ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামী লীগে রাজাকার যোগ

আদমদীঘিতে ঘৃণা প্রকাশ ও প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

আদমদীঘিতে ঘৃণা প্রকাশ ও প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১৭ জানুয়ারি ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগে তালিকাভুক্ত রাজাকার গোলাম মোস্তফাকে যোগদান করানো বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কছিম উদ্দিনও সম্পৃক্ত মর্মে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সান্তাহার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা গবর্নর প্রবীণ নেতা কছিম উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। চোখে কম দেখি ও কানে কম শুনি। ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের আলোচনা সভার মাঝে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম খান রাজু আমাকে বললেন যে, বিএনপি থেকে বেশ কিছু নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করতে এসেছেন আমরা তাদের বরণ করে নেই। এরপর তিনিসহ আমার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে যোগদান করানো হয়। কিন্তু যোদানকারীদের মধ্যে একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার ছিল সেটি আমাকে যেমন আগে জানানো হয়নি তেমনি আমিও তাৎক্ষণিকভাবে চিনতে পারিনি। পরে জানতে পারি যে, যোগদানকারীদের মধ্যে তালিকাভুক্ত রাজাকার গোলাম মোস্তফাও ছিল। এতে আমি লজ্জিত হই যে, আমার মতো মুক্তিযুদ্ধের এক সংগঠকের হাতে একজন কুখ্যাত রাজাকার আওয়ামী লীগে যোগদান করল। আমি এই লজ্জাজনক ঘটনার পেছনের নায়কদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে অবিলম্বে যোগদানকারী রাজাকারকে আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেয়ার দাবি করছি। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজেদুল ইসলাম চম্পা, সাংগঠনিক সম্পাদক জার্জিস আলম রতন ও সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাসেম উপস্থিত ছিলেন। বদরগঞ্জে পাটিতে বসে ক্লাস সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ১৭ জানুয়ারি ॥ বদরগঞ্জ পৌরশহরের চাঁদকুঠির ডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসার বেঞ্চের অভাবে ছাত্রছাত্রীরা জরাজীর্ণ ছেঁড়া চট, পাটিতে বসে ক্লাস করছে। সোমবার সরজমিনে গিয়ে এ অবস্থা চোখে পড়ে। সূত্রমতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। গত দুই বছর আগে বদরগঞ্জ পৌরসভার অনুদানে টিনশেডের তৈরি স্কুল ভবন, ৪টি শ্রেণীকক্ষ ও অফিস ঘর নির্মাণ করা হয়। তবে বেঞ্চ, ব্লাকবোর্ডসহ শিক্ষার উপকরণ না থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণে অভিভাবকরা এ স্কুলে ছেলেমেয়ে পাঠাতে চান না। ম্যানেজিং কমিটি থাকলেও তারা এ বিষয়ে উদাসীন। প্রধান শিক্ষক শিমুল আকতার জানান, বিষয়গুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারীভাবে বিল্ডিং নির্মিত হলে প্রতিষ্ঠানটি প্রাণ ফিরে পাবে।
×