ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন আর নেই। মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেছেন, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে বিচারপতি রুহুল আমিনের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছিল। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচারের চেষ্টা হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। আজ রাত ১০টায় তাঁর লাশ সিঙ্গাপুর এয়ারলাইসযোগে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। দেশের ষোড়শ প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০০৮ সালের ১ জুন দায়িত্ব নেন রুহুল আমিন, অবসরে যান ২০০৯ সালের ২২ ডিসেম্বর। যে সময়টিতে বিচারপতি রুহুল আমিন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নেতৃত্ব দেন, তখন রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বিচারপতি এমএম রুহুল আমীনের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৩ ডিসেম্বর, লক্ষ্মীপুর জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৩ সালে ইতিহাসে মাস্টার্স এবং ১৯৬৬ সালে এলএলবি করে পরের বছর তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন। দীর্ঘদিন জেলা ও দায়রা আদালতে দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে হাই কোর্টে নিয়োগ পান বিচারপতি রুহুল আমীন। দুই বছরের মাথায় তাকে স্থায়ী করা হয়। তাকে আপীল বিভাগে নিয়োগ দেয়া হয় ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রুহুল আমিন স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। আইনমন্ত্রীর শোক ॥ সাবেক প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমিনের মৃত্যুতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মন্ত্রী মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। খালেদা জিয়ার শোক ॥ সাবেক প্রধান বিচারপতি এমএম রুহুল আমিনের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মরহুম এমএম রুহুল আমিন আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তাঁর বিচারিক জীবনে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। দেশের একজন ন্যায়পরায়ণ বিচারক হিসেবে তাঁর খ্যাতি দেশবাসীর মনে চিরজাগরুক থাকবে। তাঁর মতো একজন বিচক্ষণ বিচারকের পৃথিবী থেকে চিরবিদায় জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানান।
×