সন্ত্রাসীরা। একজনের কাছে যেটা আনন্দ, হাজার জনের কাছে সেটা দুঃখের হতে পারে। একটি সিনেমায় দেখেছি, এক সন্ত্রাসী ধনী পরিবারের এক কিশোরকে চুরি করে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত আদর যতেœ বাবা-মায়ের অভাব ভুলিয়ে দেয়। পরে তাকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে কাজে লাগায়। বাস্তব জীবনেও এভাবে একজন কিশোর ভয়ভীতিকর সন্ত্রাসীতে পরিণত হতে পারে। তাই আপনার সন্তানকে সময় দিন, সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তার গড়ে ওঠায় ভূমিকা রাখুন। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কোন কিশোর আমরা চাই নাÑ এটাই হোক প্রত্যেক পরিবারের প্রতিজ্ঞা। নারায়ণগঞ্জ থেকে
×